রাজধানীর পশ্চিম রামপুরায় কথিত জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় পুলিশসহ দুইজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা। এ সময় তাদের আরেক সহযোগী রাসেল পালিয়ে যায়। রামপুরার ওমর আলী লেনের মামুনের বাসায় গতকাল দুপুর ২টায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মাহমুদুল হাসান (২৫) ও নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মো. মাজেদুল ইসলাম (৩৫)।
মামুন জানান, গত ১ মাস আগে তার বাবার কাছে একটি ফোন আসে। তখন ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে প্রতারক রাসেল বলে- তোর কপাল খুলে গেছে, তুই সাত হাঁড়ি স্বর্ণ পাবি। একথা বলার পর মামুনের বাবাও তার সঙ্গে একটু আগ্রহ নিয়ে কথা বলেন। তখন কথিত জিনের বাদশা বলে এই টাকা পেতে হলে তোকে ১৪ লাখ টাকা দিতে হবে। গতকাল দুপুরে মাহমুদুল হাসান, রাসেল ও পুলিশ কনস্টেবল মাজেদুল ইসলাম তাদের বাসায় যায় একটি পিতলের মূর্তি নিয়ে। গিয়ে বলে এটি স্বর্ণের মূর্তি। এক পর্যায়ে মামুনের পরিবার তাদের প্রতারণা বুঝতে পেরে এলাকাবাসীকে খবর দেয়। এলাকাবাসী তাদেরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক মামুনুর রশিদ জানান, গত কয়েকদিন ধরে জিনের বাদশা পরিচয়ে রাসেল নামের এক ব্যক্তি মামুনের সঙ্গে কথা বলে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে তিনজন তার বাসায় এসে নানা কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে মামুন প্রতিবেশীদেরকে বিষয়টি জানান। প্রতিবেশীরা দুইজনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এ সময় রাসেল নামে একজন পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
Next Post