দিনাজপুর: বিএনপি-জামায়াতের আমলে রেলখাতকে ধ্বংস করে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশনের আয়োজনে দেশীয় প্রযুক্তিতে সচলকৃত ডেমু ট্রেনের পার্বতীপুর-রংপুর রুটে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন শুধু রেল নয়, দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশের সবক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন করেছেন। রেলখাতে হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন। দেশের যেসব জেলায় এখনও রেল যোগাযোগ নেই, সেসব জেলায় দ্রুত রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে।
জনগণের যাতায়াত সুবিধার জন্য ২০১৩ সালে চীন থেকে ডেমু ট্রেন আমদানি করা হয়। কিন্তু সেগুলো পর্যায়ক্রমে বিকল হয়ে যায়। এই ডেমু ট্রেনের যন্ত্রাংশ চীন থেকে আমদানি করতে অনেক টাকা খরচ হতো। কিন্তু দেশের প্রকৌশলীরা আমাদের দেশীয় প্রযুক্তিতে ডেমু ট্রেন সচল করে সক্ষম হয়েছে। এখন আর আমাদের চীনে যেতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা খুব শিগগিরই সবগুলো ডেমু ট্রেন সচল করে যাত্রী পরিবহনের জন্য বাণিজ্যিকভাবে চালু করা হবে। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে নতুন ট্রেন সংযোজন করা হবে। আগামী নির্বাচনে আবারও প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দিলে দেশকে ডিজিটাল করার যে দীর্ঘ পরিকল্পনগুলো আছে, সব বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও দিনাজপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজার রহমান ফিজার, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বারিউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) মোমিনুল করিম প্রমুখ।
রেলওয়ের তথ্যমতে, ৬৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালে ২০টি ডেমু ট্রেন বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। ২০ বছরের আগে ট্রেনগুলো নষ্ট হবে না বলে চীনের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দাবি করলেও চালুর মাত্র ৪-৫ বছরের মধ্যে একে একে বিকল হতে থাকে সেগুলো। আমদানির ৯ বছরের মধ্যে একে একে ২০টি ট্রেন বিকল হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, পার্বতীপুরসহ বিভিন্ন স্টেশনে পড়ে থাকে। অবশেষে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে পার্বতীপুর ডিজেল লোকো কারখানায় প্রায় দেড় বছর চেষ্টার পর সচল হওয়া দুইটির মধ্যে একটি ডেমু ট্রেন ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল শুরু করে।