শারীরিক কোনো সম্পর্ক ছাড়াই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন ৪৬ বছর বয়স্কা এক নারী। ঘটনাটি প্রকৃতপক্ষে আষাঢ়ে গল্প মনে হলেও ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় তাই বলা হয়েছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার শহীদপাড়ার বাসিন্দা ওই নারী।
ল্যাবরেটরির ওইসব কাগজপত্র হাতে পেয়ে তাজ্জব বনে যান ওই নারীর প্রবাসী স্বামী মো: রাজীবও। তাদের মাঝে জন্ম নেয় চরম অবিশ্বাসের। কিন্তু ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কোনো আলামত না পেয়ে ঋতু পিরিয়ডের মধ্যে অপর একটি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে ভুতুড়ে তথ্য পান।
এরপর ভুতুড়ে পরীক্ষার কারণে তার সামাজিক মর্যাদা ও প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার টাকা ক্ষতির শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গত বুধবার ওই ল্যাবরেটরির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর ও দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে মামলাও ঠুকে দেন।
জানা গেছে, নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এলাকার এ্যাপেক্স ডায়াগনস্টিক সার্ভিস (প্রা:) লিমিটেড নামে একটি ল্যাবরেটরিতে এ ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে সামাজিক সম্মানহানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দাবি করে এর প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেন ঘটনার শিকার শেলী আক্তার।
কিন্তু দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর ধরে স্বামী বিদেশ থাকায় এমন রিপোর্ট হাতে পেয়ে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি। রিপোটের কাগজপত্র হাতে পেয়ে তাজ্জব বনে যান স্বামীও। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চরম অবিশ্বাস ও মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এতে বিদেশ যাওয়ার ভিসাসহ যাবতীয় কাগজপত্র নষ্ট করে ফেলেন স্বামী।
পরে স্বজনদের পরামর্শে নগরীর মোমিন রোডের কদম মোবারক মার্কেটের ম্যাগনামা ডায়াগনস্টিক লিমিটেডে রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করলে রিপোর্ট দেয় অন্তঃসত্ত্বা নয় বলে। পরামর্শের জন্য চিকিৎসকের কাছে গেলে জানতে পারেন এ্যাপেক্স ডায়াগনস্টিক সার্ভিস (প্রা:) লিমিটিডের রিপোর্টটি ভুয়া ও মিথ্যা।