মেডিকেল ও ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে বাধা দিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে শিক্ষার্থীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করতে আসলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশি বাধায় তাদের মানববন্ধন পণ্ড হয়ে যায়। এসময় ৪ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের দাবি, তারা উচ্চ আদালতের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মানববন্ধন করতে চেয়েছিলেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবিতে সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের চেষ্টা করছিল শিক্ষার্থীরা। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে তাই বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কেউ রাস্তায় নামতে পারেন না। আগে রিটটি নিষ্পত্তি হতে হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। ওসি আরও জানান, তাদের নিষেধ করার পরও মানববন্ধনের চেষ্টা করলে তাদের আটক করে থানায় আনা হয়। আটকদের পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে জানান ওসি।
এদিকে, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রবিবার হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। সঙ্গে রুল ও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে সোমবার রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমশন (দুদক), ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও শেরেবাংলা নগর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের মধ্যেই ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সারাদেশে একযোগে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। পাসের হার ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ।