তিন শতাব্দী পাড়ি দিলেন তিনি

0

বয়স তার ১১৫ পেরিয়েছে। তিনটি শতাব্দী তিনি পেরিয়ে এসেছেন। জন্ম হয়েছিল ১৮৯৯ সালের শেষদিকে। এখনো তিনি খালি চোখে সব দেখতে পারেন। বলা হচ্ছে ইটালির এক প্রবীণ নারীর কথা। ইমা মোরানো নামের এই নারী শুধু ইটালিই নয়, পুরো ইউরোপের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ নারী। আর সারা বিশ্বে পঞ্চম বয়োজ্যেষ্ঠ। খবর এনডিটিভির।

41680_1এই দীর্ঘ আয়ু লাভের পিছনে রয়েছে তার রুটিনমাফিক জীবন-যাপন এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ। প্রতিদিন তিনটি করে কাঁচা ডিম খান ইমা। কিশোরী বয়সে একবার অ্যানিমিয়া রোগ হওয়ায় ডাক্তার তাকে কাঁচা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। তখন থেকে প্রতিদিন ৩টি করে ডিম খেয়ে আসছেন তিনি। এ পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ ডিম খেয়েছেন বলে জানান ইমা।

এই দীর্ঘ জীবনে তিনি ক্ষমতার বহু পালাবদল দেখেছেন। তিনি দেখেছেন রাজতন্ত্র থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ইটালির উত্তরণ। সাত দশকে তিনি দেখেছেন প্রায় ৭০টি সরকারকে। এর মধ্যে ২০ বছর দেখেছেন মুসোলিনির ফ্যাসিবাদ। দুই দুটি বিশ্বযুদ্ধ দেখেছেন ইমা মোরানো। বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী কঠিন সময়গুলোও পার করে এসেছেন। পেরিয়ে এসেছেন ইটালির অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ। আর অবশেষে দেখেছেন বিশ্বের অন্যতম একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে ইটালির উত্তরণকে।

তবে, জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি একাকী কাটিয়ে দিয়েছেন। তার স্বামী-সন্তান কেউ নেই। বিয়ে অবশ্য করেছিলেন। কিন্তু ১৯৩৮ সালে এক ছেলে সন্তানের মৃত্যুর পর স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর আর বিয়ে করেননি ইমা। বিবাহিত জীবনে সুখী ছিলেন না তিনি।

মোরানো এখন বাস করছেন দুই রুমের ছোট্ট একটি অ্যাপার্টমেন্টে। তার রুমে রয়েছে বহু পুরোনো অনেক স্মৃতি, সরকারি স্বীকৃতি। এর মধ্যে দেশটির সাবেক এক প্রেসিডেন্টের স্বীকৃতিও রয়েছে। তার বিছানার কাছেই একটি ছোট্ট সাইনবোর্ড রয়েছে যাতে উজ্জ্বল নীল বর্ণে ‘115’ লেখা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More