ঢাকা: নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা, নীতিমালা বাস্তবায়নসহ সরকারের কাছে ১২ দফা দাবি তুলে ধরেছে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব)।
শুক্রবার দুপুরে বিএমএ ভবনের সামনে এক শ্রমিক সমাবেশ থেকে ইনসাব এ দাবি জানায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে নির্মাণ শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেও ঠিকমতো পারিশ্রমিক পান না। মালিক পক্ষ অনেক সময় তাদের পাওনা টাকা নিয়ে গড়িমসি করেন।
তারা বলেন, সারাদেশে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ নির্মাণ শ্রমিক আছেন। তাদের সবাইকে সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে আমরা আমাদের ১২ দফা দাবি সরকারের কাছ থেকে আদায় করতে পারবো।
১২ দফা দাবি হলো- সরকারি উদ্যোগে রাজধানী ঢাকা শহরে থানা ও ওয়ার্ড ভিত্তিক এবং সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় নির্মাণ কলোনি স্থাপন করে সুলভ মূল্যে দীর্ঘমেয়াদী লিজ প্রদানের মাধ্যমে নির্মাণ শ্রমিকদের বাসস্থান নিশ্চিত করা; নির্মাণ ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্মপরিবেশ এবং নির্মাণ শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; শ্রম আইনে নির্মাণ শ্রমিকদের আলাদা অধ্যায় সংযুক্ত করে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের জন্য ১০ লাখ টাকা এবং আহত শ্রমিকের জন্য সর্বোচ্চ ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরন দেয়া; নির্মাণ শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়নে প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় শ্রম আদালত স্থাপন করা; শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য কল্যাণমুখি কর্মসূচি গ্রহন করা; জাতীয় শিল্প স্বাস্থ্য কাউন্সিল গঠনে ইনসাবের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা; নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য সুলভমূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা; কর্মস্থলে নির্মাণ শ্রমিরা যাতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার শিকার না হন তা নিশ্চিত করা; নির্মাণ শ্রমিকদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ দিয়ে বিদেশে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা; সরকারি উদ্যোগে বিভাগীয় শহরে থানাভিত্তিক এবং জেলা ও উপজেলায় শ্রম ছাউনি নির্মাণ করা; নারী নির্মাণ শ্রমিকদের সমকাজে সমমজুরি নিশ্চিত করা; নির্মাণ শ্রমিকদের জন্যও শ্রমিক রেজিষ্ট্রার খাতা রাখার বিধান সকল নির্মানাধীন ভবনে বাস্তবায়ন করা।
সংগঠনের সভাপতি মো. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের সদস্য সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, ইনসাবের সাধারন সম্পাদক মো. আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।
বাংলামেইল২৪ডটকম