রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শিয়া মসজিদ পর্যন্ত বাঁশবাড়ি সড়কটির জায়গায় জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। কয়েক মিনিটের পথ পাড়ি দিতে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর ভাঙাচোরা সড়কে যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে।
গত সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার দিনের বেলা ঘুরে দেখা যায়, বাঁশবাড়ি সড়কটির মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড প্রান্তে বটতলা, সাতগম্বুজ মসজিদের সামনে, বাঁশবাড়ি নগর মাতৃসদনের সামনে এবং শিয়া মসজিদ কাঁচাবাজারের সামনেসহ কয়েক জায়গায় ছোট-বড় গর্ত।
পিচ উঠে যাওয়ায় রাস্তা এবড়োখেবড়ো হয়ে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন ইট বিছিয়ে গর্ত ভরাট করেছিলেন, কিন্তু সেগুলো সরে গিয়ে আবারও গর্ত বেরিয়ে পড়েছে। পুরো সড়কে নেই পর্যাপ্ত সড়কবাতি। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এই রাস্তা দিয়ে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মিরপুর-১ ও মিরপুর-১০ নম্বর রুটে শতাধিক লেগুনা বা হিউম্যান হলার চলাচল করে। মিরপুর-১ নম্বর রুটের লেগুনাচালক মো. সোহেল বলেন, ‘এই রাস্তায় এখন সারা দিনই জ্যাম লেগে থাকে। গর্তের মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় বুঝাও যায় না। রাতে গর্তের কারণে ভয়ে ভয়ে চালাতে হয়।’
শিয়া মসজিদ কাঁচাবাজারের সামনে গর্তের কারণে রাস্তাটির প্রস্থ কমে গেছে। গত সোমবার রাতে দেখা যায়, রাস্তার এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলার ফলে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। পাশের দোকানগুলো থেকে যে আলো আসছে তার আলোতেই খানাখন্দ দেখে রিকশা চলছে ও পথচারীরা চলাচল করছেন।
রিকশাযাত্রী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বর্ষার আগেও রাস্তাটি ভালো ছিল। বৃষ্টিতে অবস্থা খারাপ হয়েছে। রাস্তার অর্ধেকই যদি গর্ত হয় তাহলে গাড়ি চলবে কোথায়। পাঁচ মিনিটের রাস্তা পার হতে ৫০ মিনিট ধরে বসে আছি।’
এই রাস্তার মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড প্রান্তে আগে থেকেই সড়ক ভাঙা, তার ওপর রাস্তায় অবৈধ পিকআপ স্ট্যান্ড, দোকানপাট এবং সিটি করপোরেশনের ময়লার কনটেইনার। বেলা দেড়টার দিকে দেখা যায়, রাস্তার এক পাশে কয়েকটি পিকআপ সারি করে রাখা। অন্য পাশে বাঁশ-টিন দিয়ে ঘর তুলে বানানো হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মালামাল রাখার ঘর।
এখানে রাস্তায় গর্ত করে খুঁটি বসিয়ে বানানো হয়েছে তোরণ। রাজনৈতিক বাণী লেখা তোরণের একটি খুঁটি রাস্তার মাঝে পড়ার কারণে সড়ক হয়ে পড়েছে অপ্রশস্ত। সারাক্ষণই যানজট লেগে থাকছে।
মোহাম্মদপুরের এই এলাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। সড়কটির বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এখনো সম্পূর্ণ রাস্তা মেরামতের কোনো দরপত্র দেওয়া হয়নি। আর টানা বৃষ্টির কারণে তাৎক্ষণিক সড়ক মেরামত করারও সুযোগ হয়নি। বৃষ্টি কমলেই রাস্তাটি মেরামত করা হবে। শিগরিই জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে পারব।’
Prev Post
Next Post