মেডিকেল প্রশ্নপত্র ফাঁসঃ মুখোশ উন্মোচন

0
এই পেইজ খোলার উদ্দেশ্য ছিলো এই বছরের মেডিকেলের ফাঁসকৃত প্রশ্ন পেয়ে যারা চান্স পেয়েছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা। কিন্তু নিশ্চিত প্রমান এবং স্ক্রিনশট দেওয়ার পরেও অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না যে তারা প্রশ্ন পেয়ে চান্স পেয়েছে। এই নোটে সবার সকল ধরণের কনফিউশন দূর করা হবে। প্রথমেই বলে নেই এই পোষ্টে অনেকের ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন তথ্য ফাঁস করা হবে। যেটা হয়ত ঠিক নয়। কিন্তু এবার মেডিকেলে প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যে অন্যায় হয়েছে তার তুলনায় এগুলো কিছুই নয়।পুরো পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল। তাহলে আসুন শুরু করি। কেসস্টাডি ১ঃ

প্রশ্নপত্র ফাসের মূলহোতাঃ মিরাজ আহমেদ সাব্বি
নামঃমিরাজ আহমেহ সাব্বি। মেরিট পজিশনঃ ২২ সিলেক্টেড মেডিকেল কলেজঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ কলেজঃ ঢাকা কলেজ স্কুলঃ এ কে হাই স্কুল মেডিকেল কোচিং সেন্টারঃ মেডিকো,শান্তিনগর শাখা , সেকেন্ড টাইমার আমাদের কেস স্টাডির নায়ক এই ছেলে।আসলে এই ছেলে এমন এক ক্যাটাগরির ছাত্র যার ব্যপারে কোন প্রমাণই দরকার নেই। এই ছেলে যদি মানিকগঞ্জ মেডিকেলেও চান্স পেত সেটাও সবার মনে সন্দেহের উদ্রেক করত। এই ছেলে স্কুল লেভেলে পড়াশনার প ও করে নাই।সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরাঘুরি, মেয়েদের উত্তক্ত করা,টং এর দোকানে আড্ডা দিয়েই স্কুল পার করছে এই ছেলে।একে এর ক্লাসমেটরা বখাটে হিসেবেই জানে। এস,এস,সি তে আরেক জনের খাতা দেখে গোল্ডেন পেয়ে যায়। কলেজে থাকতে এমন কোন অপকর্ম নাই যেটা সে করে নাই। এরপর ২০১৪ সালের কুখ্যাত এইস,এস,সি পরীক্ষায়ও প্রশ্ন পেয়ে গোল্ডন। বাহ। এরপর সে গত বছর মেডিকেলের এক্সাম দেয়। সেখানে বাজে ভাবে ফেলও করে।বিশের ঘরে নাকি সে মার্ক পেয়েছিল। গত বছরও প্রশ্ন কেনার চেষ্টা সে করেছিল । কিন্তু তখন এই কুকর্মে সফল হয় নাই। কিন্তু এবার সে ঠিকই সফল হয়। পরীক্ষার আগের রাতে সে বাসার বাইরে ছিল।কোশ্চেন পেতে হলে দালালদের সাথে রাতে থাকতে হবে এটাই নাকি ছিল শর্ত। গত বছরও নাকি সে একই ভাবে চেষ্টা করে। তাহলে দেখুন প্রমাণ যে সে পরীক্ষার আগের দিন দালালদের সাথে ছিল। এই স্ক্রিনশটটি আরেক ছেলের আইডি হ্যাক করে সংগ্রহ করা হয়েছে। দেখুন তাহলে-

সময়গুলোর দিকে খেয়াল করুন। প্রশ্নফাসের কিন্তু এটাও একটা সুস্পষ্ট প্রমাণ।
অথচ এই ছেলে এখন সবাইকে বলে বেড়ায় সে নাকি গত বছর দুই মার্কের জন্য টিকে নাই মেডিকেলে।সে নাকি গত এক বছর রাত দিন এক করে পড়াশোনা করে। দৈনিক বিশ-থেকে বাইশ ঘন্টা পড়াশোনা করেছে। ভণ্ডামির তো একটা সীমা থাকে। এই ছেলে গত এক বছর বইও টাচ করে নাই। খবর নিয়ে জানা গেছে গত এক বছর সে সারাদিন তার এলাকার ছ্যাছড়া ছেলেদের দালালি আর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত টংগ এর দোকানে বিড়ি-সিগারেট আর আড্ডা দিয়ে সময় কাটিয়েছে। সেকেন্ড টাইমে মেডিকেল কোচিং দুই-এক মাসও সে করে নাই। সে কোন মডেল টেস্টেও অংশ গ্রহণ করে নাই। এবার একটা মজার তথ্য দেই। সে নর্থ সাউথে মেডিকেল এক্সামের বিশ আগেই এডমিট হয়েছিল। না ভাই সে বায়োলজি রিলেটেড কোন সাব্জেক্টে ভর্তি হয় নাই। সে কোন সাব্জেক্টে ভর্তি হয়েছিল জানেন? কম্পিউটার সায়েন্স ! এর প্রমাণও যদি চান তাহলে আপনারা নর্থ সাউথে লাস্ট সিজনে যারা কম্পিউটার সায়েন্সে এডমিট হয়েছে তাদের লিস্টটা চেক করলেই পাবেন। এ তো গেল আমাদের গল্পের নায়কের (নাকি খলনায়ক?) গল্প। গল্পে নায়ক আছে আর নায়িকা থাকবে না তা কি হয় নাকি? পড়তে থাকুন…… কেসস্টাডি ২ঃ

আমাদের গল্পের নায়িকা,বাহ বাহ
নামঃ শাহনাজ জেসমিন জিনিয়া
মেরিট পজিশনঃ ১২
সিলেক্টেড মেডিকেল কলেজঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ
কলেজঃ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ,মতিঝিল শাখা
স্কুলঃ এ কে হাই স্কুল মেডিকেল
কোচিং সেন্টারঃ মেডিকো,শান্তিনগর শাখা,
সেকেন্ড টাইমার প্রশ্ন আসতে পারে উনিই কেন নায়িকা হলেন? আসলে উনি আক্ষরিক অর্থেই গল্পের নায়িকা। মানে আমাদের নায়কের সাথে মন দেয়া-নেয়া চলছে বহুদিন ধরে। মাধ্যমিক লেভেল থেকেই তাদের সম্পর্ক।সেই সম্পর্ক এখন চার বছর পেরিয়ে আজ প্রায় পাঁচ বছর। পাচ বছরে একটা সম্পর্ক কতটা গভীর হতে পারে তা তো আপনারা বোঝেনই। আমি আর কিছু না বললাম। তাহলে আসুন দেখি আমাদের নায়ক-নায়িকার কিছু যুগল ছবি।

বাহ!

বাহ! বাহ !

বাহ ! বাহ ! বাহ !
তো মিরাজ আহমেদ সাব্বি প্রশ্ন পেলে যে তার গার্ল ফ্রেন্ডও কোশ্চেন পাবে সেটা তো খুবই স্বাভাবিক। তবে এই মেয়ে ছাত্রী হিসেবে অপেক্ষাকৃত ভাল।সে মোটামোটি মানের পড়াশোনা করেছে বলে জানা গেছে। তবে ঢাকা মেডিকেলে মেরিট লিস্টে বার তম হতে হলে তাকে আরো দশবার জন্মগ্রহণ করতে হবে। সবচেয়ে মজার ব্যপার কি জানেন? চুরি করার নূন্যতম বুদ্ধিও এই মেয়ের নাই। সে নিজের মুখে স্বীকার করেছে যে সে আর তার বয়ফ্রেন্ড প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। আসুন দেখে নেই তার প্রমাণ।

ami apnar kase sikar korc………………

tk cay nai ! এই টাকলি নাকি মেডিকেলে ১২ তম !

বাহ বাহ ! টাকার হিসেব পাতিও দিয়ে দিছে। বাহ !

এই ইজি কোশ্চেন সলভ করতে পারতেছিল না?

কোয়েশ্চেন পেলে আপনি কি করতেন হ্যা? চোখ বন্ধ করে থাকতেন? মুহম্মদ জাফর ঈকবাল স্যার এই প্রশ্নের উত্তর দ্যান, পিলিজ লাগে !

ও আচ্ছা তাই?
এখন আপনারাই বলেন এই চুন্নিকে নিয়ে কি বলবেন? এসব গরু-গাধা নাকি ঢাকা মেডিকেলে ১২তম ! ছিহ ! বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই স্ক্রিনশটগুলোতে জিনিয়া দাবি করার চেষ্টা করেছে সে পূর্ণতা নামে এক মেয়ের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়েছে। কিন্তু তার এই দাবি প্রথমে দেয়া মিরাজ আহমেহ সাব্বির স্ক্রিনশটের সাথে সাথে কন্ট্রোভারসিয়াল। এই কন্ট্রোভারসি নিয়ে পরে লেখা হবে। পড়তে থাকুন। এখন আসুন গল্পের অন্যান্য চরিত্রের সাথে পরিচিত হই। কেসস্টাডি ৩ঃ

ইসরাত জাহান ঈশিতা ( লো রেজুলেশন ছবির জন্য দুঃখিত)
নামঃ ইসরাত জাহান ঈশিতা
মেরিট পজিশনঃ ৯২
সিলেক্টেড মেডিকেল কলেজঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ
কলেজঃ হলিক্রস কলেজ,ঢাকা
স্কুলঃ এ কে হাই স্কুল
মেডিকেল কোচিং সেন্টারঃ মেডিকো,শান্তিনগর শাখা, সেকেন্ড টাইমার
এই মেয়ের ব্যাপারে কোন কিছু বলার আগে বলব সে ভাল ছাত্রী। পড়াশোনা সে মোটামোটি করেছে। কোচিং এও নাকি রেজাল্ট ভালোই করত। হয়ত সে ফেয়ারলি এক্সাম দিলেও কোন মেডিকেলে চান্স পেত।কিন্তু ঢাকা মেডিকেলে চান্স পেতে তাকেও আবার জন্ম গ্রহণ করা লাগবে। নির্মম সত্য হচ্ছে সেও প্রশ্ন পেয়েই পরীক্ষা দেয় এবং সে প্রশ্ন পেয়েছে সাব্বি এবং জিনিয়ার কাছ থেকেই।কিন্তু সে নাকি চান্স পাও্যার পর এমন ভাব নিচ্ছে যে সে ঢাকা মেডিকেলে চান্স পাওয়ার যোগ্য।কথা হচ্ছে যোগ্যতার কোন প্রশ্ন এখানে নেই। প্রশ্ন হচ্ছে সততার। তুমি সৎ ভাবে পরীক্ষা দিয়েছ কিনা সেটাই বিবেচ্য বিষয়। আর সত্যিটা হচ্ছে তুমি প্রশ্ন পেয়েই পরীক্ষা দিয়েছ। প্রতিটা গল্পেই কিছু এক্সট্রা চরিত্র থাকে। এ গল্পেও আছে। আসুন পরিচিত হই তাদের সাথে। কেসস্টাডি ৪

রাউদিয়া চৈতি
নামঃ রাউদিয়া চৈতি
মেরিট পজিশনঃ সঠিক তথ্য নেই
সিলেক্টেড মেডিকেল কলেজঃ SSMC
কলেজঃ ভিকারুন নেসা নূন কলেজ স্কুলঃ ভিকারুন নেসা নূন স্কুল
মেডিকেল কোচিং সেন্টারঃ মেডিকো,শান্তিনগর শাখা,
সেকেন্ড টাইমার এই মেয়ে নিয়ে তেমন কোন তথ্য দেয়ার নেই। একটাই বলব পড়াশোনার কোন বালাই তার মধ্যে ছিল না কখনোই। সারাদিন ফেসবুক চালানোই তার কার্যক্রমের মধ্যে পড়ে। এই মেয়ে মেডিকেলের নার্স হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না। প্রশ্ন পাওয়ার সোর্স ও সেই একই। সাব্বি, জিনিয়া। কেসস্টাডি ৫ঃ

জেনিফার রোজারিও
নামঃ জেনিফার রোজারিও
মেরিট পজিশনঃ সঠিক তথ্য নেই
সিলেক্টেড মেডিকেল কলেজঃ SSMC
কলেজঃ হলিক্রস কলেজ,ঢাকা
স্কুলঃ সঠিক তথ্য নেই
মেডিকেল কোচিং সেন্টারঃ মেডিকো,শান্তিনগর শাখা,
সেকেন্ড টাইমার এই মেয়ের ব্যপারেও চৈতির মত একই কথা বল্ব মেডিকেলে নার্স হওয়ারও যোগ্যাতা নেই তার। সারাদিন বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে সে ব্যস্ত থাকে। অপেক্ষা করুন ছবি আসছে ! ঈশিতা, চৈতি এবং জেনিফার প্রসঙ্গঃ অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন মিরাজ আহমেদ সাব্বি, জিনিয়া এবং ঈশিতার সব প্রমাণ আছে কিন্তু চৈতি এবং জেনিফার নামের মেয়ে দুটির ছবি এখানে কেন? আছে ভাই কারণ আছে। প্রমাণ, তথ্য ব্যতিত কিছু প্রকাশ করা হবে না। ঈশিতা, জেনিফার কলেজ ফ্রেন্ড আর চৈতি তাদের কোচিং এর ফ্রেন্ড। তিনজনের বলা চলে বেশ ভাল বন্ধুত্ব। ঈশিতা প্রশ্ন পায় সাব্বি আর জিনিয়ার কাছ থেকে। পরে সে প্রশ্ন জেনিফার আর চৈতিকে দেয়। এদের সবার মাঝেই বেশ ভাল সম্পর্ক। তারা একসাথে মেডিকো তে কোচিং করত। আসুন দেখি তাদের ছবি।

“we hv a strong bonding !” Yeah, We’ve figured it out 😉
হ্যা আসলেই তোমাদের বন্ডিং অনেক ভাল। কিন্তু সেটা হচ্ছে চুরির বন্ডিং। আর চোর-চুন্নিরা একসাথেই থাকে। আর দেখে দিন সব চোর-চুন্নিরা কিভাবে কোশ্চেন পাওয়ার পর মাস্তি করে।

চুরি করে চান্স পাওয়ার পরের ছবিঃ মিরাজ আহমেহ ছাব্বি, জেসমিন জিনিয়া, ঈশিতা, চৈতি, জেনিফার এবং তার গর্বিত বয়ফ্রেন্ড !

রেস্টুরেন্টঃ ক্যাফে থিয়েটার,অক্টোবর ১তারিখ।চুরি করছিস ঘরে লুকায় থাকবি। সবগুলা মিলা রেস্টুরেন্টে যাস কোন সাহসে?
কেসস্টাডিঃ ৬

পূর্ণতা আফরিন
নামঃ পূর্ণতা আফরিন
মেরিট পজিশনঃ ৮৮০
সিলেক্টেড মেডিকেল কলেজঃ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
কলেজঃ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল শাখা
স্কুলঃ এ কে হাই স্কুল
মেডিকেল কোচিং সেন্টারঃ মেডিকো,শান্তিনগর শাখা,
সেকেন্ড টাইমার একসময় জিনিয়া আর পূর্ণতা খুব ভাল বান্ধবী ছিল।কিন্তু এই সম্পর্ক কলেজে শেষে ভেংগে দা কুমড়া সম্পর্কে পরিনত হয়।লাস্ট এক বছরে তাদের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল।আর জিনিয়া পূর্ণতার মাঝে যে কোন সম্পর্ক নেই তার প্রমাণ উপরের ছবিগুলা । এসব ছবির এক জায়গাতেও পূর্ণতা নেই। জিনিয়া স্ক্রিনশটে ক্লেইম করে যে সে প্রশ্ন পেয়েছে পূর্ণতার কাছ থেকে। এসব থেকে তিনটি মতে পৌছানো যায়- ১।হতে পারে পূর্ণতা নিজ থেকে পড়ে চান্স পেয়েছে। জিনিয়া তাকে ফাসানো জন্য এসব বলেছে।প্রশ্ন সাব্বিই জোগাড় করেছে।কিন্তু জিনিয়া ফাসাতে গিয়ে যে নিজেই ফেসে গেছে তা বুঝতে পারে নি। ২। অথবা পূর্ণতা প্রশ্ন পেয়েই চান্স পেয়েছে। কিন্তু সে প্রশ্ন সাব্বি জিনিয়াকে দেয় নি এবং সে সাব্বি জিনিয়ার কাছ থেকেও প্রশ্ন পায় নি। জিনিয়া এখানে পূর্ণতার নাম বলেছে বিষয়টি পূর্ণতার দিকে নিয়ে গিয়ে নিজেদের সেফ করতে। যাতে করে তারা যে ক্রিমিনাল মানুষ সেটা না খেয়াল করে। ৩। এটাই হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। জিনিয়ার স্ক্রিন শটগুলো শেষটিতে সে স্বীকার করে যে পূর্ণতা তাকে ৭৮টি প্রশ্ন দিয়েছে। তার মানে এটা হতে পারে যে বাকি বাইশটি প্রশ্ন পূর্ণতা পায় নি কিন্তু সাব্বি,জিনিয়া তা সংগ্রহ করতে পেরেছিল কিন্তু পূর্ণতাকে তারা সে প্রশ্ন দেয় নি। যার কারণে ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর পূর্ণতা সরাসরি প্রশ্ন না পাওয়ার দাবি করে এবং সাব্বি-জিনিয়া প্রশ্ন পেয়েছে বলেও সবার কাছে অভিযোগ করে।
মেডিকো ইস্যুঃ জিনিয়া ক্লেইম করেছিল যে পূর্ণতা কোচিং এর স্যারের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়েছে।এই কোচিং বলতে কি সে মেডিকোকেই বুঝিয়েছে? আর ওরা সবাই মেডিকোতেই পড়ত। একই শাখায়। মেডিকো কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এ ব্যপারে। তারা যেন এ ব্যপারগুলো নিয়ে কথা বলে।আমরা কোন ভাবেই দাবি করছি না যে তারা প্রশ্ন মেডিকো থেকে পেয়েছে। তবে তারা সবাই মেডিকোর একই ব্রাঞ্চে পড়ত, এটা একটা ফ্যাক্ট। মেডিকো থেকে তারা কোশ্চেন পেয়েছে এমন কোন তথ্য প্রমান আমাদের কাছে নেই। আর এই পোস্টের উদ্দেশ্য কোনভাবেই মেডিকো নয়। এখন সবার উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চাই। সাব্বি,জিনিয়া,ঈশিতা, চৈতি , জেনিফার, পূর্ণতার উদ্দেশ্যঃ জানি তোমাদের সবার আইডি ডিএক্টিভেট থাকলেও অন্য সবার চেয়ে তোমরাই এই লেখা সব থেকে বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়বে। প্রথমেই বলব তোমাদের উপর আমার কোন ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। তোমাদের সাথে আমার সামনা সামনি পরিচয়ও নেই।কিন্তু তোমাদের বিরুদ্ধে তোমাদের ক্লাসমেট, তোমাদের যার পারসোনালি চেনে তারা আমাদের যে তথ্য প্রমাণ দিয়েছে তাতে তোমাদের নিয়ে লিখতে বাধ্য হয়েছি। বুঝতেই পারছ তোমাদের চুরি বিদ্যার প্রচেষ্টা সফল হয় নি। তোমাদের সবার পরিচয় ফাঁস হয়ে গিয়েছে।এখন তোমাদের সামনে একটা রাস্তাই খোলা আছে তা হচ্ছে তোমাদের অপরাধ স্বীকার করা। তোমরা কাল শাহবাগে গিয়ে মিডিয়ার সামনে সব স্বীকার করবে। কিভাবে কার কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়েছ সব বলবে। তাহলেই এই পেজ থেকে সব পোষ্ট ডিলিট করা হবে। আর যদি বাড়াবাড়ি কর তবে জেনে রাখ তোমাদের সব তথ্য উপাত্ত কিন্তু আমাদের কাছে জমা জমা হয়ে আছে। প্রয়োজনে সেগুলোও প্রকাশ করা হবে। আর তারপরেও যদি তোমরা মেডিক্যাল প্রাঙ্গনে পা রাখো তবে তোমাদের ছবিসহ পোস্টার-লিফলেট ঢাকা মেডিক্যাল, চানখারপুল, টিএসসি, পলাশীতে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। লোকজন তোমাদের দেখলেই যেন পিটায়ে পিঠের ছাল তুলে নেয়।
মেডিক্যালের অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রী ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের জন্যঃ
আমার মনে হয় আপনাদের মনে আর কোন সন্দেহ নেই যে এবার কিভাবে প্রশ্নফাঁস হয়েছে এবং কোন ধরণের কুলাঙ্গাররা ভালো ভালো মেডিক্যালে চান্স পেয়েছে। আপনারা কি চান এসব কুলাঙ্গাররা আপনাদের পবিত্র সাদা এপ্রন পরে ডাক্তারি পেশার মত এমন একটি মহৎ পেশার পবিত্রতা ধুলোয় মিশিয়ে দিক?
আপনাদের সামনে এখন একটি পথই খোলা আছে। তা হোল জীবন দিয়ে হলেও এবারের মেডিক্যালের ভর্তি বাতিল করে আবার পরীক্ষা আয়োজন করুন। আমি বিশেষ ভাবে ঢাকা মেডিক্যাল ও সলিমুল্লাহ মেডিক্যালের অধ্যয়নরত ছাত্র , ইন্টার্ন ডাক্তারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।আপনারা কিভাবে মেনে নিতে পারেন এই অন্যায়? দিন রাত এক করে পড়ালেখা করে আপনারা এইসব মেডিক্যালে চান্স পেয়েছেন ।সেখানে আবার অধিকাংশ ছেলে-মেয়ে প্রশ্ন পেয়ে চান্স পেয়েছে। আপনাদের বিবেকে কি একটুও বাঁধে না? নাকি আপনারা তাদেরই মত।দরকার হয় জীবন দিয়ে দিন। ঢাকা মেডিকেল আর সলিমুল্লার ৫০০ ছাত্র-ছাত্রী শাহবাগে অবস্থান নিলে দুনিয়ার কারও ক্ষমতা নাই রিএক্সাম ঠেকানোর। দোহায় লাগে আপনাদের। পরিস্থিতি অনুধাবন করেন, প্লিজ।
দ্রষ্টব্যঃ এই লেখাটি ফেসবুক থেকে নেয়া, এই লেখাটি প্রকাশের জন্য কর্মকর্তাদের কোন দায় থাকিবে না। শুধু মেডিক্যালের সচেতনতায় এই লেখাটি পাঠকরা প্রকাশ করেছে!
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More