বিষয় : বাংলাদেশি সানি লিয়ন
১৯৬০ সালের পরে ভিয়েতনাম যুদ্ধ শেষে আমেরিকান সেনারা যখন দেশে ফিরে এল, তখন হিউ হেফনার নামে এক তরুন চিন্তা করলেন – এইসব বিদেশ ফেরত সৈন্যদের বিনোদনের জন্য নতুন ধরনের একটা এডাল্ট ম্যাগাজিন চালু করা যেতে পারে । মার্কেটে চলবে ভাল । জনগন খাবে ভাল । এই চিন্তা থেকে তিনি প্লেবয় নামে একটি ম্যাগাজিন চালু করেন । ম্যাগাজিনের মূল আকর্ষন –পত্রিকার মাঝখানের পৃষ্ঠায় একটা সুন্দরী মেয়ের সম্পুর্ন নগ্ন ছবি ছাপা হত । ম্যাগাজিনটা ছিল মাসিক । গত ৫০ বছর ধরে প্রতিমাসে একজন করে ১২*৫০=৬০০ জনেরও বেশি মেয়ে কাপড় খুলে এইভাবে প্লেবয়ের জন্য মডেল হয়েছেন । এদের মাঝে একেবারে প্রথম সংখ্যার মডেল ছিলেন মেরিলিন মনরো ।
প্রকাশের পর থেকেই প্লেবয় ম্যাগাজিন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় । লাখ লাখ কপি প্লেবয় ম্যাগাজিন বিক্রি হতে থাকে । প্লেবয়ের ব্র্যান্ড নেম ইউজ করে অনেক জিনিসপত্র বিক্রি হতে থাকে । প্লেবয়ের আন্ডারওয়ার , গেঞ্জি ,বেল্ট , ম্যানিব্যাগ ,পারফিউম ,বডি স্প্রে ,সানগ্লাস এবং আরো হাজার হাজার আইটেম বিক্রি হতে থাকে ।
প্লেবয়ের জনপ্রিয়তা দেখে আরো অনেক মানুষ এই ধরনের ম্যাগাজিন বের করার চেষ্টা করে । শত শত সাংবাদিক নতুন নতুন মডেল নিয়ে প্লেবয় ম্যাগাজিনের অনুকরনে নগ্ন ছবিওয়ালা ম্যাগাজিন বের করা শুরু করে । প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করার জন্য নকল প্লেবয় ম্যাগাজিনগুলো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে । মূল প্লেবয় ম্যাগাজিনে মেয়েদের নগ্ন ছবি ছাপানো হলেও সেগুলোর একটা নীতিমালা ছিল । প্লেবয়ে মেয়েদের যৌনাংগ (সহজ ভাষায়-ভোদা) দেখানো হত না ।শুধুমাত্র শরীরের উপরের অংশের ছবি তুলেই ম্যাগাজিনের মাঝের পৃষ্ঠায় ছাপানো হত ।প্রতি সংখ্যায় ম্যাগাজিনের কভার গার্লের অনেক গুলো ছবি বিভিন্ন স্টাইলে তুলে ছাপানো হত । এই ছবি গুলো ম্যাক্সিমামই হত পুরো নগ্ন কিংবা অল্প কিছু কাপড় চোপড় পরানো হত । ছবি গুলাতে মডেলদের বুক খুব খোলাখুলিভাবে দেখানো হলেও যোনী দেখাতে বেশ কিছুটা আড়াল ইউজ করত । ছোট কোনো প্যান্টি পরিয়ে কিংবা বিশেষে এঙ্গেল থেকে ছবি তুলে ভোদা আড়াল করা হত । মাঝে মাঝে অবশ্য বাল ওয়ালা ভোদা দেখানো হত । মোটকথা, কখনোই ডাইরেক্ট ভোদার চামড়া দেখানো হত না ।
নকল প্লেবয় ম্যাগাজিনগুলো এই জায়গায় টেক্কা দিতে লাগল । তারা মেয়েদের যোনীর ছবি খোলাখুলিভাবেই দেখানো শুরু করল । ম্যাগাজিনগুলো কে কত বেশি দেখাতে পারবে তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হল । ১৯৭০ সালের দিকে আমেরিকায় এই যুদ্ধকে মিডিয়া জগতে নাম দেওয়া হল pubic war । পিউবিক হেউয়ার মানে যোউনাঙ্গের চুল (বাল) আর ওয়ার মানে যুদ্ধ । পিউবিক ওয়ার এর অনুবাদ করা যেতে পারে—বালের যুদ্ধ ।
আন্তর্জাতিক পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বড় বড় তারকা রয়েছেন । তবে কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের মানুষের কানে আসে সানি লিয়নের নাম । মূলত সানি হিন্দি সিনেমায় অভিনয় শুরু করার পর থেকেই তার নাম আলোচনায় আসে ।তার নাম এত বেশি আলোচনায় আসে যে অনেক মানুষ সানি লিয়ন ছাড়া আর কোনো পর্ন তারকার নাম জানেন না । পর্ন তারকা বলতেই অনেকে সানি লিয়নকে বুঝে থাকেন । অন্য সব পর্ন তারকা বাদ
বাংলাদেশেও তখন কিছু মডেল খুব চেষ্টা শুরু করলেন লাইমলাইটে আসার জন্য । যারা টিভি , সিনেমা বা অন্য মিডিয়ায় মুখ দেখাতে পারছিলেন না,তারা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে লাইমলাইটে আসার জন্য বেছে নিলেন ফেসবুককে । নিজেদের ফেসবুক একাউন্ট থেকেই তারা নিয়মিত খোলামেলা ছবি আপলোড করা শুরু করলেন ।
এই তালিকার একেবারে প্রথমেই আছেন নায়লা নাইম (https://www.facebook.com/nailanayembd)।পেশায় তিনি দাতের ডাক্তার । তবে মডেলিং এও বেশ কিছু কাজ করেছেন । কয়েকটি সিনেমার আইটেম গানে দেখা গেছে তাকে ।অনেক গুলো মিউজিক ভিডিও আছে তার ।২০১২ সালের দিকে প্রথম যখন তিনি ফেসবুকে খোলামেলা ছবি দেওয়া শুরু করলেন, তখন অনেক বেশি হই চই পড়ে গেছিল ।সবাই তখন তাকে বাংলাদেশের সানি লিয়ন বলা শুরু করলেন । কথাটা অবস্যই নায়লার কানে এসেছে । তবে তিনি এই তুলনা বিষয়ে পাবলিকলি কিছু বলেননি । সানি লিয়নের সাথে তুলনায় আসতে পেরে তিনি কতটুকু গর্বিত তা জানা যায়নি ।
এখন মোটামুটি সহজভাবেই সবাই তার ফেসবুকের ছবি আপলোড করা মেনে নিচ্ছে । গ্রামীনফোনের বিজ্ঞাপনেও নায়লাকে দেখা যাচ্ছে । তার সোশ্যাল এক্সেপ্টেন্স অনেক বেড়েছে ।তবে বর্তমানে সম্ভবত নায়লা নিজে তার ফেসবুক একাউন্ট চালায় না । অন্য মানুষরা তার হয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে দেয় ।ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রেই কিছু অনলাইন নিউজ পেপারের নিউজ লিংক শেয়ার করা হয় ওর একাউন্ট থেকে ।
নায়লা নাইমের জনপ্রিয়তা দেখে আরো অনেক মডেল ফেসবুক ব্যবহার শুরু করলেন ।এরা সবাই দ্রুত জনপ্রিয় হতে চায় । সবাই চায় , মানুষ যেন ওকে বলুক , আপনিই বাংলার সানি লিয়ন । নায়লা নাইম কিংবা অন্য কেউ নয় , সানি লিয়নের সাথে তুলনীয় হতে পারেন কেবল আপনি ই । অনেক মডেল ইনডাইরেক্টলি এই কথা শুনতে চায় , অনেকে ডাইরেক্টলি এই কথা শুনতে চায় ।
জ্যাকুলিন মিথিলা (https://www.facebook.com/mithila.miths.1)আবার এক ধাপ এগিয়ে । তিনি নিজের ফেসবুক একাউন্টের নাম দিয়েছেন crazy fan of sunny leone ফেসবুকে নিজের ছবি আপলোড করার পাশাপাশি মাঝে মাঝেই তিনি সানির ছবিও আপলোড করেন
বর্ষা আলিভা (https://www.facebook.com/borshaaliva)মাঝে মাঝেই সেই সব নিউজ লিংক শেয়ার করেন, যেগুলোতে সাংবাদিক লিখেছেন ‘বাংলার সানি লিয়ন বর্ষা আলিভা সম্প্রতি নতুন একটি মডেলিং এর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ’ বা এইরকম কিছু
আমরা এই প্রতিযোগিতাটার নাম দিতে পারি বাংলার সানি লিয়ন হওয়ার যুদ্ধ । এই যুদ্ধে অনেকি জড়িয়ে পড়েছেন । উপরের কয়েকজন ছাড়াও আরো আছেন সুবেকা নুর ডায়ানা (https://www.facebook.com/subekadiana) কিংবা রেশমি এ্যলোন (https://www.facebook.com/Rasmi07?ref=br_rs), জুলিয়া চৌধুরী নিকোল (https://www.facebook.com/profile.php…) কিংবা আরশিনা প্রিয়া (https://www.facebook.com/arshina.priya.5)
প্রতিযোগিতায় জেতার জন্য এরা এতই বেপরোয়া যে এরা এদের ফেসবুক পুরা ওপেন করে দিয়েছে এবং ভক্তদের মতামত এরা অনেক সম্মান করে । আপনি যদি এখন রেশমির একাউন্টে গিয়ে লিখে আসেন , রেশমি আমি তোমাকে চুদতে চাই , কোনো সমস্যা নেই, রেশমি আপনার কমেন্টে লাইক দিবে । সুবেকার ছবিতে যদি লিখে আসেন so sexy your boobs ও তখন রিপ্লাই করবে থ্যাঙ্ক ইউ উম্মমাহ ।
প্লেবয়ের সাথে অন্য ম্যাগাজিনগুলোর প্রতিযোগিতায় প্লেবয় ই জিতেছিল । সানি লিয়ন হওয়ার যুদ্ধে এখন পর্যন্ত নায়লা নাইম ই একটা ক্লাস ধরে রেখেছে । দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয় । কে জিতে এই যুদ্ধে
এই সব উঠতি মডেলের ভিতরে সত্যিকার একজন বাংলাদেশি পর্নস্টারের কথা জানাই । এর নাম এমেলিয়া মালটেপ (https://www.facebook.com/amelia.maltepe?fref=ts)।
৫ বছর আগেও ঢাকায় ছিল । একজন ছেলে ছিলেন জন্মগতভাবে । পরে তিনি কানাডায় যান এবং সেখানে সেক্স চেঞ্জ অপারেশন করে মেয়ে হয়ে যান । মেয়ে হয়ে তিনি মডেলিং এবং এডাল্ট সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন ।
আরেকটি বিশেষ ব্যাপার বলতে চাই । গুগলে সবচেয়ে বেশি নাকি সেক্স খুজে বেড়ায় পাকিস্তানীরা । বাংলাদেশিরাও কিন্তু কম যায়না । আমাদের ইন্টারনেট ইউজের ৫০% এরও বেশি ব্যয় হয় পর্নোগ্রাফি খোজার কাজে ।তবে সেক্স আর রেপ আপনাকে আলাদা করতে হবে । আপনি rape লিখে সার্চ দিলে গুগল প্রথমেই আপনাকে সতর্ক করে দিবে , রেপ ইজ নট সেক্স ,ইটস এ ক্রাইম । আপনি সেক্স বিষয়ে যত খুশি সার্চ দেন , সমস্যা নেই , ধর্ষন বিষয়ক কোন ভিডিও খুইজেন না । ভাল ভাল পর্ন নির্মান প্রতিষ্ঠান কখনো ধর্ষন রিলেটেড কিছু দেখায়না ।আপনাকেও এই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে । যে মেয়ে যতটুকু পারমিশন দিচ্ছে , তার সাথে ততটুকুই করতে পারবেন , এর বেশি করা যাবেনা । রেশমির একাউন্টে আপনি যা যা লিখতে পারবেন , সাধারন একটা মেয়ের ওয়ালে গিয়ে আপনি সেই কথা লিখতে পারেন না । কুমিল্লার মেয়ে তনুর স্বাধীনতা আছে , যার সাথে খুশি প্রেম করার কিংবা আরেকটু ঘনিষ্ট হবার । যাকে ও পাত্তা দিচ্ছেনা তার কোনো অধিকার নেই তার সাথে জোর করে প্রেম করার কিংবা ধর্ষন করার কিংবা মেরে ফেলার । আগামীকাল ২৫শে এপ্রিল তনু হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে হরতাল ডাকা হয়েছে । আপনি নৈতিকভাবে একমত হলে এই হরতাল সফল করুন
#Justice_for_tanu
লেখাটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগ্রহীত, শুধু সচেতনতার লক্ষে, এই বিষয়ে এই প্রতিষ্ঠান ও দিবার্তার কোন কর্মকর্তা দাই নন!