নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি মানুষের আকর্ষণ বরাবরের। এই আকর্ষণের আবর্তে পড়েই অনেকে খুব কম বয়সে পৃথিবীতে আসার রহস্য নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতেই হঠাৎ করে পর্ন ‘আবিষ্কার’ করে ফেলেন। আজকের স্মার্টফোন-ল্যাপটপের যুগে পর্ন দেখাটা তো ভীষণ সহজ হয়ে গিয়েছে। তবে জানেন কি, এই পর্নের নেপথ্যে কত বড় একটা ইন্ডাস্ট্রি কাজ করে? এর বার্ষিক লাভের পরিমাণই বা কত? সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়া এ নিয়ে একটা ইনফোগ্রাফিক্স প্রকাশ করে, যাতে এমন তথ্য রয়েছে যা পড়লে আপনার মাথা ঘুরে যেতে পারে।
কি করম সেই তথ্য এক বার দেখে নিন:
মোবাইলে প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন পর্ন সার্চ করেন। বিশ্বের প্রায় ২৪ শতাংশ মানুষ এটা স্বীকার করেন, যে তাঁদের মোবাইলে পর্ন ছবি/ভিডিও রয়েছে।
মোবাইলে Sex Chat করার সংখ্যা বছরে প্রায় ২৫ শতাংশ করে বাড়ছে।ইন্টারনেটে পর্ন দেখিয়ে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যবসা করে বিভিন্ন অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইট।
১০ জনের মধ্যে ৯ জনই ইন্টারনেটে শুধুমাত্র ফ্রি পর্ন দেখেন, বা অবৈধ কপি করা VDO দেখতেই বেশি পছন্দ করেন। অনলাইনে পর্ন দেখার জন্য প্রতি সেকেন্ডে ৩ হাজার মার্কিন ডলার রোজগার করে ওয়েবসাইটগুলি।
১৮ বছর হওয়ার আগেই ১০ জনের মধ্যে ৯ জন পুরুষ এবং ১০ জনের মধ্যে ৬ জন মহিলা পর্নোগ্রাফি VDO দেখে ফেলেন।
প্রায় ৬৯% পুরুষরা এবং ৫৫% মহিলারা ইন্টারনেটে সমলিঙ্গের Sex VDO দেখেন।
ইন্টারনেটে ২ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি পর্ন সাইট রয়েছে। ৮৩% পুরুষ এবং ৫৭% মহিলারা অনলাইনে গ্রুপ Sex দেখা পছন্দ করেন।
ইন্টারনেটে প্রচুর ফ্রি পর্ন সাইটের কারণে ২০০৭ সালের পর থেকে বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৫০% আয় কমে গিয়েছে পর্ন ওয়েবসাইটগুলির। পুরুষরা গড়ে ১২ বছর বয়সেই এ বিষয়ে বেশ অভিজ্ঞ হয়ে ওঠেন।
পর্নোগ্রাফিযুক্ত কনটেন্ট নিয়ে সারা বিশ্বে প্রতি দিন ২ হাজার ৫০০ কোটি ই-মেল পাঠানো হয়। শুধুমাত্র মোবাইল পর্ন সাইটগুলি চলতি বছরে ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার লাভ করবে বলে অনুমান। মার্কিন মুলুকেই প্রতি দিন ৪ কোটি মানুষ ইন্টারনেটে পর্ন দেখেন।
রবিবার বিশ্ব জুড়ে সব থেকে বেশি মানুষ পর্ন দেখেন। ইন্টারনেটে ৪টির মধ্যে ১টি সার্চ হয়ে থাকে পর্নের বিষয়ে। বিশ্বে প্রতিদিন যত জিনিস ডাউনলোড করা হয়, তার এক তৃতীয়াংশই Porn. প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন পুরুষ কাজের জায়গায় পর্ন দেখে থাকেন।