যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া বৃদ্ধি করবো না, বিদ্যমান ভাড়া বলবৎ থাকবে।”
বুধবার সচিবালয়ে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশার মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদ নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “অটোরিকশা নির্ধারিত ভাড়ায় মিটারে চলাচল করে এ বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “বুয়েটের সুপারিশ অনুযায়ী অটোরিকশার ইঞ্জিন ওভারহেলিং, নতুন সিট কাভারসহ অনুমোদিত ওয়ার্কশপ থেকে যান্ত্রিক পরীক্ষা করতে হবে।”
বুয়েটের শর্ত বাস্তবায়নে মালিক সমিতি থেকে ৪ জন প্রতিনিধি ও বিআরটিএ থেকে ৩ জন নিয়ে মোট ৭ জনের একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
যোগাযোগ মন্ত্রী জানান, অটোরিকশার ইকোনমি লাইফ বাড়ানোর বিষয়ে কোন কোন প্রতিষ্ঠান প্রত্যায়নপত্র দিবে তা আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে।
এ সময় মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে আয়কর, পুলিশের হয়রানি ও পার্কিংয়ের জায়গা দেয়াসহ চুরি-ছিনতাই ও চালক হত্যা বন্ধ করার জন্য দাবি জানানো হয়।
দাবির বিষয়ে যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, “সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়গুলো সমাধান করা হবে।”
রাজধানী ঢাকাকে বায়ু দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে চলতি শতকের শুরুতে দুই স্ট্রোক ইঞ্জিনের অটোরিকশা তুলে দিয়ে চার স্ট্রোক ইঞ্জিনের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়।
‘বেবি ট্যাক্সি’ নামে পরিচিত হলুদ রঙের অটোরিকশাগুলোকে বিদায় করে ২০০২ সালে রাস্তায় নামে সবুজ রঙের এসব অটোরিকশা।
সেই সময় ইঞ্জিনের ‘ইকোনোমিক লাইফ’ হিসেব করে ৯ বছরের জন্য অটোরিকশার লাইসেন্স দেয়া হলেও মালিক ও চালকদের দাবির কারণে আরো দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে তা ১১ বছর করা হয়। এই হিসেবে ২০১৩ সালেই রাজধানীতে চলাচলকারী প্রায় ১৬ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশার বেশিরভাগেরই ‘ইকোনোমিক লাইফ’ শেষ হয়ে গেছে। অবশ্য সরকার পরিষদের দাবি অনুযায়ী, অটোরিকশার ইকোনমি লাইফ ১১ বছর থেকে ১৫ করার দাবি মেনে নিয়েছে।