চীনের শিল্প এবং বাণিজ্য প্রশাসন থেকে করা বিভিন্ন প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিতে মাইক্রোসফটকে বিশ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।
মাইক্রোসফটের বিভিন্ন সফটওয়ারের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে দেশটির শিল্প ও বাণিজ্য অধিদপ্তর থেকে মাইক্রোসফটের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড চ্যানকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে ২০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীনের শিল্প এবং বাণিজ্য প্রশাসনের সাম্প্রতিক তদন্তের মুখে পড়েছে মাইক্রোসফটসহ বিদেশী ৩০টি প্রতিষ্ঠান। ছয় বছরের পুরানো ‘অ্যান্ট্রি-ট্রাস্ট’ আইনের আওতায় চীনের সীমানার বাইরে দেশটির নাগরিকদের ডেটা সংরক্ষণ ও সাইবার নিরাপত্তা ইস্যু তদন্ত করা হচ্ছে।
তবে ওই আইনের সুযোগ নিয়ে অন্যায়ভাবে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সমালোচকরা। যদিও বরাবরের মতোই সমালোচকদের বক্তব্য প্রত্যাখান করে আসছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
চীনের সরকারী সংবাদ মাধ্যমগুলোর থেকে বলা হয়েছে, তাদের স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, মাইক্রোসফটের বিভিন্ন ভেরিফিকেশন বা শনাক্তকরণ পদ্ধতি নিয়ে। মাইক্রোসফট চীনের বাজারে একচেটিয়া ব্যবসা করার চেষ্টা করে আইন লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম শিনহুয়া।
মাইক্রোসফটসহ বিভিন্ন সফটওয়ার কোম্পানি ভেরিফিকেশন কোড ব্যবহার করে পাইরেসি ঠেকানোর জন্য। এছাড়া হালনাগাদ এবং ভোক্তাকে সুবিধা প্রদানের জন্যেও ভেরিফিকেশন কোড দরকার হয়।
চীনের বাজারে পাইরেসির কারণে মাইক্রোসফটকে যথেষ্ট ভুগতে হচ্ছে। চীনে মাইক্রোসফটের আয় নেদারল্যান্ডসের চাইতেও অনেক কম বলে জানিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সিইও স্টিভ বলমার ।
গত কয়েক মাসে চীনা কর্তৃপক্ষের রোষের মুখে পড়েছে মাইক্রোসফট, অ্যাপল ও গুগলসহ পশ্চিমা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। এদের বিরুদ্ধে একচেটিয়া ব্যবসা করার চেষ্টা, চীনা নাগরিকদের ডেটা পাচারসহ সাইবার এসপিওনাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছে চীন সরকার ও দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো।
সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলে চীনের সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কম্পিউটারে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।