“ঘিওরে রস ছাড়াই খেজুর গুড়” শিরোনামে দৈনিক নয়া দিগন্ত ( অন লাইন সংষ্করন) সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর টনক নড়েছে প্রশাসনের। মানিকগঞ্জর ঘিওর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবা আইরিনের নেতৃত্বে ভেজাল গুড় নিরসন অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
কৃত্রিম উপায়ে খেজুর রস ছাড়াই মানব দেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর একটি ভেজাল গুড় তৈরীর কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানার মালিক মানিক চৌধুরী গাঁ ঢাকা দেয়। পরে উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমান ভেজাল গুড় পার্শ্ববর্তী ধলেশ্বরী নদীতে ফেলে দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘিওরে একটি চক্র দীর্ঘ দিন যাবৎ খেজুরের রস ছাড়াই কৃত্রিম উপায়ে ভেজাল গুর তৈরী করে আসছিল। আটার গোলায় চিনি, ফিটকিরি, ডালডার মিশ্রণে দেয়া হচ্ছে পুরাতন গুড়। আর টাটকা গুড়ে মেশানো হচ্ছে রং। ঘিওর উপজেলার প্রত্যেকটি হাট-বাজারে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে মানবদেহের জন্য মারাতœক ক্ষতিকর এই গুড়।
সূত্র জানায়, বাজারে চিনির চেয়ে গুড়ের দাম বেশি থাকায় এবং বেশি লাভের আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল গুড় তৈরিতে ঝুঁকছেন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়েই ঘিওর উপজেলার বাইলজুড়ী, বড়টিয়া, ঘিওর বাজারসহ বিভিন্ন গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে গড়ে উঠেছে ভেজাল গুড় তৈরির কারখানা। এসব ভেজাল গুড় ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবা আইরীন বলেন, কারখানায় ভেজাল গুড় পাওয়া গেছে যা মানুষের খাবারের অনুপযোগী। ইতি মধ্যে আমরা কয়েকটি অভিযান করেছি। আর জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।