ভ্রমণে গিয়ে ব্যাগ সামলাতে অনেকেই গলদঘর্ম হন। এ ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে এবার এলো স্মার্ট সুটকেস। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মালিকের সঙ্গে সঙ্গেই থাকবে। অনেকটা পোষা কুকুরের মতোই এর আচরণ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে এএফপি।
সুটকেস বহন করতে যাদের সমস্যা কিংবা সুটকেস হারানোর ঝুঁকি রয়েছে যাদের তারা নতুন এ সুটকেসটি নিলে সব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এটি নিজে নিজেই মালিকের সঙ্গে চলবে বিধায় একে যেমন টানতে হবে না তেমন বাড়তি পরিশ্রমও করতে হবে না।
স্মার্ট সুটকেসটি স্মার্টফোন অ্যাপ, ক্যামেরা সেন্সর ও ব্লুটুথ প্রযুক্তির সাহায্যে সংযুক্ত থাকে সুটকেসের মালিকের সঙ্গে। এটি যাত্রাপথে এয়ারপোর্ট, রেলস্টেশন ও হোটেলে যাতায়াতে ভ্রমণকারীর সুবিধা হবে।
এনইউএ রোবোটিক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান এ সুটকেসটি নির্মাণ করেছে। প্রাথমিকভাবে এ সুটকেসটি নির্মিত হওয়ার পর তা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে এক বছরের মধ্যে এটি বাজারজাত করা সম্ভব হবে।
সুটকেসটি প্রধানত সমতল পথ দিয়েই চলতে পারে। চলার পথে কোনো সিঁড়ি বা বাধা-বিপত্তি ইত্যাদি থাকলে ব্যবহারকারীকে এর সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে।
সুটকেসটি চলার পথে সাধারণ বাধাগুলো নিজেই এড়িয়ে যেতে পারে। চলার পথে এটি যেন কেউ চুরি করতে না পারে সে জন্য কিছু ব্যবস্থা যোগ করা রয়েছে। এতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে অ্যান্টি থেফট অ্যালার্ম, অবস্থান শনাক্তকরণ ব্যবস্থা ও স্বয়ংক্রিয় ওজন মাপার ব্যবস্থা। এ ছাড়া সুটকেসটিতে ইউএসবি পোর্টের ব্যবস্থা রয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী স্মার্টফোনসহ বিভিন্ন ডিভাইস চার্জ করতে পারে। সুটকেসের এসব বিভিন্ন তথ্য ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে পাঠানোর ব্যবস্থাও রয়েছে।
নির্মাতারা জানিয়েছেন, এ স্মার্ট সুটকেসটি নির্মাণে মূল অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে তাদের এর আগে উদ্ভাবিত স্মার্ট ট্রেকিং প্রযুক্তি। সে প্রযুক্তিতে সুটকেসে একটি জিপিএস বা অবস্থান শনাক্তকরণ পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছিল। যার আওতায় স্মার্টফোন ব্যবহারে সুটকেসের অবস্থান ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা সম্ভব হয়।