চট্টগ্রাম : একাত্তরে হত্যা-গণহত্যার দায়ে আলবদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষনেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় বহালের প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা হরতাল চলছে। হরতালে বন্দরনগরীতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন নিরাপত্তার বাহীনির সদস্যরা।
বুধবার ভোর ৬টা থেকে হরতাল শুরুর পর নগরীর কোথাও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মাঠে নামার খবর পাওয়া যায়নি। নিরুত্তাপভাবেই শুরু হয়েছে জামায়াতের ডাকা এ হরতাল।
এদিকে হরতালে নাশকতা ঠেকাতে জেলা ও নগরীতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে।
বিজিবির দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের পরিচালক (অপারেশন) লে.কর্ণেল এ কে এম নাসির উদ্দিন একরাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘হরতালে নাশকতা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের চাহিদা মোতাবেক ৯ প্লাটুন বিজিব মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়া অাগে থেকেই ফটিকছড়িতে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়ন রয়েছে। সব মিলিয়ে নগরীসহ পুরো চট্টগ্রামে বুধবার ভোর ৬টা থেকে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনে আছে।’
এছাড়া হরতালে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় নগরীর কমপক্ষে ৮০টি পয়েন্টে প্রায় দুই হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভোর ৫টা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা মাঠে নেমেছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোনো ধরনের সহিংসতা, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কাউকে সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।’
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) কাজী আব্দুল আউয়াল বাংলামেইলকে বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ টহল দিচ্ছে। সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, হাটহাজারীসহ বিভিন্ন উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।’
এর আগে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধের মূল হোতা মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শহীদ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনসহ ছয়জনকে হত্যা-গণহত্যার দায় (১১ নম্বর অভিযোগ) প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া সর্বোচ্চ দণ্ডাদেশ বহাল রাখে আদালত। পরে এ রায়ের প্রতিবাদে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে জামায়াত।