অল্প সময়ে মানুষের মনে স্থান পেতে ৫টি গোপন মন্ত্র

0

Others workঅল্প সময়ের ব্যবধানে অন্যের মনে স্থান করে নেওয়াটা সহজ কথা নয়। কিছু মানুষকে হয়তো প্রথম দর্শনেই ভালো লাগে। কিন্তু সামান্য সময় অতিবাহিত করলে সেই ভালো লাগা কমেও যেতে পারে। কিন্তু কিছু বিষয় চর্চার মাধ্যমে যেকোনো মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারেন আপনি। শুধু কথাবার্তা বা অঙ্গভঙ্গি দিয়েই এ কাজটি করা যায় না। আরো কিছু বিশেষ আচরণের প্রয়োজন। এখানে নিন এমনই কিছু পরামর্শ যার মাধ্যমে নিমিষেই মানুষের গভীর অনুভূতিতে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবেন। বিশেষ করে চাকরির ইন্টারভিউয়ে বসে এর মাধ্যমে সফলতা বয়ে আনতে পারেন।

১. পরিস্থিতি সম্পর্কে আশাবাদী থাকবেন। মনে মনে বিশ্বাস করবেন যে, উপস্থিত সবাই আপনাকে পছন্দ করছেন। এতে করে ভেতরে আত্মবিশ্বাস চলে আসবে এবং সবার সঙ্গে সহজভাবে কথা বলতে পারবেন। নিজের আন্তরিকতা এবং ইতিবাচক আচরণ সহজেই চেহারা ও কথায় ফুটে উঠবে। আর এ বিষয়টি অন্যের নজরে পড়বে। অন্যের সঙ্গে স্বাভাবিক দূরত্ব বজায় রেখে সহজ না হতে পারাটা নৈরাশ্যবাদীর প্রতীক যা আপনার চরিত্রে স্পষ্ট হয়ে উঠবে। আর এটাই অন্যে মনে স্থান করে নিতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
২. আপনাকে পছন্দ করতে বাধ্য হবেন তারা, এমন এক মানসিকতা থাকতে হবে। ঠিক যেমন মা মজাদার খাবার দিয়ে শিশুকে তার কথা শুনতে বাধ্য করেন। স্বল্পপরিচিত বা অপরিচিত কারো সঙ্গে আড্ডায় এই পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। সাধারণত সবার কাছে প্রিয় এমন কোনো খাবার একসঙ্গে খেতে খেতে আলাপচারিতার মাধ্যমে অন্যের মনের মতো হয়ে উঠতে পারেন। নিউরোসায়েন্স এর এক গবেষণায় বলা হয়, প্রিয় খাবার খেতে খেতে দুজনের হাস্যোজ্জ্বল আলাপ তৃপ্তিকর যৌনতার মতোই অনুভূতি দেয়। তবে যতক্ষণ খাবার শেষ না হবে, এই আলোচনার আনন্দ ততই বাড়তে থাকবে এবং খাবার শেষ হওয়ার পর তা কমতে থাকে।
৩. অন্তরঙ্গতা এবং বন্ধুসুলভ হয়ে উঠতে অবশ্যই অন্যের দিকে হাত বাড়িয়ে দিন। হ্যান্ডশেক এমন এক সামাজিক চর্চা যা দুটো অপরিচিত মানুষকে সহজ করে দিতে পারে। বেকম্যান ইন্সটিটিউট এর গবেষক ফ্লোরিন ডোলোকস জানান, একের প্রতি অপরজন কি অনুভব করছেন তার স্পষ্ট প্রকাশ ঘটানো সম্ভব। আন্তরিক ভঙ্গিতে হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অন্যকে সহজেই কাবু করতে পারেন।
৪. নিজের বিষয়ে কৌশলে ইতিবাচক তথ্য উপস্থাপন করুন। বিশেষজ্ঞের মতে, অতি বিনয়ী হওয়ার চেয়ে এই পদ্ধতি বেশি কার্যকর। তবে খুব বেশি বেশি নিজের প্রশংসা পঞ্চমুখ হওয়া ঠিক হবে না। তবে কিছু কিছু তুলে ধরায় ভালো কিছু হতে পারে। আপনার মুখে আপনার বিষয়েই ভালো কিছু শোনা যখন শ্রোতার জন্যে বিপজ্জনক নয়, তখন এসব কথা তার মনে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে।
৫. খুব বেশি স্মার্টনেস দেখাতে যাবেন না। আবার আপনি একই গোত্রের ও বর্ণের মানুষের মনে সহজেই স্থান করে নিতে পারবেন, এক গবেষণায় এ কথা জানানো হয়। তবে অবশ্যই বর্ণবাদী আচরণ আপনাকে ভালো কিছু দিতে পারবে না। তাই এটি এড়িয়ে চলুন।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More