চেয়ার দিয়ে হামলা ঠেকালেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা

0

সুনামগঞ্জে দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ৪০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় মঞ্চে থাকা নেতাকর্মীরা প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন। এছাড়া স্থানীয় নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে কেন্দ্রীয় নেতাদের রক্ষা করেন।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। তবে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে মোশাররফ হোসেন ও রঞ্জন রায়ের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা বিএডিসি মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলন শুরুর পর মোশাররফ হোসেন ও রঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে কিছু নেতাকর্মী মঞ্চে উঠতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়ের লোকজন বাধা দেয়। পরে মোশাররফ হোসেন ও রঞ্জন রায়ের লোকজন মঞ্চে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় সম্মেলনস্থলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মঞ্চে থাকা নেতাকর্মীরা প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন। এছাড়া স্থানীয় নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে নেতাদের রক্ষা করেন।

দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড. রায়হান উদ্দিন বলেন, আহত ৪০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে আনার আগেই একজন মারা গেছে।

পরে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাড. সোহেল আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়ের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুল সামাদ আজাদ ডন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্ত, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শামীমা শাহরিয়া প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, ‘যারা আজকে জাতীয় নেতাদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

স্থানীয় নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে কেন্দ্রীয় নেতাদের রক্ষা করছেন। ছবি: আমাদের সময়

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন,’মোশাররফ হোসেন ও রঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে মঞ্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাই তাদের আওয়ামী লীগ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হলো। ‘

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘আগামীতে শেখ হাসিনা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। ষড়যন্ত্র আর হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে আটকে রাখা যাবে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশের উন্নয়ন হয়নি। তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারেক রহমান বিদেশে বসে দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, আজকে যারা সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে তাদের স্থান আওয়ামী লীগে হবে না। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

উৎসঃ আমাদের সময়

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More