রাজধানীর বিষাক্ত পরিবেশ ঃ মন্ত্রী-মেয়রদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন সোহেল তাজের

0

রাজধানীর বিষাক্ত পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। পরিবেশ মন্ত্রণালয়, মেয়র এবং সংসদ সদস্যদের কাজ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে কয়েকটি স্থির ছবি ও ভিডিওসহ দুটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন সোহেল। পোস্টের শিরোনাম ‘বিষাক্ত বাতাস, বিষাক্ত পরিবেশ’।

সোহেল তাজ লিখেছেন, এই বিষাক্ত বাতাসে প্রতিদিন হাজার হাজার/লাখ লাখ মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। অথচ কারও কোনো মাথা ব্যথা নাই। কোথায় বিআরটিএ? কোথায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়? কোথায় আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ? সিটি কর্পোরেশনের মেয়রবৃন্দরা কোথায়? তাদের কাজটা আসলে কী?

প্রথম পোস্টে ১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী। ভিডিওতে তাকে কথা বলতে শোনা যায়। রাস্তায় ভাঙাচোরা কালো ধোঁয়া বের হওয়া একটা গাড়ির পেছনে পেছনে যাওয়া সময় তিনি বলেন, এই গাড়িগুলোর কোনো নাম্বার প্লেট নাই। এরকম বাস রাস্তার মধ্যে প্রচুর চলছে। এই বাসগুলোর কোনো ফিটনেস আছে বলে সন্দেহ আছে। ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে পরিবেশ দূষণ, বায়ু দূষণ, মানুষ যারাই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করছে প্রতিনিয়ত এই ধোঁয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট অ্যাসমাসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে মানুষ। কিন্তু কারও কোনো মাথা ব্যথা নাই। কেউ দেখছে না- এখানে পরিবেশ মন্ত্রণালয় কোথায়? বিআরটিএ কোথায়? ফিটনেস কোথায়?

তিনি আরও বলেন, এই যে ধোঁয়া ছাড়ছে প্রতিদিন শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে আমাদের রেসপিরেটরি সিস্টেমে যাচ্ছে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। আগামী ১০/২০ বছরে যারা এখন ২৫/৩০ বছরের যুবক-যুবতী তাদের অবস্থাটা কী হবে? মনে হয় কারও কোনো মাথা ব্যথা নাই, কারও কোনো দায়ভার নাই, দায়িত্ব নাই, জবাবদিহিতা নাই। এটা কী দেশে বসবাস করছি আমরা? কারা এত শক্তিশালী? যারা এরকম বাস চালাচ্ছে, আমাদের পুলিশ প্রশাসন কোথায়? পরিবেশ মন্ত্রণালয় কোথায়? বিআরটিএ কোথায়? তাদের কাজটা আসলে কি? আমি বুঝতে পারছি না।

সোহেল তাজ আরও বলেন, আমরা যারা এয়ারকন্ডিশন গাড়িতে যাচ্ছি, আমরা হয়তো একটু বেঁচে যাচ্ছি ফিল্টারের কারণে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যারা বাসে, সিএনজি, মোটরসাইকেলে, স্কুটারে চলাফেরা করছেন তাদের প্রতিকারের উপায় কী? কারও কোনো মাথাব্যথা নাই।

সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, আমাদের সকলের সচেতন হতে হবে। এটার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে।

উৎসঃ   বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More