যদি কোনও ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের একটি জেলা কমিটির সভাপতি হন, কেমন হয় ! এটি কোনও অলীক ঘটনা নয়, বাস্তবেরই ঘটনা! এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুরে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের নতুন সভাপতি এডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা ভারতীয় নাগরিক। যদিও তিনি একই সঙ্গে বাংলাদেশেরও নাগরিক।
গত ২২ মার্চ জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে এডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা সভাপতি নির্বাচিত হন। ওই সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সৈয়দ মাসুদ হোসেন। এক সময়ের জেলা জাতীয় পার্টির নেতা সুবল চন্দ্র সাহা জেলা আওয়ামীলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। ফরিদপুর শহরের একটি বাড়ি বিক্রির বিতর্কিত নানা ঘটনাবলীর সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ফরিদপুরের অনেকের কাছেই সুবল চন্দ্র সাহা তার নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারান।
ফরিদপুরে আওয়ামীলীগের রাজনীতি থেকে ত্যাগী নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীদের হটিয়ে বিএনপি-জামায়াত থেকে ঢুকে পড়া হাইব্রিডদের নিয়ন্ত্রণে জেলা আওয়ামীলীগ পরিচালনার যে অপকৌশল প্রবল ক্ষমতাধর চক্রটি নিরন্তর করে যাচ্ছে, এডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা সেই চক্রেরই অনুগত। তিনিই যখন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হন, তখন দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের শিবিরে প্রবল হতাশার ঝড় বয়ে যায়।
আর এই অবস্থাতেই উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, যিনি ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি, তিনি ভারতীয় নাগরিক। ভারতের পশ্চিম বাংলার দমদম এলাকার ভোটার তিনি। সাম্প্রতিক ভোটার তালিকায় তার ভোটার নম্বর BWC4003570 । ভোটার তালিকায় তার বাবার নাম মতিলাল সাহা লেখা রয়েছে। বয়স ৭২। রয়েছে পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাও।
এ ব্যাপারে কথা বলতে এ প্রতিবেদক এডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এডভোকেট চিরঞ্জীব রায়ের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের বিস্তারিত কথা হয়। প্রতিবেদক তাকে জানান, ভারতীয় ভোটার তালিকায় প্রকাশিত নাম সম্পর্কে আমি সুবল চন্দ্র সাহার প্রতিক্রিয়া জানতে চাই। তিনি প্রতিবেদককে প্রথমে বলেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলে তিনি জানাবেন। পরে চিরঞ্জীব প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাকে শান্ত করতে, কিন্তু সুবল চন্দ্র সাহার কোনও প্রতিক্রিয়ার কথা বলেননি।