ঘুরে অাসুন ‘বিছনাকান্দি’ থেকে

0

bissindiপাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের আস্তরণ। পাহাড়ের বুক চিড়ে চলেছে শীতল স্বচ্ছ জলরাশি। পাথর ছড়ানো সর্বত্র। আকাশে নীলের ছায়া। এই বিবরণ তো মিলে যাচ্ছে সিলেটের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র বিছনাকান্দির সঙ্গে!

কিন্তু না, বিছনাকান্দির বর্ণনা নয় এটা! এ হচ্ছে উতমাছড়ার বর্ণনা। যে স্থানকে সিলেটের নতুন ‘বিছনাকান্দি’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি হচ্ছে উতমাছড়া। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে যার অবস্থান।

রূপ-লাবণ্যে যৌবনা উতমাছড়া পরতে পরতে সাজিয়ে রেখেছে সম্মোহনী সৌন্দর্য্য। যান্ত্রিক কোলাহল থেকে মুক্ত নির্জন অরণ্যের সাহচার্য পেতে উতমাছড়ার বিকল্প নেই। আছে সবুজের সমারোহ, দিগন্ত বিস্তৃত সাদা মেঘের খেলা, পাথর ছড়ানো চারপাশ, দুধসাদা জলরাশি, পাখিদের কলতান। মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই!

উতমাছড়ার সৌন্দর্য্য সবচেয়ে বেশি ধরা দেয় বর্ষাকালে। অন্যান্য মৌসুমে উতমাছড়াকে মরুভূমির বুকে গজিয়ে ওঠা উদ্যানের মতো মনে হয়।

যাওয়ার পথ: সিলেট মহানগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সরাসরি সিএনজি অটোরিকশাযোগে যেতে হবে ৩৫ কিলোমিটার দূরবর্তী দয়ারবাজারে। সড়কের অবস্থা তেমন ভালো না হওয়ায় এ পরিমাণ সড়ক পাড়ি দিতে গুণতে হবে জনপ্রতি ১৫০-১৮০ টাকা করে।

দয়ারবাজার থেকে আবার সিএনজি অটোরিকশাযোগে আট কিলোমিটার দূরবর্তী চড়ারবাজারে যেতে হয়। এজন্য জনপ্রতি ভাড়া ২৫-৩০ টাকা পড়বে। চড়ারবাজার থেকে ১৫ মিনিটের মতো হাঁটলেই পেয়ে যাবেন উতমাছড়ার দেখা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More