রাজধানীর কাফরুলে জরিনা বেগম জলি নামের (২২) এক গৃহকর্মীর মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় লাশ নিয়ে থানা ঘেরাও করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে থানা ঘেরাওয়ের এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে এলাকাবাসী মিরপুরের কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। কাফরুল থানার এসআই কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ বিক্ষোভে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে মিরপুরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অফিসগামী মানুষকে পড়তে হয়েছে বিড়ম্বনায়। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দিলে তারা কাফরুল থানা ঘেরাও করে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, রোববার মিরপুর-১৩ নম্বরে ন্যাম কোয়ার্টারে সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকার একটি ভবনের নিচে জরিনা বেগম নামের ওই গৃহকর্মীর লাশ পাওয়া যায়।
জরিনার স্বজনদের অভিযোগ, জরিনা যে বাসায় কাজ করতেন সে বাসার সরকারি কর্মকর্তার ছেলে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি।
কাফরুল থানার ওসি সোমবার দুপুরে জানান, নিহত জরিনার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা নেওয়া হবে। তারপর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রোববার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে জরিনার লাশ নিয়ে যায় পুলিশ। প্রথমে তার নাম-পরিচয় পাওয়া না গেলেও পরে তার মা ফুলবানু মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করেন। তার মুখ ওড়না দিয়ে পেঁচানো থাকলেও নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এ ছাড়া ডান হাত থেঁতলানো, স্তনের নিচে এবং দুই পায়ের হাঁটুতে জখমের দাগ ছিল।
স্বজনরা জানান, ফুলবানু ওই ভবনের চতুর্থ তলার বাসিন্দা মোহাম্মদ আহসান হাবিবের বাসায় কাজ করতেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় চার-পাঁচ দিন ধরে ওই বাসায় কাজ করতেন জরিনা। রোববার সকালেও জরিনা ওই বাসায় কাজ করতে যান। এরপরই এ ঘটনা ঘটে। তাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায়। উত্তর ইব্রাহিমপুরের বাসায় থাকে তার পরিবার।
এ ব্যাপারে কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান জানান, জরিনাকে ওই বাসার ছাদ থেকে কেউ ফেলে দিয়েছে অথবা সে পড়ে গেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসবে।