রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জে বাসের চাপায় মরিয়ম আক্তার (২৪) নামে এক কলেজছাত্রী ও উত্তর বাড্ডায় নির্মাণাধীন বহুতল ভবন থেকে পড়ে খায়রুল ইসলাম (২১) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক মারা গেছে। বৃহস্পতিবার এ দুটি দুর্ঘটনা হয়।
হাসপাতালে নিহত মরিয়মের বড় ভাই বেলাল জানান, কিছুদিন আগে তার বিয়ে হয়। মরিয়ম তার স্বামী সালাউদ্দিনের সঙ্গে খিলক্ষেতের নামাপাড়ার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। মরিয়ম টঙ্গী সরকারি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। লেখা-পড়ার পাশাপাশি তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বড়িকান্দি গ্রামে তার বাড়ি।
খিলক্ষেত থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক মানবকণ্ঠকে জানান, সকালে নিকুঞ্জ এলাকার হোটেল মেরিডিয়ানের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। এ ঘটনায় বাস ও চালককে আটকের পার একটি মামলা করা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উত্তর বাড্ডায় একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের ৮তলা থেকে পড়ে খায়রুল ইসলাম নামে এক নির্মাণ শ্রমিক মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একরামুল নামে অপর এক শ্রমিক।
হাসপাতালে খায়রুলের সহকর্মী সাইফুল ইসলাম মানবকণ্ঠকে জানান, সকালে একটি ১১তলা নির্মাণাধীন ভবনের ৮ম তলায় প্লাস্টারের কাজ করছিলেন খায়রুল ও একরামুল। হঠাৎ সেখান থেকে নিচে পড়ে যান তারা। তাদেরকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক খায়রুলকে মৃত ঘোষণা করেন। তার সহকর্মী একরামুলকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাড্ডা থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, খায়রুল ইসলামের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
Next Post