বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘শত কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সংগীত গেয়ে নয়, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে গিনেজ বুকে নাম লেখানো হবে।’
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) একাংশের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন ২০১৪তে এ কথা বলেন তিনি।
সরকারের টোল নীতির কঠোর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এই টোল নিলে জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে। এসব বন্ধ করুন।’
বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে রওশন এরশাদকে পদত্যাগের পরামর্শ দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। পাশাপাশি ব্যর্থতা তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনেরও পদত্যাগের কথা বলেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গঠন হয়েছে তারও তীব্র সমালোচনা করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাকে ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে বিচারক টেলিফোনে কথা বলে এই চার্জ গঠনের কথা বলেছেন। আমাকে শোনানো হয়নি কী কারণে চার্জ গঠন হলো। আমারও কথা শোনা হয়নি।’
উপজেলা নির্বাচনের পর সরকার পতন আন্দোলনের প্রস্তুনি নেয়া হবে জানিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
এর আগে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বেলা সোয়া ১২টায় অনুষ্ঠান স্থলে পৌছান খালেদা জিয়া। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সিনিয়র সহকারী মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ।
আগামী রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বর্তমান মহাসচিব শওকত মাহমুদ সভাপতি পদে ও মহাসচিব পদে এম এ আজিজ এবং অপর প্যানেলে গোলাম মহিউদ্দিন খান সভাপতি ও মহাসচিব পদে ডিইজের সাবেক সভাপতি এলাহি নেওয়াজ খান সাজু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সংগঠনটির সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের শামসুল হক হায়দারী, শাহ নেওয়াজ, খুলনার আনিসুজ্জামান, রাজশাহীর সরদার আব্দুর রহমান, বগুড়ার ফজলে রাব্বী ডলার, কুষ্টিয়ার নজরুল ইসলাম মুকুল, যশোরের মহিদুল ইসলাম মন্টু, দিনাজপুরের জি এম হিরু, কুমিল্লার শাহ আলম শফি, কক্সবাজারের আতাহার ইকবাল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
এছাড়াও বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।