ভবিষ্যতে রোবটই মানুষকে পরিচালনা করবে! এক ইউরোপিয়ান সংস্থার সমীক্ষায় যা উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য। সংস্থার দাবি ২০৫০ সালের মধ্যে যেকোন যৌনপল্লীতে মানুষ যৌনকর্মীর বদলে থাকবে রোবট-চালিত যৌনকর্মী।
যৌনপল্লীকে সম্পূর্ণ অপরাধ-মুক্ত করতে রোবট-চালিত যৌনকর্মীর ভাবনা-চিন্তা। দেখা যাচ্ছে যৌনকর্মীদের নানা তথ্য দেয়া-নেয়া, বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তাই এটা আটকাতেই রোবট-চালিত যৌনকর্মীজের আনার কথা ভাবা হচ্ছে।
বিশ্বের অন্যতম পরিচিত যৌনপল্লী অ্যামস্টারডামের রেড লাইট এলাকায় সবার আগে আনা হবে এই রোবট যৌনকর্মীদের। ২০০৮ সালে এই যৌনপল্লী বন্ধ হয়ে যায়। আবার নতুন করে, খুব শিগগিরই আরও ঝকঝকে করে খোলা হবে এই যৌনপল্লী। আর তাতে বেশিরভাগ যৌন কর্মীই হবে রোবট।[ads1]
দশ হাজার ডলার মতো খরচে করে এই পরিষেবা উপভোগ করতে পারবেন। ফিউচার নামের এক জার্নালে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইয়াব-ইয়াম যখন খুলবে, তখন উন্নতমানের প্রযুক্তির ব্যবহার হবে। শ্যামাঙ্গি এবং ফর্সা দু’ধরনের যৌনকর্মীই থাকবে। তবে তারা কেউই মানুষ হবে না, সবাই হবে রোবট-চালিত যৌনকর্মী।
ইয়াব-ইয়ামের ক্লাবে সবধরনে পরিষেবা পাওয়া যাবে, তবে সেখানকার সব কাজই হবে অ্যানড্রয়েডের ব্যবহারে। এরফলে যৌন সংক্রমিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ক্লাবেরোগা বা মোটা, স্বাস্থ্যবতী, শ্বেতাঙ্গ বা কৃষ্ণাঙ্গ, বিভিন্ন বয়স এবং অনেক ভাষা জানা রোবট যৌনকর্মী পাওয়া যাবে।
সব দেশের সব ধরনের মানুষের চাহিদা মেনেই পাওয়া যাবে রোবট যোনকর্মীদের পরিষেবা। যেমন মধ্য প্রাচ্যের ব্যবসায়ীদের বেশি পছন্দ লম্বা, ফর্সা, রাশিয়ান মহিলারা, তাই সেই আদলের রোবটই পাওয়া যাবে বেশি।
তবে আশঙ্কার একটা দিকও রয়েছে। মানুষ যৌনকর্মীর চাহিদা কমে যাবে যখন রোবট-চালিত যৌনকর্মীরা আসবে। কারণ, তারা খুব ভাল পরিষেবা দেয়ার জন্যে যে টাকা দাবি করবেন, তার তুলনায় রোবট-চালিত যৌনকর্মীরা অনেক কম টাকায় ভাল পরিষেবা দেবে।[ads2]