রাজশাহীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত যুবলীগের মিছিলের সামনের সারিতে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দেখা গেছে। এই ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ বুধবার রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে এই মিছিল নিয়ে তানোরের যুবলীগের নেতা-কর্মীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমাবেশে যোগদান করেন।
এই মিছিলে নেতৃত্বে দেন তানোর উপজেলার যুবলীগের সভাপতি ও তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ। তিনি মিছিলের ব্যানার ধরে সামনের সারিতে ছিলেন। তাঁর পাশেই ছিলেন তানোর থানার ওসি কামরুজ্জামান। শুধু তা-ই নয়, ওসি কামরুজ্জামান যুবলীগের বহরের একটি গাড়িতে চড়ে তানোর থেকে বানেশ্বরে যান। এই বহরে ১৮টি মাইক্রোবাসে ১৪ জন করে নেতা-কর্মী ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ওসি ছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তানোর যুবলীগের এই গাড়িবহরটি বানেশ্বরে পৌঁছায়। গাড়ি থেকে নেমে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে বানেশ্বর সরকারি কলেজে মাঠে আয়োজিত ‘মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সুধী সমাবেশে’ যোগদান করেন।
আরে এটা তো আমাদেরই অনুষ্ঠান। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন। এ জন্য আমি এলাকার লোকজন নিয়ে গেছি। তা ছাড়া যুবলীগের মিছিলে আমি যাব কেন।
কামরুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তানোর থানা
ওসির মিছিলে যাওয়ার ব্যাপারে যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ বলেন, তাঁদের মিছিলটা ‘লাইন ক্লিয়ার’ করে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওসি মিছিলে ঢুকেছিলেন। তিনি বলেন, তাঁদের বহরের একটি গাড়িতেই ওসি তানোর থেকে বানেশ্বর এসেছেন। এই ছবি তুলে যুবলীগের সভাপতি নিজেই তাঁর ‘ময়না চেয়ারম্যান’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কামরুজ্জামান প্রথমে বলেন, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ব্যানার নিয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন, সেই সময় তিনিও দাঁড়িয়েছিলেন। ওই ছবিটাই তুলেছে সবাই। তারপর তিনি বলেন, ‘আরে এটা তো আমাদেরই অনুষ্ঠান। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন। এ জন্য আমি এলাকার লোকজন নিয়ে গেছি। তা ছাড়া যুবলীগের মিছিলে আমি যাব কেন।’