রিজার্ভ চুরি: মামলা বাতিলে আসামিদের আবেদন খারিজ, মধ্যস্থতার নির্দেশনা

0

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির মামলা বাতিলে আসামিদের দুই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন নিউইয়র্কের আদালত। ফিলিপাইনের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও মামলার আসামিরা বাংলাদেশের মামলা বাতিলের আবেদন করেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে মামলার এই হালনাগাদএ তথ্য জানিয়েছে।

নিউইয়র্কের আদালতের এ রায়ের ফলে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির মামলার অভিযুক্ত ফিলিপাইনের আরসিবিসি, কিম অংসহ ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা চলার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা নেই।

নিউইয়র্কের আদালত এ মামলায় অভিযুক্তদের আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জবাব দিতে বলেছেন এবং মধ্যস্থতার নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থ ফেরত আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) ও ছয় আসামি আদালতে আবেদন করে জানায় যেন বাংলাদেশের করা মামলা বাতিল করা হয়। এই আবেদন ১৩ জানুয়ারি খারিজ করে দিয়েছেন নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট বা স্টেট কোর্ট। পাশাপাশি এ মামলার অভিযুক্ত অপর আসামি কিম অংয়ের করা ‘মামলা বাতিলের আবেদন’ও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্ক বা ফেডারেল আদালতে ফিলিপাইনের বেসরকারি খাতের ব্যাংক আরসিবিসিসহ ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থ উদ্ধারে এ মামলা করা হয়। পরে ওই মামলা বাতিলে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করে আরসিবিসিসহ ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে ফেডারেল আদালত ২০২০ সালের ২০ মার্চ মামলা বাতিলের ওই আবেদন খারিজ করে মামলাটি ফেডারেল আদালতের বদলে স্টেট কোর্টে পরিচালনার নির্দেশ দেন।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে নিউইয়র্কের ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১০ কোটি টাকা) চুরি হয়।

তবে এর মধ্যে দুই কোটি ডলার শ্রীলঙ্কা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি আট কোটি ডলারের বেশি ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যায়। ওই অর্থ এখনও উদ্ধার হয়নি। সেই অর্থ উদ্ধারেই নিউইয়র্কের আদালতে মামলা চলছে।

(ঢাকাটাইমস

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More