Apollo তে চড়ে মানুষের চাদে যাবার কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু জানেন কি খোদ আমেরিকার ২০% ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে মানুষের চাদে যাওয়ার ব্যাপারটা ছিল সম্পুনর্ বড় একটা নাটক – অনেকটা বড় কোন সিনেমার সেটের মত। অনেকেরই মতে মানুষ আসলে কখনও চাদে যায়নি। শুধু রাশিয়ার সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য চাদে যাওয়ার সেই নাটক করা হয়েছিল। এবং এরকম ভাবার নাকি হাজারো কারন এবং প্রমান আছে। অনেকেই প্রমান করে দিয়েছেন যে মানুষ আসলেই চাদে যায়নি। এদের লিস্টে অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীও আছে। তৈরী হয়েছে অসাধারন কিছু প্রামান্যচিত্র। আজ এসব থেকে মিলিয়েই আপনাদের বলব কেন মানুষের চন্দ্রাভিযান মিথ্যা হতে পারে।
উড়ন্ত পতাকাঃ
চাদে মানুষের অবতরনের ভিডিও এবং ফটো থেকে বিজ্ঞানীরা কিছু ফাক খুজে পেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো ছবি বা ভিডিও তে দেখা যাওয়া উড়ন্ত পতাকা। সেই পতাকার ওড়ার স্টাইল দেখলেই মনে হয় অনেক বাতাস ছিল। কিন্তু চাদে বাতাস কোথা থেকে এল? চাদে কোন ধরনের বাতাস নেই এবং পতাকা ওড়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। তাহলে নেইল আর্মস্ট্রংয়ের সেই পতাকা উড়ছিল পত পত করে? কেন? এর বিপরীতে নাসা থেকে অনেক যুক্তি দেয়া হলেও তাদের সেইসব যুক্তিগুলো খুব জোরালো ছিল না।
ছায়াঃ
চাদে একটা জায়গা থেকেই আলো আসে – সেটা হলো সূর্য। তো বলা যায়, এখানে ছায়ার খেলাও সুযর্ের সাথেই হবে এবং একদিকে থাকবে। চাদে তো আর স্টেডিয়াম নেই যে ফ্লাডলাইটের আলো চারদিক থেকে থাকবে আর নানা দিকে ছায়া পরবে। কিন্তু, তা হয়নি! ভিডিওতে দেখা যায়, এখানে নানা দিকে ছায়া পড়েছে। এই থেকে বোঝা যায় যে এই ভিডিওতে একের বেশী লাইট সোসর্ আছে। ছবিটি দেখলেই বুঝতে পারবেন। গবেষকদের মতে আসলে মানুষ চাদে যায়নি। অনেক বড় একটা সিনেমার মত করে সেট বানানো হয়েছিল যেখানে নানা রকমের লাইটিং ব্যবহার করে হয়েছিল আর সে কারনেই নানা দিক থেকে আলো এসে পড়েছে। এবং তাদের ধারনাকে আমুলক বললেও ভুল হবে! কি বলেন?
ভিডিওতে ভুলে ধরা পড়া একটু বস্তুঃ
চাদে অবতরনের ছবিঅগুলো যখন রিলিজ করা হয়, তখন একটা ছবিতে রহস্যময় একটা বস্তু দেখা যায়। আর এটি দেখা যায় নভোচারীর হেলমেটের যে গ্লাস-কাভার ছিল তার রিফ্লেকশনে। অথর্াত জিনিষটি নভোচারীর সামনে ছিল। জিনিষটি অনেকটা ঝুলে আছে বলে মনে হয় কোন একটা দড়ি বা তার দিয়ে। এমন ধরনের কোন জিনিষ থাকার কোন কথায় না। এবং পরে আরও গবেষনা করে বের করা হয়েছিল যে সেই “জিনিষটি” আসলে একটা শুটিং লাইট ছিল; অন্তত দেখতে এবং গড়নে এমন। একট্স স্পটলাইট। চাদে স্পটলাইট এলো কোথা থেকে? তার মানে কি এটা আসলে কোন ফিল্ম স্টুডিও ছিল?
স্লোমোশন ভিডিও (?) ঃ
গবেষকরা চাদে যাওয়াটা একটা ভুয়া ব্যাপার তা প্রমান করার জন্য আরো বিস্তর গবেষনা করে বের করেছে যে, চাদে অবতরন এবং হাটাহাটির যে ভিডিও আছে, সেই ভিডিও কে যদি ২.৫ গুন ফাস্ট করে দেয়া হয় তাহলে Low-Gravity চলাফেরা আমাদের সাধারন চলাফেরার মত হয়ে যায়। তাদের মতে ফিল্ম স্টুডিওতে শুটিং করে এই ভিডিও কে পরে স্লো মোশন করে দেয়া হয়েছে। তার উপর, নভোচারীরের লাফ দেয়ার জন্য অতিরিক্ত তার বা দড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল যা ভিডিওতে একটি পর্যায়ে ভুলে ধরা পড়ে গিয়েছিল।
আকাশের তারা কই?
মানুষ চাদে গিয়েছে ভাল কথা। কিন্তু তারা কই? চাদে নামার ভিডিওতে কোন তারাই দেখা যায় নি। শুধু কালো আকাশ! চাদে তো আর মেঘ নেই যে আকাশ পরিস্কার দেখা যাবে না তাই না? তাহলে ভিডিও বা ছবিতে কোন তারা নেই কেন? এই ব্যাপারে নাসাকে প্রশ্ন করা হলে নাসা উত্তর না দিয়ে ব্যাপারটা ঢেকে দিয়েছিল কিন্তু গবেষকরা কি আর সহজে ছাড়ে?
চাদের পাথরে ইংরেজী অক্ষর!
চাদের বিখ্যাত সব ছবির মধ্যে একটা ছবি ছিল – চাদের একটা পাথরের। উপরের ছবিটি। এখানে দেখুন পাথরের উপরে লেখা C । এবং এটি এমনভাবে লেখা – যে বোঝায় যায় এটি ন্যাচারাল কোন উপায়ে আসেনি। এটি এখানে লেখা হয়েছে। আর হয়তো লিখেছি কোন সেট ডিজাইনার মার্কিং করার জন্য। কিন্তু পাথরটি সেটে সাজানোর সময় ঠিকভাবে দেয়নি। এই ব্যাপারেও নাসা দায়সারাভাবে একটা জবাব দিয়ে কেটে পড়েছিল। আর এই প্রশ্ন এখনও প্রশ্নই থেকে গেছে।
একই ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ডঃ
চাদের যাওয়ার সেই মিশনের দুটি ছবিতে একই ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখা যায় কিন্তু নাসার মতে এই ছবিগুলো যদিও কয়েক মাইলের তফাতে তোলা হয়েছিল। ছবিটি দেখুন, বুঝতে পারবেন।
এরকম আরো কম করে হলেও ৪০টি অসংগতি পাওয়া গেছে এই চন্দ্রাভিযান নিয়ে। যা মোটেও নাসার পক্ষে কথা বলে না।
>বাংলাদশীজম প্রজেক্ট