প্রযুক্তি ডেস্ক॥ সম্প্রতি উদ্বেগজনক হারে দেখা যাচ্ছে একটি বিশেষ কোডের বিভিন্ন নম্বর থেকে কল আসছে অনেক মোবাইল ব্যবহারকারীর নাম্বারে । পরবর্তীতে সেই নাম্বারে কল ব্যাক করলেই একাউন্টে যা ব্যাল্যান্স থাকে সব উধাও হয়ে যাচ্ছে।
নানা সূত্রে জানা যায় ঐ বিশেষ বিদেশী কোড নাম্বারের কলটি অনেকেই মোবাইলেই তাঁরা পেয়েছেন। নাম্বারটির প্রথমেই +২৪৩ কোড রয়েছে । উদাহরণ: +243896234005, এই নম্বর থেকে প্রথমে আপনার মোবাইলে মিস কল আসবে অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি কল আসে কিন্তু আপনি কল রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে কোন কথা বলবেনা। ফলে আপনি যদি আগ্রহ দেখিয়ে নিজে কল ব্যাক করেন তাহলেই আপনার মোবাইলে থাকা সকল টাকা কেটে নিবে অপর প্রান্ত থেকে। আর যদি আপনি পোস্ট পেইড সিম ব্যাবহারকারী হয়ে থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনার ক্রেডিট লিমিট পুরোটাই কেটে নিবে।
এদিকে প্রতারক একটি কোডের এসব নাম্বারের বিষয়ে অনলাইন সংবাদ সংস্থা পরিবর্তন জানায় আরও ভয়ংকর কিছু তথ্য! দেখা গেছে বিদেশী নতুন কিছু চক্র সম্প্রতি বিশেষ একধরণের সফটওয়্যার দিয়ে বাংলাদেশের মোবাইল গ্রাহকদের নাম্বারে কল করে কিংবা মিস কল দিয়ে সেটাকে টোপ হিসেবে ব্যাবহার করছে এবং পরবর্তীতে কল ব্যাক যেই করছেন তাকেই নিঃস্ব করে দেয়া হচ্ছে।
গ্রামীণ ফোনের এক কর্মকর্তা জানায় এ সমস্যা কেবল গ্রামীণের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে নয় এধরণের ফোন এসে টাকা কেটে নেয়ার সমস্যা সকল অপারেটরের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ঘটছে। এর আগেও একবার এধরণের সমস্যা হওয়াতে সেই কোড ব্লক করে দিয়ে সমস্যা সমাধান করা হলে এবার আবার প্রতারক চক্র তাদের কোড পরিবর্তন করে পুনরায় প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
এধরণের স্কামিং কেবল আমাদের দেশেই হচ্ছে তা নয়, বিশ্বের নানান দেশে এভাবে গ্রাহকদের একাউন্টে থাকা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। উদাহারন হিসেবে চেক প্রজাতন্ত্রে এধরণের স্কামিং আশংকা জনক হারে বেড়ে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতারণার ফাঁদ গড়া নতুন এই কোডটি কঙ্গোর জাইরি’র।
এদিকে স্কামিং এসব কল নিয়ে বিশেষ পর্যালোচনা করে জানা গেছে এধরণের ফোন কল থেকে যে টাকা হাতিয়ে নেয় স্কামাররা তাঁরা সেই টাকা নিজেদের হাতে নিতে ঐ দেশের মোবাইল ওপারেটরের সাথে চুক্তি করতে হয়।
এ বিষয়ে অ্যামেরিকা প্রবাসী তথ্য প্রযুক্তিবিদ রাগিব হাসান বিস্তারিত বলেন। তিনি বলেন স্কামিং সকল মোবাইল অপারেটর কোম্পানির কিছু প্রিমিয়াম নাম্বার থাকে এসব নাম্বারে কল করতে হলে সাধারণ চার্জের পাশাপাশি বাড়তি চার্জ দেয়া লাগে। বাড়তি এসব চার্জ চলে যায় ঐ নম্বরের মালিকের কাছে। এই সব প্রিমিয়াম নাম্বার ব্যাবহার করেই অসাধু চক্র এসব প্রতারনা চালাচ্ছে বলেই রাগিব হাসান দাবি করেন।
বাংলাদেশে এখন যে দেশের কোড নাম্বার থেকে কল আসছে ঐ দেশের কোন অপারেটরের সাথে হাত করে অসাধু চক্র বিশেষ ধরণের এই প্রিমিয়াম নাম্বার নিয়ে সেখান থেকে বাংলাদেশী নাম্বারে মিস কল দিচ্ছে ফলে বাংলাদেশী কেউ যদি ওইসব নাম্বারে কল ব্যাক করে সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কল রেটের পাশাপাশি ঐ স্কামারের নির্ধারিত বাড়তি রেটও কেটে নেয়া হচ্ছে বাংলাদেশের গ্রাহক থেকে এভাবেই বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অসাধু চক্র।