“স্বপ্ন দেখি প্রেমে পড়ব, বিয়ে করব ” পুরুষের জন্য হাহাকার

0

image_68723_0সুন্দরীর উপত্যকা, যেখানে পুরুষের জন্য সুন্দরী নারীদের হাহাকার। ভালোবাসার আকুতি জানিয়েছেন এই নারীরা।নোভিয়া দো করদেইরো। ব্রাজিলের সীমান্ত-সংলগ্ন পুরুষহীন সুন্দরী নারীদের উপত্যকা। এ দ্বীপের নারীরাই নাকি ব্রাজিলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় নারী। এখানে পুরুষ যে একবারেই নেই তা নয়। কিন্তু নারীদের তুলনায় সেই সংখ্যা উল্লেখ না করার মতোই। হাতেগোনা সেই পুরুষরা আবার কাজের খোঁজে চলে যায় অন্য শহরে। তাই পৃথিবীর ‘সবচেয়ে’ রূপসী এসব নারীদের ভালোবাসার কেউ নেই। ভালোবাসার আহ্বান নিয়ে সেসব নারীদের একটি দল এবার এসেছে পার্শ্ববর্তী শহরে। ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তে থেকে ৬০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বের গভীর অরণ্যঘেরা উপত্যকার নারীরা পৃথিবীর পুরুষদের কাছে প্রেমের আকুতি জানিয়েছেন।

নিলমা ফার্নান্দেজ (২৩) নামের তাদের একজন তরুণী বলেন, ‘আমি কখনও একজন পুরুষকে চুমু দিতে পারিনি। আমরা সবাই স্বপ্ন দেখি প্রেমে পড়ব, বিয়ে করব।’ তবে স্বামীর জন্য নিজের এলাকা ছাড়তে চান না নিলমা।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই পুরুষরা আমাদের ভালোবেসে এখানেই সংসার করুক। তবে শর্ত হচ্ছে তাদের আমাদের নিয়মানুযায়ী চলতে হবে।’ তিনি বলেন, আমাদের শহর নারীরা শাসন করে। পুরুষশাসিত অনেক শহরের চেয়েও আমরা অনেক সুখী ও সংগঠিত। কোনো সমস্যা হলে আমরা মহিলাদের কায়দায় সমাধান করি। সংঘর্ষ করি না।
নারী দলটি সরদার এলিদা দায়সির মতে, পুরুষ নিয়ন্ত্রণ নিলে তাদের স্বাতন্ত্রবোধ নষ্ট হয়ে যাবে। সুন্দরীদের শহর নোভিয়া দো করদেইরোর গোড়াপত্তন হয়েছিল মারিয়া সেনহোরিনহা নামের এক নারীর মাধ্যমে।
১৮৯১ সালে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অপরাধে দেশটির এক খ্রিস্টান চার্চ মারিয়াকে শাস্তি দিয়ে এই দ্বীপে নির্বাসিত করেছিল। কলঙ্কিনী সেই মারিয়াই আজকের এই ‘সুন্দরী উপত্যকা’র বংশমাতা।
বংশানুক্রমিকভাবে পাওয়া চার্চের প্রতি তাদের ঘৃণা এতটাই প্রবল যে, তারা কেউই চার্চের নামও শুনতে পারেন না। রোজালি ফার্নান্দেজ (৪৯) বলেন, ‘ঈশ্বর আমাদের হৃদয়ে থাকে। তাই আমরা মনে করি না যে আমাদের চার্চে যাওয়া দরকার। আমাদের সন্তানদের আমরা খ্রিস্টান বানাতে চাই না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More