বগুড়া: ২০ দলীয় জোটের অবরোধ ও হরতাল চলাকালে ২ ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।
বুধবার সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সোয়া ৯টার দিকে শহরের স্টেশন রোডে হকার্স মার্কেটের সামনের একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল যোগে আসে। এরপর তারা ৮ থেকে ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় ককটেলের স্পিন্টারের আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। আতঙ্কে লোকজন পালিয়ে গেলে সেখানে একটি ফল বোঝাই ট্রাকে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ট্রাকচালক আব্দুল মজিদ জানান, সজিব ফল ভাণ্ডার থেকে ট্রাকে কমলা বোঝাই করে চট্টগ্রাম যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল। ট্রাক রওনা হওয়ার আগে চালক ফলের চালান নেয়ার জন্য আড়তে গেলে দুর্বৃত্তরা ট্রাকটিতে আগুন দেয়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে মহাস্থান এলাকায় একটি আলু বোঝাই ট্রাকে আগুন দেয় দুর্বৃত্তার। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়াও সন্ধ্যার পর থেকে শহরের বড়গোলা, দত্তবাড়ি, থানার মোড় সাতমাথা, কলোনি, সাবগ্রাম, স্টেশনরোড ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ককটেলবাজী হয়। থানার মোড়ে বিস্ফোরিত ককটেলের আঘাতে গুরুতর আহত ছোটন (২৫) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতালে কর্তব্যতে চিকিৎসক জানান, তার বাম কাঁধে ককটেলটি বিস্ফোরিত হওয়ায় বাম হাত পুরোটাই মারাত্মক জখম হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছোটন শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।
অপরদিকে, মহাসড়কে ফেলে রাখা লোহা দিয়ে তৈরি বিশেষ ধরনের ত্রিফলা কাটা চাকায় বিদ্ধ হয়ে বেশ কিছু যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহাসড়কের ঝোপগাড়ি এলাকায় পুলিশের রায়ট কার ত্রিফলা কাটায় আক্রান্ত হয়ে বিকল হয়ে পড়ে। পরে অন্য একটি চাকা সেখানে নিয়ে গিয়ে চাকা বদলানোর পর রায়ট কার মহাসড়কে টহল দেয়।
বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ( উপ-পরিদর্শক) মঞ্জুরুল হক ভুঞা জানান, বিচ্ছিন্নভাবে শহরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও স্টেশন রোডে ট্রাকে আগুন দেয়ার পর শহরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।