একবার নয়, চলতি বছরে পাঁচ-পাঁচবার চন্দ্র এবং সূর্যগ্রহণ দেখার সাক্ষী থাকবে বিশ্ব। যদিও ভারতে এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা যাবে মাত্র দুই বার। রবিবার উজ্জ্বয়িনীর জিওয়াজি অবজারভেটরির সুপারিনটেন্টডেন্ট তথা জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডঃ রাজেন্দ্রপ্রকাশ গুপ্ত এ খবর জানিয়েছেন। সৌরমণ্ডলের এই স্বর্গীয় ঘটনা নিয়ে এখন থেকেই গবেষণা শুরু করে দিয়েছেনে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ২০১৫ সালে মোট চারবার চন্দ্র-সূর্যের গ্রহণ হয়েছিল। এবার কেন পাঁচবার হবে, তা নিয়েও জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে চলছে জোর চর্চা।
রাজেন্দ্রপ্রকাশ জানিয়েছেন, আগামী ৯ মার্চ প্রথম সূর্যগ্রহণ হচ্ছে। এই সূর্যগ্রহণ কিছুটা দেখা যাবে উত্তর-পূর্বে। আবার ২৩ মার্চ ফের হবে চন্দ্রগ্রহণ। ওইদিন চাঁদের উপর উপচ্ছায়া দেখা যাবে। তবে তা ভারতে দৃশ্যমান হবে না। এর পর ১৮ আগস্ট ফের চন্দ্রগ্রহণ। ১ সেপ্টেম্বর হবে সূর্যগ্রহণ। ওইদিন সূর্যকে দেখা যাবে স্রেফ একটা আংটির মতো। সৌর জগতের এই দু’টি স্বর্গীয় দৃশ্যও ভারতে দেখা যাবে না। তবে হতাশার কিছু নেই।
রাজেন্দ্রপ্রকাশ জানিয়েছেন, বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। এবং এটাই সবচেয়ে বড় আকারে চন্দ্রগ্রহণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যা নিয়ে গবেষণা করতে মুখিয়ে রয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আশার কথা, এই চন্দ্রগ্রহণ ভারতের আকাশে দেখা যাবে। ওই দিন সূর্য, পৃথিবী এবং চন্দ্র একই কক্ষপথে সমান্তরালভাবে চলে আসবে। সূর্যের একটা বড় অংশ ঢেকে দেবে পৃথিবী। সূর্যের আলো সরাসরি চাঁদের উপরিভাগে পৌঁছাতে পারবে না। এর ফলে চাঁদের অপরপ্রান্তে উপচ্ছায়ার সৃষ্টি হবে।