[ads1]ঢাকা : দেশের মানুষকে বিপদে ফেলার দায়ে ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করে সিইসি ও সাবেক প্রধান বিচারপতিসহ কয়েকজনের বিচারের কথা বলেছিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় অলি আহমদকে বিষয়টি আপাতত ভুলে যেতে বললেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেছেন, ‘বিচারপতি খায়রুল হকই বলুন কিংবা অন্য ব্যক্তিদের কথা বলুন, তারা কি নিজের উদ্যোগে এসব করেছেন নাকি তারা কারো নির্দেশে করেছেন। তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজেই সে (নির্দেশদাতা) তো বাদ যেতে পারে না। সে জন্যই বলছি, আজকে আমাদের এইগুলো ভুলে যেতে হবে। আমরা এগুলো ভুলে যেতে চাই। কারণ, এখন দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে সেরিনা হোটেলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন ইঙ্গিত দেন বেগম জিয়া। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এতে সভাপতিত্ব করেন।
ইফতার মাহফিলে ২০ দলীয় জোট শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেন, ‘খায়রুল হকের মতো প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। যার কারণে আজকে এতো লোক মারা যাচ্ছে।’[ads2]
তিনি আরো বলেন, ‘আগামীতে আমাদের জোট যদি ক্ষমতায় যায়, তাহলে কয়েকটা লোকের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল দিয়ে বিচার করতে হবে। একটা হলো- চিফ ইলেকশন কমিশনার (সিইসি) ও দুইজন ইলেকশন কমিশনার। তাদের কারণে ১৪৫ জন লোক নিহত হয়েছে। এটা তাদেরই একমাত্র কাজ। আরেকজন হলো, খায়রুল হক সাহেব। তিনি বিতর্কিত রায় দিয়ে আজকে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে বিপদে ফেলেছেন।’
কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ওই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘একটু আগে অলি সাহেব বলেছেন, আমরা যদি ক্ষমতায় যাই, তাহলে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করা হবে। সেখানে কয়েকজন ব্যক্তিরও নাম বলা হয়েছে। এছাড়া আরো অনেক ব্যক্তিই আছে। কিন্তু এটাও ধরে নিতে হবে, আমি কারো কথা বলতে চাই না।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘সে জন্যই বলছি, আজকে আমাদের এইগুলো ভুলে যেতে হবে। আমরা এগুলো ভুলে যেতে চাই। দেশের সঙ্কটকালে দেশকে স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদ মুক্ত করাই প্রধান কাজ।’
এদিকে, গতকাল রাজধানীর এক হোটেলে বিগত আন্দোলনে গুম ও খুনের শিকার নেতাকর্মীদের স্বজনদের সম্মানে দেয়া ইফতারে নেতাকর্মীদের গুম-খুনের জন্য র্যাব-পুলিশকে দায়ী করেছেন খালেদা জিয়া। সেখানে এক বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘দেশ গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরে আসলে গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত র্যাব-পুলিশদের কোনোদিন ছাড় দেয়া হবে না। তাদের কঠোর বিচার করা হবে।’[ads1]
ওই অনুষ্ঠানে বিএনপি প্রধান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘র্যাব-পুলিশের যারা যারা গুম-খুনের এই অন্যায় কাজ করেছে তাদের কোনদিন ক্ষমা করা হবে না। তাদের বিচার একদিন না একদিন হবেই।’
মূল মঞ্চে খালেদা জিয়ার সঙ্গে একই টেবিলে বসে ইফতার করেন- ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ২০ দলীয় জোট শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতিক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব এবং কেন্দ্রীয় নেতা আতাউর রহমান ঢালী প্রমুখ।[ads2]