চট্টগ্রাম নগরীকে একটি সুন্দর-পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চট্টগ্রাম মেট্রপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দুই অতিরিক্ত কমিশনার, উপ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ কমিশনার, সহকারি কমিশনার ও সকল থানার ওসিসহ প্রায় এক হাজার পুলিশ সদস্য ঝাড়ু হাতে মাঠে নেমেছেন। এ কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন নব নির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একশ’ পরিচ্ছন্নতাকর্মী বা সেবক এ কাজে সহযোগিতা করেন। কর্মসূচিতে ঝাড়ু, বেলচা, ময়লা রাখার ঝুড়ি নিয়ে সবাই রাস্তা পরিষ্কার করেন। কেউ সড়ক থেকে ময়লা ঝুড়িতে তুলে সেই ঝুড়ির ময়লা ফেলেছেন ডাস্টবিনে।
নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদের সামনে থেকে কয়েকটিভাগে বিভক্ত হয়ে দামপাড়া ওয়াসা থেকে জিইসি, দামপাড়া থেকে টাইগারপাস, দামপাড়া থেকে কাজীর দেউড়ি এবং জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ থেকে আলমাস সিনেমা হল পর্যন্ত পুলিশ এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান চালায়।
পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, আমরা নগরবাসীর মঙ্গলের জন্যই এই কাজ শুরু করেছি। যারা যত্রতত্র ময়লা আর্বজনা ফেলে নগরীকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করছেন। তাদেরকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিচ্ছি। এরমধ্যে যদি আপনার বাসা-দোকান ও মার্কেটের সামনের ময়লা যদি নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার না করলে এবং অবৈধ বিলবোর্ড এসময়ে মধ্যে সরিয়ে না ফেললে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাবেক মেয়র মনজুর আলমের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, এই শহর একসময় বিশ্বাবাসীর কাছে প্রাচ্যের রানী চট্টগ্রাম হিসেবে পরিচিত থাকলেও এখন সেই গৌরব আর নেই। বিগত মেয়রের সময় পুরো নগরী পরিণত হয়েছিল ময়লা আর্বজনা আর বিলাবোর্ডের নগরীতে। এজন্য আমাদের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চট্টগ্রামে আসলেই বারবার হতাশা প্রকাশ করতেন। তিনি ছাড়াও অনেকেই এনগরীর রূপ দেখে হতাশ হয়েছিলেন। তবে এখন সেই দিন আর নেই। আমি দায়িত্ব নেয়ার আগে থেকেই অনেক কিছুতে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে তা পুরোপুরি পরিবর্তন করা হবে।
বিলবোর্ড উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে মেয়র নাছির বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের বলে দিয়েছি নতুন করে আর কোন বিল বোর্ড যেন অনুমোদন না পায়। সিএমপি কমিশনার বিলবোর্ড উচ্ছেদে এগিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু বিগত সময়ে সিটি করপোরেশন থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় এ কাজে সফল হতে পারেননি।