২০১৩ সালের ওয়েব ইনডেক্সে বাংলাদেশ ৮১টি দেশের মধ্যে ৬৪তম স্থানে রয়েছে। ইন্টারনেটের ফলপ্রসূ ব্যবহারের মাধ্যমে বৈশ্বিক উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে এই ইনডেক্স প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ফাউন্ডেশন। এই ইনডেক্সে ভারত ৫৬, পাকিস্তান ৭৭ ও নেপাল ৭১তম স্থান পেয়েছে। ২০১৩ সালের ওয়েব ইনডেক্স লন্ডনে প্রকাশিত হয়েছে ২২ নভেম্বর। দ্বিতীয়বারের মতো এ ইনডেক্স প্রকাশিত হলো। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ওয়েব ইনডেক্স হচ্ছে বহুমাত্রিক একটি মাপকাঠি, যা দিয়ে বিশ্বের ৮১টি উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে সমন্বিত বিভিন্ন সূচকের মাধ্যমে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক প্রভাব যাচাই করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগ ও পরিকাঠামোও দেখা হয়েছে।
এরআগে ২০১২ সালের ইনডেক্সে ৬১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ছিল ৫৫। এই ইনডেক্স অনুযায়ী, ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেশগুলোতে রাজনৈতিক মতামত ফিল্টার করা হয়। এবারের ইনডেক্সে উল্লেখযোগ্য বিষয় হিসেবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে খারাপ উদ্দেশ্য ঠেকানোর জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিষয়টি খেয়াল করেছেন গবেষকেরা। এ ধরনের প্রতিরোধকে সরকার হুমকি মনে করে আরও কঠোর নজরদারি গড়ে তুলেছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলেই মনে করেন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব প্রবক্তা। তাঁর মতে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা ও অনলাইনে মুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এবারের ওয়েব ইনডেক্সে শীর্ষ পাঁচ দেশ সুইডেন, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও নিউজিল্যান্ড। সবার নিচে রয়েছে ইয়েমেন। বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জনক টিম বার্নার্স লি ইন্টারনেট ব্যবস্থায় নজরদারি বেড়ে যাওয়ার ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ওয়েব ইনডেক্সের অন্যান্য সূচক হিসেবে বাংলাদেশ ইন্টারনেট সুবিধার দিক থেকে ৬৫তম এবং ইন্টারনেট স্বাধীনতায় ৫৬তম স্থান পেয়েছে।