[ads1]বিশ্বের শীর্ষ ধনী বিল গেটস প্রতিষ্ঠিত বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের নাম প্রায় সবারই জানা। গরিব দেশগুলোর মানুষে জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই দাতব্য সংস্থাটি। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে এতদিন কাজ করলেও সম্প্রতি কাজের ধরনে পরিবর্তন এনেছে গেটস ফাউন্ডেশন। যেসব প্রযুক্তি নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য সুবিধা করে দিতে পারে এখন এমন ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগ করছে বিল গেটস এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশে বিকাশ খুব সহজলভ্য এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে সহজেই এক যায়গা থেকে অন্য যায়গায় টাকা লেনদেন ও মোবাইল ওয়ালেটের কাজ করা যায়। এর সম্ভাবনার দিক বিবেচনা করেই ২০১৫ থেকে বিকাশে বিনিয়োগ শুরু করেন বিল গেটস।
এ সম্পর্কে ব্লুমবার্গকে বিল গেটস বলেন, ‘আমার যা ধারণা ছিল তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকিং। এর আগেও ক্ষুদ্রঋণ ও সমবায়ের মাধ্যমে চেষ্টা করা হয়েছিল তবে এসবের লেনদেনের ফি ছিল খুব বেশি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খুব স্বল্প ফি দিয়ে লেনদেনের এই সুবিধা চালু না হলে ব্যাংকিং শুধুমাত্র ধনীদের বিষয়ই হয়ে থাকতো।’[ads2]
২০১১ সালে বাংলাদেশে বিকাশের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা কামাল কাদির ও তার ভাই ইকবাল কাদির বিকাশ প্রতিষ্ঠা করেন। তাদের আগের ব্যবসার লভ্যাংশ ও ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে থাকা মানুষদের কাছে মোবাইলভিত্তিক লেনদেন নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিকাশের যাত্রা।
শুরুর বছরই ২০ লাখ মানুষকে আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয় বিকাশ। আর ২০১৫ সালে এসে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৭০ লাখ।