হাসিনার ক্ষমতার ট্রেন দিল্লী থেকে কলকাতায়! বিবিসির সংবাদে বিজেপির সমর্থন প্রসঙ্গ

0

2047এম মাহাবুবুর রহমান

আর কত দেরী পাঞ্জেরী? এ প্রশ্ন এখন বাংলাদেশী সব মানুষের। ছোট-বড়, ছাত্র-জনতা, রাজনীতিক-সাধারণ মানুষ সবাই স্বস্তির অপেক্ষায়। এই অপেক্ষার পালা যত দ্রুত সম্ভব শেষ চায় সবাই। প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে পাঞ্জেরী কে? এক মাস আগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু হওয়ার অাগে পাঞ্জেরী মনে করা হতো সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। তার কাছে সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ না থাকায় সবাই পরিচিতজন বিএনপি কিংবা জোটের নেতাদের কাছে এমন প্রশ্ন রাখতেন। কেউ জবাব দিতে পারতেন না। এ নিয়ে অনেক হাস্যরস হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার কর্মসূচি দেয়া নিয়ে অনেকগুলি আল্টিমেটামকে কেন্দ্র করে অনেক তামাশার বাক্য কম-বেশী সবাই শুনেছেন। রমজানের পর, ঈদের পর, নতুন বছর – আরো কতো কি।

মজার বিষয় হলো- রাত পোহাবার কত দেরী পাঞ্জেরী? এই প্রশ্ন এখন আর বেগম খালেদা জিয়া নিজের কাছে রাখেননি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র মুক্তির ‘শ্বাশত পাঞ্জেরী’ হিসেবে তিনি অবরুদ্ধ থেকেও এবার নিজের অস্তিত্বকে ছড়িয়ে দিয়েছেন সর্বত্র। প্রশ্ন আর তাকে করার নেই। এখন প্রশ্ন – রাজপথে লড়াকু কোটি জনতার প্রতি। জীবন বাজি রেখে যারা লড়ছেন, সেই বীরদের প্রতি। একজন সংবাদ কর্মী হিসেবে যতটুকু খবর পাই, তাতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের রাজপথের বীরগণ ‘শ্বাশত পাঞ্জেরী’ বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষণা মতোই যতদিন শেখ হাসিনার বিদায় না হয়, ততোদিন লড়াই অব্যাহত রাখার শক্তি রাখেন। আর সেভাবেই তারা কৌশল ঠিক করছেন, বাস্তবায়ন করছেন। এটা অব্যাহত রাখা গেলে তাদের বিজয় যে অবশ্যাম্ভাবী, তাতে কোনো দ্বিধা নেই।

এই অবশ্যাম্ভাবী শব্দটাকে অনেকে আরেক ধাপ এগিয়ে বলতে চান, শেখ হাসিনার বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। তবে বিদায় ক্ষণটা এখন নির্ধারণ বাকী। এ প্রসঙ্গে সোয়া যুগের সাংবাদিকতার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা এবং রাজনীতি পর্যবেক্ষণের আলোকে আমি একটি সংবাদ ব্যাখ্যার মাধ্যমে এই দৃঢ় মন্তব্যের প্রমাণ তুলে ধরছি।

পাঠক এটা ধরে নিতে পারেন, একজন ক্ষুদ্র সাংবাদিকের একটি প্রভাবশালী বিশ্ব মিডিয়ার সংবাদের পোস্টমর্টেম করার দু;সাহসিক চেষ্টা হিসেবে। ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ বিশ্বের প্রভাবশালী মিডিয়া বিবিসি’র বাংলা সার্ভিসে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট একটি সংবাদ গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম হয়েছে। সংবাদটি দেখে আর দশজন উদ্বিগ্ন বাংলাদেশীর মতো আমিও হতচকিত হই। কিন্তু সংবাদটি পুরোটা তিনবার পড়বার পর মনে হলো, ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের পত্রিকায় টাকার লেনদেনে যাচ্ছে-তাই ঘটনাকে সংবাদ বানানোর দৃষ্টান্ত বিশ্বখ্যাত মিডিয়ায়ও হয়ে থাকে।

অনেক সাহস করেই কথাগুলো বলছি। বিবিসি’র সংবাদটির শিরোণাম ‘হাসিনা সরকারের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত বিজেপি’। লিখেছেন শুভজ্যোতি ঘোষ, বিবিসি বাংলা, দিল্লি। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ‘হত্যাকারী’ শেখ হাসিনাকে সরাতে যখন দীর্ঘ অান্দোলন চলছে, তখন এমন একটি সংবাদ নিশ্চয়ই গুরুত্ব বহন করে। গান্ধী পরিবারের স্বজন হিসেবে বিগত কংগ্রেস সরকার শেখ পরিবারের মেয়ে হাসিনাকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে যার-পর-নাই নির্লজ্জ সহায়তা করেছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সময়ে। এসব নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। সম্প্রতি বরখাস্ত হওয়া কংগ্রেস সরকারের নিয়োগ-প্রাপ্ত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং এবং স্বরাষ্ট্র সচিব অনীল গোস্বামীর বর্বর আচরণের কথা বাংলাদেশের মোটামুটি রাজনীতি সচেতন মানুষের জানা। আর এজন্যই তাদের বিদায়ের পর গত সপ্তাহজুড়ে বাংলাদেশের মানুষের মুখে মুখে ছিল তাদের পাপাচারের নিন্দা।

এরই মধ্যে শত কোটি টাকা লটারি পাওয়ার মতো আওয়ামী লীগের পুনর্জীবন দিতে কলকাতার শুভজ্যোতি ঘোষ বিবিসি বাংলায় একটি প্রোপাগান্ডা সংবাদ প্রকাশ করলেন। বললেন, ‘বাংলাদেশে গত এক মাস ধরে যে প্রায় নজিরবিহীন রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা চলছে, সেই সঙ্কটে ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্ব ঢাকার শেখ হাসিনা সরকারের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত বলেই ইঙ্গিত মিলেছে। বিজেপি-র প্রথম সারির নেতারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার মতো ‘পরীক্ষিত বন্ধু’র পাশ থেকে সরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তবে একান্ত আলোচনায় তারা এটাও স্বীকার করছেন, বিরোধী বিএনপি-র সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ আছে – কিন্তু সেটা স্বাভাবিক রাজনৈতিক সম্পর্কের বাইরে কিছু নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা-র সাম্প্রতিক ভারত সফরেও বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার ওপর ভারত ও আমেরিকা উভয়েই গুরুত্ব আরোপ করেছে বলে তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন।’

এমন বোমা ফাটানো সংবাদে যে রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে তা দেখেই পাঠক অনুমেয় হয়, এটা একটি প্রোপাগান্ডা সংবাদ। এখানে টাকার লেনদেন কিংবা অন্য কিছু আছে – নি:সন্দেহে তা বলা যায়। কেননা শেখ হাসিনার পাশে বিজেপি-কে দাড় করিয়ে রাখতে সাংবাদিক শুভজ্যোতি বাবু যার বক্তব্য রেফারেন্স হিসেবে এনেছেন, তার নাম সিদ্ধার্থ নাথ সিং। তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। পূর্ণ সভাপতিও নন। তিনি বিজেপির কোনো কেন্দ্রীয় নেতা নন। তিনি মন্ত্রী তো দূরের কথা, বিজেপির সংসদ সদস্যও নন। তিনি এমন একটি রাজ্যের বিজেপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, যেই রাজ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন বিজেপির অবস্থান তৃতীয়। শুভজ্যোতি ঘোষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স হিসেবে বিবেচিত এই নেতাকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল বিএনপির হিসেবে গোপালগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতির মর্যাদার। কিংবা আওয়ামী লীগের বেলায় বগুড়া বা ফেনী জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।

পাঠক একটু ভাবুন, গোপালগঞ্জের বিএনপি, বগুড়া বা ফেনী জেলার আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি যদি বলেন, আমরা পার্শ্ববতী নেপাল রাষ্ট্রের নতুন সরকারকে সমর্থন দিচ্ছি এবং তাদের সহেযাগিতায় পাশে থাকবো। এই সংবাদটি দুই দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়া কিংবা শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছারও কি কোনো সুযোগ আছে? আমার অভিজ্ঞতা বলে, না তা পৌঁছবে না। ভারতের বেলায়ও যে একই অবস্থা হবে – তা নিয়ে সন্দেহ করার কিছু নেই। ধরুন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে কি আলোচনা হয়েছে, কিংবা নরেন্দ্র মোদী কি বলেছে, তা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিদ্ধার্থ নাথ সিং-এর জানার কথা নয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্র্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভারত সফরের সময় সিদ্ধার্থ নাথ বাবুর অবস্থান বা ভুমিকা কি ছিল – তা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমরা সন্দেহটা বিবিসি সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষের দিকে। তিনি আরেকজন বিজেপি নেতার মন্তব্য দিয়েছেন। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র এম জে আকবরকে তিনি উদ্ধৃত করে আরো বললেন, ‌’এম জে আকবর বাংলাদেশ-সংক্রান্ত অনেক বিষয় দেখাশুনা করেন, সেই মি আকবরও বলছিলেন ভারত চায় সেখানে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হোক – কিন্তু তার জন্য ভারত আদৌ কোনও হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয়। তাঁর কথায়, ‘আমরা সব সময় চাই আমাদের দেশে ও প্রতিবেশী দেশে শান্তি থাকুক। কিন্তু প্রতিবেশী দেশে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠলেও সেখানে নাক গলানো বা হস্তক্ষেপ করাটা কিন্তু ভারতের নীতি নয়। সেটা ভারত কখনও করেনি, করবেও না।’

এম জে আকবর সাহেবের বিজেপিতে যোগদানের মেয়াদ, দলের ওপর প্রভাব কিংবা মোদীকে নির্দেশিত করার সক্ষমতা নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই। কিন্তু সাংবাদিক শুভজ্যোতি ঘোষ এম জে আকবরের মন্তব্যের পরই নিজের দেয়া বিশ্লেষণে যা বললেন – তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। তিনি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অনেক কিছু বলে দিলেন। আর সংবাদের শেষে শুভজ্যোতি বাবু নিজের দুর্বলতাটুকু প্রকাশ করে দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতারা একটা কথাই শুধু জোর দিয়ে বলছেন, বাংলাদেশ সঙ্কটের সমাধান খুঁজতে হবে গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যেই – তার অর্থ যেভাবেই করা হোক না কেন। গণতন্ত্রের বাইরে এই সঙ্কটের অন্য কোনও সমাধান নেই – সেটাও তারা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন।’ এই কথাগুলো বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অবৈধ মন্ত্রী-এমপিরা বলেন। তাদের সরকারকে বৈধ মনে করে গণতান্ত্রিক উপায়ে পাঁচ বছর ক্ষমতা ভোগের স্বপ্নের রিহারর্সাল প্রতিদিনই আমরা শুনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একথাগুলো মাঝেমাঝেই উদ্ধৃত করেন। সেই কথাগুলো আওয়ামী লীগের দেয়া অ্যাসাইনমেন্ট অনুযায়ী সাংবাদিক শুভজ্যোতি ঘোষ বিজেপির এমন রাজ্য পর্যায়ের নেতাদের মুখ থেকেও বলাতে সক্ষম হননি। এটা তার একটি ব্যর্থতা। যদি তাদের মধ্যে কোনো লেনদেন হয়ে থাকেই, হয়তো সেজন্য তিনি বিবিসি’র নিরপেক্ষতা ভেঙ্গে সাংবাদিকতার রীতি-নীতি উপেক্ষা করে নিজেই শেখ হাসিনার ক্ষমতার শেষ বেলায় একটু পেরেক দিয়ে ঠেস দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

সাংবাদিক শুভজ্যোতি ঘোষের এমন চেষ্টার আভাস আমি আগেই পেয়েছিলাম। ঢাকার একটি জাতীয় দৈনিকের এক সাংবাদিক সহকর্মী গত সপ্তাহখানেক আগে ব্যক্তিগত ফোনালাপে আমাকে বলেছিলেন, ‘সপ্তাহখানেকের মধ্যে আওয়ামী লীগ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পজেটিভ একটি বিবৃতি আদায় করবে। আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ এবং শেখ হাসিনার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গওহর রিজভি এই প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করছেন। বিশাল অংকের টাকার লেন-দেনেরও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বিবিসি-তে প্রকাশিত সংবাদের পর সবকিছু মিলে গেল। টাকার লেনদেনের এই সন্দেহের খাতায় রাজনীতিকদের সঙ্গে একজন সাংবাদিকের নামও জড়িয়ে পড়ায় একটু লজ্জিত হচ্ছি। বাংলাদেশের গণমানুষের লুট করা টাকা এমন একটি বেহুদা কাজে ব্যয় হওয়ায়ও একটু খারাপ লাগছে। যাইহোক, ব্যক্তিগত ভাল লাগা-মন্দ লাগা এবং পেশার বিষয়টা বাদ দেই।

সবকিছুর পরও বিবিসির শুভজ্যোতি ঘোষকে ধন্যবাদ জানাই তার মহান একটি কাজের জন্য। একজন দূর প্রবাসের একই পেশার ক্ষুদ্র সহকর্মী হিসেবে এবং বাংলাদেশের নাদান নাগরিক হিসেবে এতটুকু ধন্যবাদ জানানোর সক্ষমতা আমি দেখাতেই পারি। কেননা বহুল প্রচারিত বিশ্বখ্যাত বিবিসিতে সংবাদ প্রকাশ করে তিনি অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার ট্রেন যে দিল্লী ছেড়ে এখন কলকাতায় এসে পৌঁছে গেছে – সেটা প্রমাণ করেছেন। পাঠক আপনাদের জানা আছে, বাংলাদেশের জনগণের ওপর থেকে শেখ হাসিনা অাস্থা উঠিয়ে নিয়েছেন ২০১১ সালের ১০ মে নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক ব্যবস্থা তুলে দেয়ার মাধ্যমে। এরপর তিনি গান্ধী পরিবারের স্বজন হিসেবে কংগ্রেস সরকারের মাধ্যমে তার শক্তির আঁধার স্থাপন করেন দিল্লীতে। আর সেই শক্তির জোরের কথা বলেই তিনি বাংলাদেশে হত্যা-লুন্ঠন আর রক্তের হলিখেলার আয়োজন করেন। একই শক্তির জোর প্রদর্শিত করে শেখ হাসিনা গণতন্ত্র হত্যা এবং জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ফের প্রধানমন্ত্রীর আসন দখল করেন। ভারতে কংগ্রেসের ভরাডুবি, সম্প্রতি নাটের গুরু কংগ্রেস প্রতিনিধি সুজাতা সিং এবং নীল গোস্বামী বরখাস্ত হওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনার ক্ষমতার ট্রেন দিল্লী থেকে এখন বাংলাদেশ সীমান্ত পশ্চিমবঙ্গে। এই অবৈধ ক্ষমতার ট্রেন সীমান্ত থেকে যে কোনো সময় বাংলাদেশে ঢুকে চলমান গণলড়াইয়ের অগ্নিস্ফুলিঙ্গে দগ্ধ হবে, এটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সেই প্রত্যাশায় আমিও বলছি, রাত পোহাবার কত দেরী পাঞ্জেরী। আর সাধারণ মানুষের প্রাইভেটকার, বাস, মিনিবাস নয়; কখন পুড়ে ছারখার হবে শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার ট্রেন? সেই প্রতীক্ষায় বাংলার ১৬ কোটি মানুষের মতো সুদূর প্রবাস থেকে আল্লাহ হাফেজ।

লেখক: যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক ও গবেষক।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More