আদালত যদি কাউকে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তবে অবশ্যই ফেসবুক বন্ধ করে রাখা উচিত। কারণ, ফেসবুক এখনো যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আদালতের এই উপদেশ ঠিকমতো নেননি যুক্তরাষ্ট্রের মারিয়া গঞ্জালেজ। তাঁর ফেসবুক পোস্টের কারণে এখন কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে।
নিউ ইয়র্ক ল জার্নালের প্রতিবেদনের বরাতে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট জানিয়েছেন, মারিয়া গঞ্জালেজকে তাঁর ননদ ম্যারিবেল ক্যালডেরনের সঙ্গে যোগাযোগে নিষেধ করেছিলেন আদালত। কিন্তু সে নিষেধ উপেক্ষা করে মারিয়া ফেসবুকে একটি পোস্ট লেখেন এবং সেই পোস্টে তাঁর ননদকে ‘স্টুপিড’ লেখেন বলে অভিযোগ ওঠে।
কাউকে যখন ফেসবুকে ট্যাগ করা হয়, তখন তিনি একটি নোটিফিকেশন পান। ননদকে পোস্ট ট্যাগ করায় গঞ্জালেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এ পোস্ট ট্যাগ করায় তাঁর এক বছরের জেল হতে পারে।
আইএএনএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাকটিং ওয়েসেস্টার কাউন্টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ক্যালডেরনকে ট্যাগ করার মারিয়ার পোস্টটিকে ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন বলে উল্লেখ করেছেন। বিচারক সুসান ক্যাপেসি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক বা অন্য যেকোনো উপায়ে যোগাযোগ’ বিষয়টির মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত।