[ads1]সিলেট: ক্রমেই ঘনিয়ে আসছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। আর ঈদকে সামনে রেখে সবাই নতুন জামা-কাপড় কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অপর দিকে ঈদকে টার্গেট করে অপরাধীরাও বেপোরয়া হয়ে উঠে। বিশেষ করে নারী-পুরুষ চোর, ছিনতাইকারী ঈদ মাকের্টগুলোতে বিচরণ করে। এছাড়াও মার্কেটে মার্কেটে বখাটেরা নারীদের শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে।
তবে এসব অপরাধ ঠেকাতে সিলেটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীও। ঈদকে কেন্দ্র করে সিলেট মহানগর পুলিশ নগরীর প্রতি তিনটি শপিংমল মিলিয়ে নিরাপত্তায় নিয়োজিত করা হয়েছে একটি টিমকে। ৬ জন করে পুলিশ সদস্য রয়েছেন প্রতিটি টিমে। ওই টিমের সদস্যরা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা ও বিকাল ৫টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দুই ভাগে দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়াও চুরি, ছিনতাই ও ইভটিজিং ঠেকাতে নগরীতে সাদা পোশাকে পুরুষ গোয়েন্দার পাশাপাশি সাদা পোশাকে সুন্দরী নারী গোয়েন্দা মোতায়েন করা হয়েছে। সিলেট মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলামেইলকে এমনটাই জানিয়েছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রশাসন বিশেষভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে এসএমপি’র বিশেষ সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় ঈদকেন্দ্রীক নিরাপত্তা কেমন হবে, সে বিষয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। [ads2]
সূত্র জানায়- গত বৃহস্পতিবার (১৭ রমজান) থেকে সিলেট মহানগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুুলিশের বিশেষ টিম নিযুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, জেলরোড, নাইওরপুল, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, নয়া সড়ক এলাকায় রাখা হয়েছে বিশেষ নজরদারি। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ, নগর পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা টিম, মোটরসাইকেল টিম কাজ করছে পুরো নগরীতে।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে গুপ্তহত্যা তথা জঙ্গি তৎপরতার বিষয়টি মাথায় রেখেছে পুলিশ। এ লক্ষ্যে মহানগর পুলিশের বিশেষ একটি ইউনিট সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বাংলামেইলকে বলেন, ঈদকেন্দ্রীক নিরাপত্তায় সিলেটে এবার বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দৃশ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে অদৃশ্য ব্যবস্থাও রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে পুরো নগরীতে দুই সহস্রাধিক ফোর্স কাজ করছে। জঙ্গিদের বিষয়ে বিশেষ ইউনিট কাজ করছে। নিরাপত্তা ইস্যুতে পুলিশ কোনো ছাড় দেবে না।[ads1]
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে বের হওয়া নারীরা যাতে সিলেট মহানগরীতে হেনস্থার শিকার না হন, এজন্য নারী গোয়েন্দা টিম নিযুক্ত করা হয়েছে। এ টিমে সদস্য রয়েছেন ৬ জন। নগরীর বিভিন্ন শপিংমলে এ টিমের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা আরো জানান- অপরাধ ঠেকাতে নগরীতে পুরুষ গোয়েন্দা টিমও নামানো হয়েছে। এ টিমের ৬ সদস্য নগরীজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। কোথাও অপরাধ সংঘটনের আভাস পেলেই এ টিমের সদস্যরা মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টারে জানিয়ে দিবেন। সাথে সাথে অ্যাকশনে নামবে পুলিশ।
তিনি জানান, গোয়েন্দা টিম ছাড়াও পুলিশের পোশাকধারী ১৪টি টিম নগরীর বিভিন্ন মার্কেট ও আশপাশ এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে।[ads2]