রাজপথেই হবে ফয়সালা

0

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন-কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে রাজপথের বিরোধী দল খ্যাত বিএনপি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ভুলগুলো শুধরে পরিকল্পিতভাবেই এগুচ্ছে দলটি। এবার কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেয়া নয়; বরং তৃর্ণমূলের মতামত গুরুত্ব দিয়ে কর্মসূচির কৌশল নিয়েছে। ইতোমধ্যেই সেই সুফল পেতেও শুরু করেছে। আন্দোলনে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াছে। বিএনপির কয়েকটি জেলা ও উপজেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা স্পষ্ট করে জানিছেন, আগামী নির্বাচনের ফয়সালা মাঠের আন্দোলনের মাধ্যমেই হবে। তারা জানান, সরকার পর্দার আড়ালে সমঝোতার চেষ্টা করছে। দলে বিভক্তি করতে লোভ, ভয়ভীতি দেখাবে। যারা এসব ফাঁদে পা দেবেন তাদের ‘মাইন্যাস’ করে দলের কর্মসূচি প্রণয়ন ও পালন করা করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, দলের অভ্যন্তরে ভারতপন্থী, আওয়ামী লীগ পন্থী, সংলাপপন্থী নেতাদের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের গণভবনের সংলাপের ফলাফল মাথায় রেখে বিএনপি এবার কোনো সমঝোতা-সংলাপে যাবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারের নানামুখি পাতানো ফাঁদে পা না দিয়ে বরং রাজপথে যুগপৎভাবে শান্তিপূর্ণ নতুন নতুন কর্মসূচি পালন অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, থানা-উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকছে বিএনপি। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইতোমধ্যে শান্তিপূর্ণ এসব কর্মসূচিতে সারাদেশে ব্যাপক জাগরণ ও সাড়া ফেলেছে বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে চলমান এই আন্দোলন কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায়, কি কি কর্মসূচি দেয়া যায় তা জানতে সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতারা।

বৈঠকে জনপ্রতিনিধিরা আন্দোলনের বিকল্প কোন কিছু না ভাবতে পরামর্শ দিয়েছেন এবং সরকারের অধীনে নির্বাচন বা অন্য কোন আপোষের চিন্তা করলে রাজনৈতিক ও দলীয়ভাবে বিএনপি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। বিএনপির হাইকমান্ডকে উদ্দ্যেশে করে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি বলেন, বিভিন্ন সময় শুনি, আগামীতে আওয়ামী লীগের অধীনেই একটা সমঝোতার নির্বাচন হবে। যে নির্বাচনে বিএনপিকে কিছু আসন দেয়া হবে। এমন মন্তব্যের জবাবে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করা হয়, এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো সমঝোতা কিংবা আসন ভাগাভাগির নির্বাচনে যাওয়া হবে না। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।

আওয়ামী লীগের সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো অবস্থায় নির্বাচনে যাবে না সে কথা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারাও বিএনপিকে জানিয়েছেন উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো মনে করছে বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সর্টিফিকেট দেয়া হবে না।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, চলমান আন্দোলনকে কিভাবে আরো বেগবান এবং সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে রূপ দেয়া যায় তা নিয়ে ভাবছে বিএনপির হাইকমান্ড। এজন্য ধারাবাহিকভাবে দলের কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা, উপজেলা এবং পেশাজীবীদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সর্বশেষ সারাদেশে বিএনপির সমর্থক সাবেক ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি। ১০ দিনে মাঠ পর্যায়ের প্রায় আড়াই হাজার জনপ্রতিনিধির সঙ্গে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। এর প্রতিটিতেই বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় সরকার পতন আন্দোলন কিভাবে শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে নেয়া যায়, আরো কি কি নতুন কর্মসূচি দেয়া যায়, কিভাবে আরো বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করা যায় এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করা যায়।

দলটির একাধিক নেতা জানান, বৈঠকে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানরা পদযাত্রা, জনসংযোগ, জনসভা, মহাসমাবেশ, লং মার্চ, হরতাল, অবরোধসহ নানা কর্মসূচির প্রস্তাব করেছেন। একই সঙ্গে ২০১৮ সালের মতো সরকারের পাতা ফাঁদে পা না দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেন, বৈঠকে অংশ নেয়া বেশিরভাগ চেয়ারম্যানই বিএনপির হাইকমান্ডকে জানিয়েছেন অতীতের মতো এবারও যদি কোন রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তাহলে দল মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে, দেশজুড়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী হতাশায় রাজনীতি ছেড়ে দেবে। তাই সরকারের কোন প্রলোভন বা আশ্বাসে আস্থা না রেখে আন্দোলন নিয়ে চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তাদের হারানোর কিছু নেই তাই প্রয়োজনে জীবন বাজী রেখে তারেক রহমান যে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তা তারা সফল করবেন। একইসঙ্গে দলের কেউ যদি সরকারের ফাঁদে পা দেন তাহলে ওইসব নেতাদেরকে নিজ নিজ এলাকায় প্রবেশ করতেও দেবেন না বলে হুশিয়ারী দেন।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের যে দাবি নিয়ে বিএনপি বৃহত্তর আন্দোলন গড়তে চাইছে, তাতে সাধারণ মানুষসহ সব পক্ষের ব্যাপক অংশগ্রহণ আশা করছে দলটি। সম্প্রতি ইউনিয়ন থেকে থানা, জেলা ও মহানগরে পর্যায়ক্রমে যে পদযাত্রার কর্মসূচিগুলো করা হয়, এর উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষকে কাছে টানা। এ কর্মসূচির পরপরই একই লক্ষ্যে সারা দেশের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দলীয় সমর্থক সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের ঢাকায় এনে মতবিনিময় করা হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগের সাবেক-বর্তমান মিলে ২ হাজার ৩৬৭ জন চেয়ারম্যান অংশ নেন। এর মধ্যে ৩৫৭ জন বক্তব্য দিয়েছেন। ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচিত বিএনপির সমর্থক চেয়ারম্যানদের মতবিনিময়ের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।

জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি মতবিনিময় কর্মসূচিতে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া যেদিন যে বিভাগের মতবিনিময় হয়, সেদিন সংশ্লিষ্ট বিভাগের দলের ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা সভাপতি অথবা আহ্বায়ক, ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক বা সদস্য সচিব উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দলটির আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনায় তৃণমূলের মতামত জানতে চান নেতারা। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একাধিক সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিক সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা তারা দেখছেন না। আগামী দিনে সরকার তাদের দাবি মানবে এমন কোনো আশাও তারা করেন না। অতীতের অভিজ্ঞতায় দাবি আদায়ে রাজপথের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারা। আন্দোলনের কৌশল ও ২০১৮ সালে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া নিয়েও অনেকে কেন্দ্রকে ‘কাঠগড়ায়’ দাঁড় করান। বিষয়টি নিয়ে অনেক নেতা, কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি ক্ষোভ নিয়ে কথা বলেন। একই সঙ্গে এবারও যদি একই ধরণের ভুল করা হয় তাহলে যারা এর সঙ্গে যুক্ত থাকবেন সেসব কেন্দ্রীয় নেতা নিজ নিজ এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও হুশিয়ারি দেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা।

তারা বলেন, বর্তমান সরকারেরর পদত্যাগ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দাবি আদায়ে বিএনপি এখন দৃঢ়ভাবে মাঠে। তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন ইস্যুও সঙ্গে রয়েছে। নানা চ্যালেঞ্জ মোবাবিলা করে তারা এখন এসব ইস্যুতে রাজপথমুখী। ইতোমধ্যে বিএনপির ব্যতিক্রমধর্মী ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, থানা-উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গণমিছিল, গণসমাবেশ, মানববন্ধন, পদযাত্রা কর্মসূচিগুলো মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করছে। এখন বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রলোভনে সরকার ‘নানা টোপ’ দিতে পারে। বিএনপি যদি ২০১৮ সালের মতো আবারো এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যায়, তবে আবারো একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। তবে দল ও নেতাকর্মীদের অবস্থা হবে করুণ। এছাড়া তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সব সময় আন্দোলন সফল করেছে জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে ‘ঢাকাকে টার্গেট’ করে আন্দোলনের ছক কষতে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দাবি জানান তারা।

যশোরের মনিরামপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য ফারুক বলেন, তৃণমূল চায় আন্দোলন। আমাদের নেতা তারেক রহমানও চায় আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করতে। আমরা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বলেছি, এ সরকার সংলাপ সমঝোতা যাই বলুক, তা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ননদুয়ার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা বলেছি এখন পর্যন্ত বিএনপি যে ধারায় কর্মসূচি দিচ্ছে তাতে সকলে উজ্জীবিত, সাধারণ মানুষের মধ্যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তাই সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। দল যে কর্মসূচি ঘোষণা করবে আমরা মাঠে থেকে তা সফল করবো।

ফেনী সদর উপজেলার মোটবি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল খালেক বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করেন, আমরা যারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলাম, তারা এলাকায় একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ছিলাম। সে কারণে সরকারের বিরুদ্ধে আমরা কীভাবে জনসাধারণকে আরও সম্পৃক্ত করতে পারি, এ ক্ষেত্রে দলের করণীয় কী- সেটা তাঁরা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, দল যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমরা তা করব।’

সাতক্ষীরার কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বিএনপি সমর্থিত সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বলেন, চলমান অবস্থায় আমরা আন্দোলনের বিকল্প দেখি না। সংলাপ বা কোনো সমঝোতা আওয়ামী লীগের সঙ্গে হবে বলেও আমরা মনে করি না। এছাড়া সরকারের সংলাপ নাটকে যেন দল আর না যান, সে ব্যাপারে আমরা বৈঠকে কথা বলেছি। আমরা চাই আন্দোলনের মাধ্যমে একটা সমাধান। তিনি বলেন, সরকারের মামলা আর অত্যাচারে অতিষ্ঠ মানুষ এখন আন্দোলনের বাইরে কিছু ভাবছেন না। কারণ ১০১৮ সালের অভিজ্ঞতা তারা ভুলে যায়নি।

বৈঠকে অংশ নেয়া পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশেন, তাদের পালস বুঝেন। এজন্য তাদের কাছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানতে চান তারা কি ধরণের কর্মসূচি চান, কোন কর্মসূচিতে জনসম্পৃক্ততা বাড়বে। তৃণমূলে প্রতিনিধিরাও বেশকিছু কর্মসূচির কথা জানান।

যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এড. সাবেরুল হক সাবু বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়া কোনভাবেই সমর্থন করে না। তারা চায় আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করতে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতার কারণে তারা জানে সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া আর নিশ্চিত পরাজয় মেনে নেয়া একই। তাই প্রয়োজনে তারা আন্দোলন করতে গিয়ে জীবন দিতে রাজী আছে। কিন্তু কোন আপোষকামিতা তারা মেনে নেবেন না।

তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচন কি হবে তার সর্বশেষ উদাহরণই তো সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন। আওয়ামী লীগ রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে শুরু করে কোন নির্বাচনই ছাড়তে চায় না। তাদের কাছে কি আশা করার আছে।

বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, বিএনপি গণমুখি, নির্বাচনমুখি, গণতান্ত্রিক দল। বিএনপি চায় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হোক, জনগণের রায়ের প্রতিফলন হোক। এজন্য শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছে। চলমান এই আন্দোলনে আরো বেশি জনসম্পৃক্ততা বাড়তেই ইউনিয়ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে তাদের কাছ থেকে কর্মসূচির বিষয়ে মতামত নেয়া হয়েছে। এর ফলে অনেকে দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকার পর আবারও সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখছেন এবং সকলে আগামী দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রাখবেন বলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলরদেরও পর্যায়ক্রমে ডাকা হবে।

উৎসঃ   ইনকিলাব
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More