দুবাইকে বলা হয় স্বর্নের শহর-নাইট ক্লাবের শহর। জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ অন্য দেশের। প্রবাসীদের বেশীর ভাগ ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, আফ্রিকান দেশের। দুবাই আরব আমিরাতে বানিজ্যিক রাজধানী। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক দুবাই শহরের সৌন্দর্য দেখার জন্য ছুটে আসছে। পর্যটক ও প্রবাসীদের বিনোদনের জন্য দুবাই শহরের বড় বড় শপিংমলগুলোতে সিনেমা-থিয়েটার, আবাসিক হোটেল গুলোতে মদের বার, নাইট ক্লাব, ডান্স ক্লাব খোলা হয়েছে।কাজের সন্ধানে ছুটে আসা মানুষগুলো প্রবাসে এসেই একাকীত্ব ভোগ করে। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এক সময় হতাশায় ভোগে। হতাশা আর টেনশনে আক্রান্ত কিছু কিছু প্রবাসী এই বিনোদন জগতে (নাইট ক্লাব) প্রবেশ করে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। এই বিনোদন জগতের বাসিন্দারা সবাই নিজ নিজ দেশের হওয়াতে তাদের সাথে খুব অল্প সময়েই সখ্যতা গড়ে উঠে। মোবাইল নাম্বার বিনিময়ের পর শুরু হয় কথা বলা। তারপর আস্তে আস্তে ভালবাসা শূরু হয় এবং এই ভালবাসার টানেই তারা প্রতিরাতে নাইটক্লাবে গিয়ে বসে থাকে। ভালবাসার মানুষকে একটু কাছে পাওয়ার জন্য কষ্টার্জিত অর্থগুলো খরচ করে ফেলে। একসময় প্রতারিত হয়ে নিঃস্ব হয়ে বাড়ী ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
আবার নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে চিত্রটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। সাংস্কৃতিক দলের নাম দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ১৪ থেকে ১৮ বছরের দরিদ্র অথচ সুশ্রী তরুণীদের চট্টগ্রাম হয়ে পাচার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের নানা দেশে। তার মধ্যে দুবাই অন্যতম। নাচের কোন মুদ্রা না জানলেও এবং সঠিক তাল সুর লয়ে গান গাইতে না পারলেও শিল্পী পরিচয়ে এরা সাংস্কৃতিক টীমের ব্যানারে পৌঁছে যাচ্ছে দুবাইতে। সেখানে তাদের প্রধান কাজ হয় বিভিন্ন বার এবং নাইট ক্লাবে ড্যান্সার হিসেবে দর্শকদের মনোরঞ্জন করা। কখনো অনিচ্ছা সত্ত্বেও কলগার্ল হতে বাধ্য করা হয় তাদের।
মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন বার, নাইট ক্লাব ও হোটেলে প্রতিদিন রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। রাত বাড়ার সাথে সাথে আগতদের অনেকেই আরো কিছু চায়। তাদের এই চাওয়া পূরণের জন্য মঞ্চে উঠে আসে আলোচ্য কিশোরীরা। এরা দেশ থেকে যায়