প্রাইভেট বনাম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

0

ugc২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে নির্বাচিত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদন পেশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারের তোপের মুখে পড়েছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন পেতে এক থেকে তিন কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন করতে হয়। ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার নিয়োগের অনুমোদনে লাগে ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন পরিদর্শনের জন্য দিতে হয় ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, অনুষদ অনুমোদনের জন্য ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা, বিভাগ অনুমোদনের জন্য ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ লাগে। পাঠক্রম অনুমোদন পাঁচ থেকে দশ হাজার, ভুয়া সার্টিফিকেটের জন্য ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা, অডিট কারনোর জন্য ৫০ হাজার থেকে এক লাখ এবং অ্যাসাইনমেন্টের জন্য ৫০০ টাকার লেনদেন করতে হয়। এছাড়া পাশ করিয়ে দেওয়া ও নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের দিতে হয় উপহার ও নগদ অর্থ। দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয় অনুমোদনের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসিকে সংরক্ষিত তহবিলে তিন কোটি টাকার ভুয়া রশিদ দিয়েছে। অনুমোদন ছাড়াই কোর্স কারিকুলাম পড়ানো, বিভাগ খোলা, শিক্ষার্থী ভর্তি ও অর্থ লেনদেন করা হচ্ছে। সন্ধ্যাকালীন ও এক্সিকিউটিভ কোর্সগুলোতে ক্লাস না করিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বই দেখে লেখা, অল্পসংখ্যক প্রশ্নের সাজেশনসহ পরীক্ষায় পাস করানোর নিশ্চয়তা দিচ্ছে। ব্যবসায়িক কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ও জনবল ব্যবহার করা হচ্ছে।

অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতনভাতাসংক্রান্ত কাঠামো নেই। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে কাগজে-কলমে বেশি বেতন দেখায়। ছুটিসংক্রান্ত নীতিমালা নেই, মান উন্নত দেখানোর জন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধভাবে বিভিন্ন শিক্ষকের নাম ব্যবহার করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে শিক্ষকদের নাম না জানিয়ে তাদের সিভি ব্যবহার করে। কাগজে-কলমে শিক্ষকদের কোটা পূরণ করা হলেও বাস্তবে শিক্ষক থাকে না। এমনকি ভুয়া পিএইচডি লাগিয়েছেন একজন উপাচার্য যা ইউজিসির কাছে ধরা পড়েছে। ইউজিসির নির্দেশনায় একজন শিক্ষকের দুটির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করা নিষিদ্ধ থাকলেও তারা দুইয়ের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। একটি বিশ্ববিদ্যালয় ১৪০টি পর্যন্ত আউটার ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও তাদের ক্যাম্পাস রয়েছে। সরকারি নিদের্শে কিছু আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হলেও ভর্তি ও পরামর্শকেন্দ্রের নামে তা চালু আছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস না করিয়ে, পরীক্ষা না নিয়ে ৩০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা করে নিয়ে সনদ দিয়েছে। আবার ইউজিসিকে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলের টাকা ট্রাস্টি কর্তৃক ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার বা অন্য ব্যবসায় খাটানো হয়েছে।

আমাদের দেশে বর্তমানে ৭৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৫৬টি, চট্টগ্রামে ১১টি, সিলেটে ৪টি, রাজশাহীতে ৫টি, খুলনায় ২টি ও বরিশালে ১টি। রংপুর বিভাগে এখনও কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমানে ৪০ শতাংশ আসন শূন্য রয়েছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। ইউজিসির উত্থাপিত অভিযোগ অদৃশ্য  উপায়ে মীমাংসা হয়ে যায়।  ইউজিসিও নমনীয়তা দেখায়। নিয়ন্ত্রণকারী দুই কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়হীনতাও রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনিয়ম রোধ করতে ১৬ দফা সুপারিশ করা হয়েছে টিআইবির প্রতিবেদনে। এর মধ্যে আইনের পূর্ণ বাস্তবায়নের  লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ বিধিমালা প্রণয়ন, অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠন, বিওটির একক ক্ষমতার সুযোগ নিয়ন্ত্রণ, ইউজিসির সুপারিশ বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কমিটি গঠন, রাজনৈতিক প্রভাব দূর করা, চুড়ান্ত সনদ প্রদানের আগেই  বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষককে সম্পৃক্ত করা, আর্থিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা স্থাপনে উচ্চ রেটিংসম্পন্নগুলোকে অনুমোদন দেওয়া ইত্যাদি।

টিআইবির অভিযোগের পর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ইউজিসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, কমিশনের কোনো কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর সুযোগ দেওয়া হবে। অভিযোগের সত্যতা মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী ২০ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। টিআইবি প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর মন্ত্রণালয় থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখার সব কর্মকর্তাকে অন্য শাখায় বদলি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইউজিসি এ পরামর্শ গুরুত্বসহকারে নিয়েছে। ইউজিসির একজন নারী উপপরিচালকের বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৬ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ইতোমধ্যে ইউজিসি পেয়েছে বলেও পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে।

’সারপ্রাইজ ভিজিট’-এর নামে সম্প্রতি কয়েকজন কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ‘ঈদের উপহার’ গ্রহণ করেছেন। তাদের কেউ কেউ রাজধানীর বাইরে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গেছেন বিমানে করে, আর বিমানের ভাড়া ঐসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়েছেন, আবার ইউজিসি থেকেও নিয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইউজিসির অনেক কর্মকর্তা প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা পদে তাদের নিজস্ব ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজনকে চাকুরি দিয়েছেন। তার বিস্তারিত বিবরণ জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে। এদের হয়তো কিছুই হবে না, কারণ তারা জানে কীভাবে কোথায় এবং কাকে ধরলে সব ম্যানেজ হয়ে যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী টিআইবির রিপোর্ট প্রকাশের পর মারাত্মকভাবে তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দুর্নীতির প্রমাণ চেয়েছেন টিআইবির কাছে। দেশের পুরো শিক্ষা পরিবারের অভিভাবক হিসেবে তাঁর ক্ষুদ্ধ হওয়ারই কথা। তার ঘরে কীভাবে এত বড়বড় দুর্নীতি হয়- এটি অবশ্যই তার গাঁয়ে লাগার কথা। কিন্তু দেশের মানুষ আপনার সততা নিয়ে কোনো সন্দেহ বা দ্বিধা পোষন করে না। কিন্তু শিক্ষা বিভাগে মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত যে বিশাল চক্র গড়ে উঠেছে, তা তো আর একদিন বা দুইদিনে হয়নি। তা যে শুধু আপনার সময়ে হয়েছে তা তো নয়, এ ব্যাপারটি সবাই জানে। কথায় বলে যে, মাউসির চেয়ার টেবিল পর্যন্ত ঘুষ খায়, এটি আপনি কীভাবে দূর করবেন? পূর্ববর্তী সরকারের একজন মন্ত্রী নকল প্রতিরোধ করার জন্য প্রচণ্ড খাটাখাটনি করেছেন, নকল আসলে বিদায়ও হয়েছে পাবলিক পরীক্ষাগুলো থেকে; কিন্তু মাউসির দুর্নীতির বিষয়ে তিনিও কোনো পরিবর্তন আনতে পারেননি। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন কাজ তা দেশের মানুষ জানে। খোদ ইউজিসির অভ্যন্তরেই একটু নাড়চাড়া দেওয়ার পর যে সাপ বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে, একই অবস্থা তো সব জায়গাতেই। এজন্য আপনি একা কেন ক্ষুদ্ধ হবেন? দেশের সবাই জানে এই চক্রকে শায়েস্তা করা সহজে কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়।

এতো গেল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েগুলোর কথা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী হচ্ছে তা তো দেশের সবাই জানে। সেখানে আপনার কী করণীয় আছে বা কী করতে পারছেন? প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তো কিছু তথাকথিত ছাত্রনেতা এবং ক্যাডারদের হাতে। তারাই নিয়ন্ত্রণ করে অনেক কিছু। এ বিষয়ে জনাব জাফর ইকবাল স্যার যা বলছেন, ‍”ভাল পরীক্ষার ফল নিয়েও কোনো ছাত্র আর নিশ্চিত হতে পারছে না সে আসলেই শিক্ষক হতে পারবে কিনা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে দলবাজি করে এমন শিক্ষকের পাশে তাদের ঘুরঘুর করতে হয়। নিয়োগ কামিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের পকেটে নিজেদের প্রার্থী থাকে। তাঁরা সরাসরি একে  অন্যের সাথে দরদাম করেন, বলেন আমার একজনকে নেন তাহলে আমি আপনার একজনকে নিতে দেব। বাইরে ছাত্রনেতারা বসে থাকেন, মন্ত্রীরা ফোন করেন, সংসদ সদস্যরা হুমকি দেন। তাই পত্রিকায় একজনকে নিয়োগের  বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও হালি হিসেবে শিক্ষক নিতে হয়। যাঁরা সত্যিকারের ভালো মেধাবী শিক্ষক, তাঁরা শেষ পর্যন্ত আরো ভাল জায়গায় চলে যান, অপদার্থরাই থেকে যায়”। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তো রাষ্ট্রের জনগণের পয়সায় চলে, আপনারা তো জনগণের প্রতিনিধি। সেখানে আপনারা যখন পরিবর্তন আনতে পারছেন না তাহলে আমরা কীভাবে আশা করবো যে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে? প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাষ্ট্রীয় অর্থে পরিচালিত হয় না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি সঠিকভাবে চলে, সেখানে যদি পড়াশুনা হয়, গবেষণা হয়, ছাত্ররাজনীতির কারণে মারামারি খুনাখুনি না হতো, তাহলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেগুলোকে আদর্শ হিসেবে মানতে পারতো। কিন্তু সে অবস্থা তো নেই দেশে। “দেখতে দেখতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অপদার্থ শিক্ষকের আড্ডাখানায় পরিণত হয়। তাতে কোনো সমস্যা নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রমোশনের নিয়ম খুবই উদার, বয়স হলেই লেকচারাররা দেখতে দেখতে প্রফেসর হয়ে যান” – জাফর ইকবাল যথার্থই বলেছেন। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানেন কিসে তাদের প্রমোশন হবে, কাদের সাথে হাত মেলালে বা যোগাযোগ রক্ষা করলে তাদের লাভ হবে বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে। অতএব পড়াশুনা বা গবেষণার মতো কষ্টের বা ঝামেলার কাজ কেন?

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তক্কে তক্কে থাকে কীভাবে পড়াশুনা না করে ছাত্রজীবনটা ম্যানেজ করা যায়। তাদের জোর করে লেখাপড়া করানোর অমোঘ অস্ত্র হচ্ছে ঘনঘন পরীক্ষা, ক্লাস টেস্ট নেওয়া। কিন্তু ছাত্রনেতা বা ক্যাডাররা নিজেরা কি পরীক্ষা দেন বা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সহজে পরীক্ষায় বসতে দেন? তাদের ইচ্ছে ও অনিচ্ছায় যখন বিশ্ববিদ্যালয় চলে, তখন দেশে উচ্চশিক্ষার যে কী হাল হতে পারে তা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে না গিয়েও বুঝা যায়।

ইদানিং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আলাদা বেতন স্কেল দাবি করছেন। শিক্ষকদের আলাদা বেতন স্কেল যদি করতেই হয়, তাহলে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক দিয়ে শুরু করতে হবে। তারপর মাধ্যমিক ও কলেজ লেভেলের শিক্ষকদেরও আলাদা বেতন স্কেল থাকতে হবে, শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কেন? দেশে শিক্ষার মান বাড়াতে হলে সকল স্তরের শিক্ষা থেকে রাজনীতি দূর করতে হবে, উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে, মেধাবীদের এই পেশায় আকৃষ্ট করতে হবে। এগুলো সম্ভব হবে শিক্ষা থেকে রাজনীতিকে দূরে রেখে এবং শিক্ষকদের আলাদা বেতন স্কেল ও আলাদা মর্যাদা প্রদান করে। যেদেশে ছাত্রনামধারী ক্যাডাররা কলেজের উপাধ্যক্ষকে উলঙ্গ করে রাস্তায় হাঁটায়, সে দেশে শিক্ষা কোন স্তরে গিয়ে নেমেছে তা মনে করতেও লজ্জা হয়।  কবে আমরা এসবের পরিবর্তন দেখব।

মাছুম বিল্লাহ: প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি, ব্র্যাক এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেল্টা), ঢাকা, বাংলাদেশ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More