সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা জামায়াত-শিবির ঘটিয়েছে

0

Rajnitiঢাকা: বাংলা বর্ষবরণের দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা জামায়াত-শিবির ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখ উদযাপন হোক এটা জামায়াত-শিবির চায় না। তারা বলেন এটা একটা বিজাতীয় সংস্কৃতি। এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।

মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ ও ভারতের স্থল সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ সন্দেহ প্রকাশ করেন।

আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জামায়াত-শিবিরের সদস্যরা লিখেছে ‘পহেল বৈশাখ উৎসব আমরা চাই না, যে মেয়েরা পহেলা বৈশাখের উৎসবে যাবে তাদেরকে আমরা বিয়ে করবো না।’

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, নববর্ষে নারীদের শ্লীলতাহানির বিষয়ে উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি আওতায় আনতে হবে। কারণ যারা চায় না বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাবন হোক তারাই এ ধরনের হীনকর্ম সংগঠিত করেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত সমস্যা সমাধানের কারণে আপনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সোনিয়া গান্ধীকে অভিনন্দন জানাতে ভুলে যাননি। কিন্তু যার চেষ্টায় স্থল সীমান্ত সমস্যা সমাধান হলো, সেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাননি। আপনি ভুলে যাবেন না যে, বাংলাদেশ ও ভারতের স্থল সীমান্ত সমস্যা সমাধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই হয়েছে।

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনি দেশের মানুষের কাছে যেমন বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন তেমন ভারতের কাছেও আপনার কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।

তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক আছে। তাই এ স্থল সীমান্ত সমস্যা সমাধান হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ পোড়ানোর সহিংস আন্দোলনে খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘এই সরকারের পতন ঘটিয়ে বাড়ি ফিরবো।’ তিনি ঘরে ফিরেছেন ঠিকই কিন্তু নিজের পতন ঘটিয়ে।

তিনি বলেন, তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন দুপুর ১২টায় বিএনপি ভোট বর্জন করেছে। নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় হবে জেনেই বিএনপি ভোট বর্জন করেছিলো।

জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহজালাল সাজু, সহ-সম্পাদক এম করিম, অধ্যাপক ফজলুল হক প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More