এরশাদের সময়ের প্রথম দিকের গল্প একটা বলি। ৮৩ সালের ছাত্র আন্দোলনের সময়ে বাবাকে বারবার অনুরোধ জানাবার পর, আওয়ামীলীগেরই এক নেতার মধ্যস্থতায় ঐ নেতার বাড়িতেই জেনারেল চিশতির সাথে বাবা মিটিং করেন।
আমি নিজে গাড়ি চালিয়ে বাবাকে লুকানো জায়গা থেকে নিয়ে ঐ বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমি গাড়িতেই বসা ছিলাম। পরে বাবার মুখে এই মিটিং এর গল্প শুনেছি। গল্পটা ছিল এরকম, বাবাকে এরশাদের মন্ত্রী সভায় যাবার অফার দিয়ে উনি বলেছিলেন যে, আপনাদের ঐ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক আন্দোলন থামাতে আমাদের শুধু একটা সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। কত ছাত্র আছে ওখানে। সতেরো হাজার? আমাদের আছে পয়ষট্টি হাজার সুশিক্ষিত সেনা। মুহূর্তের মধ্যে আপনার ঐ সতেরো হাজার ছাত্রকে মেরে ফেলবো আমরা। কোথায় থাকবে আপনাদের আন্দোলন আর কোথায় থাকবেন আপনি।
এই কথার পরই বাবা উঠে দাড়ালেন চলে যাবার জন্য। জেনারেল সাহেব বললেন, আপনি আমার প্রস্তাবে হাঁ-না কিছুই বললেন না। বাবা আবার বসলেন। তারপর বললেন, ‘‘আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনাদের প্রশিক্ষিত পয়ষট্টি হাজার সেনা, মুহূর্তের মধ্যে আমার দেশের সবচেয়ে ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সতেরো হাজার ছাত্রকে উড়িয়ে দিতে পারবে। কিন্ত তারপর? আমার দেশলাই বাহিনীকে সামাল দেবেন কি করে? জেনারেল সাহেব বললেন ‘‘এটা আবার কোন বাহিনী’’। বাবা উত্তর দিলেন ‘‘কোটি কোটি জনতার প্রত্যেকে হয়ে উঠবে এক একটা দেশলাইয়ের কাঠি। জ্বলে উঠবে সাড়া দেশ জুড়ে। ঐ পয়ষট্টি হাজার সেনাও তো এই দেশেরই নাগরিক। তাদেরকে তো এদেশেই থাকতে হব”। হতভম্ব, স্তম্ভিত জেনারেলকে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন বাবা।
চলে যাই আরো পরের ঘটনায়। কোরবান আলী সাহেব চলে গেলেন এরশাদের মন্ত্রী সভায়। যাবার আগে আমাদের বাসায় অন্তত দুবার তিনি এসেছিলেন এবং প্রতিবারে ৫/৬ ঘন্টা ছিলেন। সে সময় বাবাকে তিনি বোঝাবার চেষ্টা করেছেন এরশাদ সরকারে যাবার জন্যে। কই পারেননি তো। একাগ্রতা, নিষ্ঠা, নীতির প্রশ্নে অবিচল, জনগনের অধিকারের প্রতি চুড়ান্ত সচেতন, অসাধারন রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পন্ন এই মানুষটির ত্যাগকে যারা রাজনৈতিক রোমান্টিসিজম বলে পাশ কাটিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মকে অন্ধকারে রাখতে চায়, তারা আসলে ভবিষৎ প্রজন্মকেে বোঝাতে চায়, কোন ত্যাগ নয়, নয় কোন কমিটমেন্ট, নেতা হতে হলে প্রয়োজন শুধু মিথ্যার । প্রয়োজন শুধু ঝোপ বুঝে কোপ মারার সন্ধিক্ষণ বোঝার দক্ষতা। প্রয়োজনে কমিডিয়ানের মত বক্তৃতার মঞ্চদখল করে, কিছু মানুষকে মুহুর্তের ভাবাবেগে ভাসিয়ে নেবার ক্ষমতা। আব্দুস সামাদ আজাদের মত মানুষেরা, যাঁরা জীবনে একটিও রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত নেননি, এটা শুধু ভাগ্য এবং কথার কথা মাত্র।
একটা গল্প বলি। আমার লেখা একটি নাটকের মহড়া চলছে। একজন পারফর্মারের বোন জাসদের বড় একজন নেত্রী। একদিন সেই পারফর্মার বলে বসল, এ জায়গাটার লেখা গুলিতে যেন আওয়ামীলীগের গন্ধ রয়েছে। আমি বললাম, এটা মুক্তিযুদ্ধের কথা। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তারা সবাই এভাবেই ব্যাখ্যা করবে। সে তখন বলল, তারপরও ব্যাখ্যাটুকু আওয়ামী ব্যাখ্যা। কথাগুলো আসলেও ঠিক। আমার যেকোন লেখায় যদি কোন রাজনৈতিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন হত, আমি সব সময় আগে বাবার সাথে বসতাম। ওনার ভাষ্য নিতাম। উনি যে ব্যাখ্যা দিতেন সেটাই লেখায় ব্যবহার করতাম। আর সেই ব্যাখ্যাকে, সেটা হোক প্রতিক্রিয়াশীল ব্যাখ্যা, হোক প্রগতশীল ব্যাখ্যা, ওটাকে আওয়ামী ব্যাখ্যাই বলা হবে। কারন, উনি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতীক। এমনকি মুক্তিযুদ্ধে যারা আওয়ামীলীগের ছিলেন, অথচ যুদ্ধের পরে দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁদের কাছেও ব্যাখ্যাটি আওয়ামী বলেই মনে হবে। আর যারা অন্য দল করতেন, তাঁরা তো আওয়ামীলীগের সর্বনাশই চেয়েছেন সকল সময়। এই কারনেই বাবার সর্বনাশ চাইবেন তারা। সব সময়ই বাবাকে এবং আওয়ামীলীগেকে এক কাতারে ফেলে গালাগালি করেছেন তারা। এবার তাদের অন্তত থামা উচিৎ।
লেখার কথা যখন উঠলই তখন দুটো কথা বলি। আমার প্রবন্ধ গুলোতেও বাবার ভাষ্য আছে। একটি প্রবন্ধের এক জায়গায় ব্যবহার করেছিলাম “বিপ্লবে একটা আদর্শ থাকে, প্রতিক্রিয়াশীল চক্র যখন বুঝতে পারে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রেনের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন বিল্পব থেকে আদর্শ ছেটে ফেলে, তাকে বিদ্রোহে রুপান্তরিত করার চেষ্টা করা হয়। যদিও প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের এটাই সর্বশেষ চক্রান্ত। কিন্ত ইতিহাস সম্পর্কে তাদের অনভিজ্ঞতার কারনে এ কাজটি কাজটি তারা করে। ফলে অনিবার্য ভাবে আদর্শবিহীন বিপ্লব পরিনত হয় বিদ্রোহে। সেই দ্রোহের আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় সব, এমনকি প্রতিক্রিয়াশীল চক্রও”। এটুকু সম্পুর্ন বাবার কথা ছিল। বাবার যে কথা গুলো বাবা বিশ্বাস করলেও প্রকাশ করেন নাই, তার একটি কথা প্রকাশ করছি। বাবা মনে প্রানে বিশ্বাস করতেন, ভারতের সেভেন সিস্টার্স এর রাজ্য গুলোর সাথে যেদিন বাংলাদেশ একটি সম্মিলিত অর্থনৈতিক বলয় সৃষ্টি করতে পারবে, সে দিন অত্র অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। অবশ্য উনি নিজেই বলতেন, “এ-এক দুঃসাহসীক উচ্চারণ” । আমি গর্বোবোধ করি আমি আব্দুস সামাদ আজাদের সন্তান, আমি গর্বোবোধ করি আমি নুরন নাহার সামাদের সন্তান, আমি গর্ব্বোধ করি আমি বাংলাদেশের সন্তান, আমি গর্ববোধ করি কারন, আমি বাঙ্গালী।
৭১’এর গল্প বলছিলাম । ৭১’র জুলাই পর্যন্ত বাবার দেখা পাইনি । স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে যে দিন প্রথম আব্দুস সামাদ আজাদ নামটি উচ্চারন করা হয়, মা এর উচ্ছাস সেদিন দেখার মত ছিল। আমরা যতই বলছি বাবার নামে তো আজাদ নেই। মা ততই আরো জোড় দিয়ে বলছেন, ওটাই তোমার বাবার নাম। উনি বলে গিয়েছেন, যদি কখনো ছদ্ম নাম নিতে হয় তবে আজাদ লাগাবো। পরে শুনেছি আমাদের নিরাপত্তার প্রশ্ন ছাড়াও আরো অনেক কারনে বাবাকে ছদ্ম নাম গ্রহন করতে হয়েছিল। প্রথমে ছিলেম আবুল কালাম আজাদ। পরে, মা-কে বুঝাবার জন্যে, উনি সহি-সালামতে আছেন, মাকে বলা কথা অনু্যায়ী আব্দুস সামাদ আজাদ নাম নিয়েছিলেন বলে মনে করেছিলাম। বাবার মুখে পরে শুনেছি এই নামের আরো ইতিহাস। উনি ৭১ এ হাঙ্গারীতে যখন শান্তি পদক আনবার জন্য গিয়েছেন, তখন হাঙ্গারীর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওনাকে নিয়ম অনু্যায়ী বাবার শেষ নাম অথচ ছদ্মনাম Mr. Azad বলে ডাকতে শুরু করেন। বাবা যতবারই বোঝাবার চেষ্টা করেছেন যে উনি আজাদ নন, ততবারই উনি বলছেন, না,না, তুমি আজাদ। পরে ইন্টারপ্রেটার এগিয়ে এল। প্রেসিডেন্ট বুঝিয়ে বললেন, আমি আজাদ শব্দটার অর্থ জানি। তুমি তোমার দেশকে আজাদ করার লক্ষে কামিয়াব হবে এটাই আমার আশা। যদিও আজাদ তোমার ছদ্ম নাম কিন্ত আমার কাছে ওটাই তোমার আসল নাম। সেই যে আজাদ হলেন আর কখনো পরাধীন হননি, পুরোনো নামে ফিরে যাননি। জুলাই এর ২ তারিখ বাবার সাথে আবার দেখা হয়। এই সময়ের বহু ঘটনা। যেগুলোতে বাবার স্মৃতি খুব কম থাকায় এখানে উল্লেখ করলাম না।
এ সময়ের দু’টো গল্প মায়ের মুখ থেকে শুনে বাবা বহুজনকে শুনিয়েছেন। গল্প দু’টোই জুনের শেষে আমাদের যাবার পথে ঘটেছিল। মা তো আমাকে মে মাসের শেষের দিকে চিথুলিয়া পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এদিকে সেদিকে ঘুড়ে বেড়াবার মাস খানেক পরেই মতি মামা এলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার একজন আপন মামা সহ তিন মামা শহীদ হয়েছেন। তাদের মাঝে উনিও একজন। উনি বললেন, “চলো তোমার মা যেতে বলেছে”। রওনা হলাম আটঘরিয়া। যাবার সময় একটা বাড়ি দেখিয়ে আস্তে আস্তে বললেন, ওদিকে তাকিওনা। কান পেতে শুধু শোন। গোঙ্গানীর শব্দ শুনতে পাবে। ওখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে পাক সেনারা টর্চার করে।
বহু গল্পের মাঝে হাঁটতে হাঁটতে পৌছে গেলাম আটঘরিয়া। এক মাসেরও পরে মায়ের সাথে দেখা। মনে হয়নি। ছোট ভাই আতিকের উচ্ছাস ছিল। বাকিদের মধ্যে তৌফিক আড়াই বছরের, শিল্পী চার বছরের। রওনা হলাম আমরা। মুকুল ভাই এবং আরো একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বাবা পাঠিয়েছেন। মতি মামা সঙ্গ নিলেন। রাস্তায় যোগ দিলেন ডিডুভাই। মুকুল ভাই এসকর্ট হিসাবে ৪০০/৫০০ গজ আগে হাঁটতেন। মা যাত্রার একদম শুরুতেই মুকুল ভাইকে বলে দিয়েছেন আমাকে সাথে রাখতে। মতি মামা এবং আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা সালাম ভাই আমাদের একশ গজ পেছনে, আর তারও প্রায় একশো গজ পেছনে মা-ভাই বোন সহ গরু গাড়িতে। প্রথমে গরু গাড়িতে মা আমাকে চড়তে না দেয়ায় মনে কষ্ট পেয়েছিলাম। মুকুল ভাইয়ের সাথে গল্পে গল্পে সেই কষ্ট আর বেশী সময় থাকেনি। এখন বুঝি এটাও মায়ের অতিরিক্তি সতর্কতা। একজনকে অন্তত বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস। হাঁটছি তো হাঁটছি। মুকুল ভাই এর সাথে কথা বলে যতুটুকু বুঝেছি, কুষ্টিয়া হয়ে নদীয়ার ভেতরে ঢুকেছিলাম বোধহয়। দিনের বেলা হাঁটা, রাতে অর্ধ বা প্রায় অপরিচিত কোন বাড়িতে আশ্রয় নেয়া। সবার মাঝেই ঐ সময় একটা সহমর্মিতা থাকায়, অপরিচিত মানুষ গুলোও এক রাতের মাঝেই হয়ে উঠত একান্ত আপনজন। যে যার সামর্থ মত পরের দিনের পাথেয় দিয়ে দিত আমাদের সাথে।
এভাবে তিনদিন চলার পর পদ্মা পারের কোন এক গ্রামে এসে পৌছালাম। যতটুকু মনে হয় ডিডু ভাইয়ের গ্রাম। পাশেই প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ। কেউ বলছে রাতেই নদী পার হওয়া উচিৎ। কেউ বলছে গোলাগুলি না থামলে যাওয়া উচিৎ নয়। কেউ আবার বলছে, গোলাগুলি থামলেই আর্মি আশে পাশের গ্রামগুলিতে হানা দেবে। সবাই চিন্তিত। শেষ পর্যন্ত মুকুল ভাই গভীর রাতে সিদ্ধান্ত নিলেন, উনি আগামী কাল নিজের চোখে পরিস্থিতি দেখতে যাবেন। নদী পাড়াপাড়ের বন্দোবস্ত করবেন, তারপর সিদ্ধান্ত। আমি আর মুকুল ভাই গত তিনদিনের যাত্রা পথে এক সাথে রাতে ঘুমিয়েছি। সকালে উঠে দেখি উনি নেই। ডিডু ভাইও সাথে গিয়েছেন। দুপুরের দিকে খবর নিয়ে দুজনে এলেন। যুদ্ধ চলছে নদী পারাপারের মাইল দু-তিন দূরে। চরের যুদ্ধ। বিমান না আসা পর্যন্ত পাক আর্মি দখল করতে পারবে না। যেহেতু কাল রাত থেকে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়েছে, বিমান আসবে না। যুদ্ধও থামবে না।
পরের দিন ভোর রাতে বৃষ্টিটা একটু ধরেছে শুধু, কিছু মুড়ি আর একটা কাঠাল গাছ থেকে পেড়ে তাড়াহুড়ো করে রওনা হলাম। নৌকায় নদী পার হচ্ছি। টিপ টিপ বৃষ্টি হচ্ছে। অপর পারের দুইশো গজের মধ্যে তখন মাত্র পৌঁছেছি, শুরু হল প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি। চারিদিকে শুধু ধু-ধু প্রান্তর। নৌকাটি ডিঙ্গি নৌকা, ছৈ নাই। নদীর পারে পৌছেই আমরা ধু ধু চড়ের মাঝে বসে পড়লাম। একটি মাত্র ছাতা। মা- ছাতা সহ শিল্পি তৈফিক কে নিয়ে বসলেন। বাকি সবাই ঝড়ের দিকে পিছন ফিরে চুপচাপ বসা। মুকুল ভাই শুধু একবার বললেন যে, কপাল ভালো। আর দশ/পনের মিনিট আগে ঝড় শুরু হলে ক’জন প্রানে বাঁচতাম আল্লামালুম। এক সময় ঝড় থামলো। দৌড়ে গেলাম মায়ের কাছে। ছোট বোন শিল্পী ঠান্ডায় থরথর করে কাঁপছে। তৌফিক নির্জিব। বালির ভিতরে বুক পর্যন্ত ঢুকে গিয়েছে। শিল্পীর অবস্থা দেখে তৌফিকের দিকে নজর দিতে পারেননি মা। তৌফিক এমনিতেই শান্ত প্রকৃতির ছিল, তাই মা বুঝতে পারননি ঘটনাটি। সে একটা সময় বটে। মা শিল্পীকে মুছে জড়িয়ে ধরে গরম করার চেষ্টা করেছেন। আমরা সবাই মিলে আড়াই বছরের তৌফিক কে বালি থেকে বের করার চেষ্টা করছি। ঝড় থেমে দশ মিনিটের মধ্যেই সূর্য উঠেছিল। আর তার আধা ঘন্টা পর যদি কেউ দেখতো, তবে বুঝতেই পারতো না কী অবস্থা ছিল আমাদের। তখনই বুঝেছিলাম, এই পৃথিবীতে কোন ঝড়ই দীর্ঘস্থায়ী নয়। যত তুমুলই হোকনা কেন, ঝড় এক সময় থামবেই, সুর্য এক সময় উঠবেই।
(চলমান)
লেখক, আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সহ-সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ, প্রয়াত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসেডিয়াম সদস্য আব্দুস সামাদ আজাদ পুত্র।