রুবি ইয়াসমিন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বর্তমানে পরিচালনা পর্ষদ ও কিছু অসাধু লোকজনের কারণে এখন এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি ভোগান্তির নাম। আর এ বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েশন একটি সমস্যা বটে। বিগত যে পরীক্ষা গুলো হয়েছে সকল পরীক্ষার মূল সমস্যা হল বার বার নিয়ম নীতির পরিবর্তন।
২০১০-১১ সালের পরীক্ষার্থী হিসেবে আমি যে সমস্যার সম্মক্ষিন হয়েছি তা হল পরীক্ষা দিয়েছি ঠিকি কিন্তু ফলাফলের জন্য ৯ মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে। তার পর ফলাফল যা পেয়েছি তা নিয়ে যতটা না অসন্তোষ তার চেয়ে বেশী ক্ষুব্ধ, কারন আমার ক্লাস মেট যারা টেস্ট পরীক্ষায় ৩.৭১ পেয়ে ভার্সিটি ফলাফলে ২.৭১ পেয়েছে অথচো টেস্টের মাত্র ২ মাসের মাথায় আমরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে এমন কেউ ছিলোনা যে পরীক্ষা খুব খারাপ দিয়েছে কিন্তু ১০৮ জনের মধ্যে প্রোমটেড ১৫ জন আর সকল বিষয়ে পাস ৫ জন যা অকল্পনীয়।
একেতো বিস্তার সিলেবাস তার মধ্যে নেই কোন সঠিক নিয়ম, ২০০৯ সালে পুড়নো পদ্ধতি বাদ দিয়ে জি পি এ পদ্ধতি করলো কিন্তু তা নাম মাত্র জিপিএ পদ্ধতির পড়ালেখাও আগেরি নিয়ম, শিক্ষকরা পায়নি কোন প্রশিক্ষণ ২১০ দিনের স্থানে ক্লাস হয় ৮০-৯০ দিন, প্রতি বিষয়ে সিলেবাস ১৮-২০ অধ্যায়। এই সকল সমস্যায় জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
কিন্তু কিবা করার আছে আমাদের আমাদের কথা কেউ শোনেনা; আর বাবা-মার খুব টাকা নেই যে আমি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো। আর অতটা যুদ্ধর খমতা নিয়েও জন্মাইনি যে ৩৯ জনের সঙ্গে যুদ্ধ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো।
এমন ভাবে পড়ালেখা চলছে জেনো ৯ম বা ১০ম শ্রেণীতে পরছি এসএসসি পরীক্ষা পরীক্ষা দেয়ার জন্য। মূলত সিখছিনা কিছুই। প্রশিক্ষণ মূলক কোন শিক্ষা নেই। যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে দেখা যায়।
আমাদের চাওয়া কিছুই পাচ্ছিনা, পাচ্ছিনা শিক্ষার কোন মানও চাকরি ক্ষেত্রে সমস্যা তো আর পোহাতে হবে। এ অবস্থায় কি বলতে পারি আপনার বা আমার জন্য। বাংলাদেশে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরাই আমার মত ভুক্তভুগি। সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরধ আমাদেরকে শিক্ষা দিন, জোড় করে গিলাবেন না।
লেখিকা
শিক্ষার্থী
মার্কেটিং বিভাগ