বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় নক্ষত্রের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন। এর ওজন সূর্যের চেয়ে ২৬৫ গুণ বেশি এবং প্রায় এক কোটি সূর্যের আলোর সমান উজ্জ্বল।
নক্ষত্রটির সন্ধান পাওয়া গেছে, আমাদের ছায়াপথের প্রতিবেশী ‘বৃহৎ মেগিলানিক মেঘমণ্ডল’ নামে পরিচিত ছায়াপথে । আমাদের ছায়াপথ থেকে এ ছায়াপথের দূরত্ব এক লাখ ৬৫ হাজার আলোক বর্ষ । ‘আর ওয়ান হানড্রেড থার্টি সিক্স এ ওয়ান’ (R 136a1) নামের এ নক্ষত্রের অবস্থান ‘বৃহৎ মেগিলানিক মেঘমণ্ডলের’ কেন্দ্রে অবস্থিত ট্যারান্টুলা নেবুলা নামের নক্ষত্রপুঞ্জতে এর অবস্থান ।
আর ওয়ান হানড্রেড থার্টি সিক্স এ ওয়ান (R 136a1) খুব অল্প সময়ের মধ্যে সূর্যের চেয়ে ৫৫ গুণ বেশি ওজন হারিয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা জানান। উত্তর ইংল্যান্ডের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতি পদার্থবিদ পল ক্রোদার জানান, মানব শিশুর জন্মকালে ওজন কম থাকে ও বয়স বাড়ার সাথে সাথে ওজন বাড়ে।
কিন্তু, নক্ষত্রের বেলায় ঘটে ঠিক তার বিপরীত। জন্মকালে নক্ষত্রের ওজন বেশি থাকে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের ওজন কমতে থাকে। তিনি বলেন, আর ওয়ান হানড্রেড থার্টি সিক্স এ ওয়ান (R 136a1) এরইমধ্যে মাঝ বয়সে পা দিয়েছে এবং ব্যাপক পরিমাণ ওজন হারিয়েছে।
বিশালাকৃতির এ নক্ষত্রের উপরিভাগের তাপমাত্রা ৪০ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৭২ হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে-যা সূর্যের চেয়ে সাতগুণ বেশি ।পল ক্রোদার আরো জানান, সবচেয়ে বড় এ নক্ষত্রের আয়ু মাত্র ৩০ লাখ বছর হয়।
জ্যোতির্বিদরা একে খুবই কম আয়ু বলে মনে করেন। সূর্যের চেয়ে যে সব নক্ষত্রের ভর ৮ থেকে ১৫০ গুণ বেশি তারা জীবনের শেষভাগে ‘সুপারনোভায়’ পরিণত হয়। অর্থাৎ তাদের বিস্ফোরণ ঘটে। এ বিস্ফোরণে নিউরন নামের বিচিত্র এক বস্তু বা ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণ বিবরের জন্ম হয় ।
অন্যদিকে, জ্যোতির্বিদরা বলেন, অস্বাভাবিক রকমের উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলো প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। এ বিস্ফোরণের পর তাদের আর কোনো ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায় না।