বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দশম সংসদ নির্বাচনের পর কোন সমঝোতা হলে, তখন সেই সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন হতে পারে।
তবে এজন্যে কিছু শর্ত দিয়ে তিনি বলেছেন, বিরোধী দলকে হরতাল, অবরোধ এবং সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।
বিরোধী দল বিএনপির নেতারা বলেছেন, জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।
তারা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে বিএনপি সমঝোতার কোন ইঙ্গিত পাচ্ছে না।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট আগামী শনিবার থেকে সারাদেশে চারদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এই অবরোধ হবে পঞ্চম দফায় অবরোধ কর্মসূচি।
শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে এবং বিরোধী দল এই ট্রেন মিস করেছে।
সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আলোচনা চলছে। নির্বাচনের পরেও আলোচনা চলতে থাকবে। যদি কোন সমঝোতা হয় তাহলে প্রয়োজনের নতুন নির্বাচন দেওয়া হবে।”
কিন্তু বিরোধী দলকে হরতাল অবরোধ বন্ধ করতে হবে।
সহিংসতা বন্ধ না হলে তিনি বিরোধী দলকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, “জনগণের জানমাল রক্ষার জন্যে যতো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন সেটা আমি গ্রহণ করবো।”
গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলে আসছিলেন, দশম নির্বাচনের আগে আলোচনা থেকে সমঝোতায় আসার সুযোগ নেই।
এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের এক সভায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমঝোতা হলে দশম সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের কথা বলেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বিবিসিকে বলেন, এখনও সমঝোতা হলে নির্বাচনী তফসিল স্থগিত করে ও সংসদ ভেঙে দিয়ে সংবিধানের ভেতরে থেকেই নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।