সংলাপের পথে সরকার?

0

বাষ্পরুদ্ধ পরিস্থিতি নিষ্ক্রান্তির জানালা খুঁজছে। কোন দরজায়, কোন পথে ঘটবে এ নিষ্ক্রান্তি, চলছে সেই পথের সন্ধান। নানা পথ, নানা পন্থা ও রেসিপি নিয়ে চলছে আলোচনা। দর্শকসারিতে দেশবাসী। পর্দার আড়ালে, মঞ্চের পেছনে গ্রিনরুমে চলছে নির্ঘুম সাজসজ্জা। রাজনৈতিক পুতুল নাচের এই মঞ্চে কে কোন রূপে, কোন চরিত্রে আবির্ভুত হবেন, ঠিক হয়ে আছে সেই স্ক্রিপ্ট। অপেক্ষা শুধু মঞ্চায়নের। পরিস্থিতি এখন আর ঘোলাটে নয়। কুয়াশার কাফন ছিঁড়ে ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে ভোরের সূর্য। মাটিতে কান পাতলেও শোনা যাচ্ছে আগমণের পদধ্বনি।

লক্ষ্যণীয় বিষয়-কথা চলছে। কথা বলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কথা বলছেন প্রায় দুই দশক ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজপথের বিরোধী দল বিএনপিও। পরস্পরকে লক্ষ্য করে এখন যে কথার ফুলঝুরি বইছে তা নিছক কথার পৃষ্ঠে কথা নয়। এর মাঝে নিহিত গভীর তাৎপর্য। উভয় পক্ষের আচরণে সে’টি এখন দৃষ্টিগ্রাহ্য। বিএনপি নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট যুগপৎ আন্দোলনে রাজপথে আছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট রয়েছে ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগের লড়াইটা এখানে মসনদ ধরে রাখার। বিএনপির ইস্যু তত্ত্বাবধায়ক কিংবা নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আপাতত ইস্যু ১০ দফা। তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগ রয়েছে এসব দফায়। জানুয়ারিতে ঘোষিত এসব দফা নিয়ে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো রাজপথে আছে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে। পদযাত্রা কর্মসূচি চলছে। জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রার ধারাবাহিক কর্মসূচি শেষ হচ্ছে আগামি ২৫ ফেব্রুয়ারি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ওই দিন দেশব্যাপী জেলায় জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচি রয়েছে। সেদিন থেকে ঘোষিত হওয়ার কথা নতুন কর্মসূচি। পক্ষান্তরে পদযাত্রার বিপরীতে ‘শান্তি সমাবেশ’র নামে পাল্টা কর্মসূচি পালন করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কর্মসূচি পালনকালে সহিংস হামলার অভিযোগ তুলছে বিএনপি। তবে পাল্টা কোনো সহিংস ঘটনা ঘটাচ্ছে না। কোনো ‘উস্কানি’তে পা না দিয়ে বিএনপির ‘পদযাত্রা’ ক্রমে ধাবিত হচ্ছে এক দফার দিকে। সরকারও সৃষ্টি করছে না বড় কোনো প্রতিবন্ধকতা। এটি আপাতত দৃশ্যপট। কিন্তু আসল কথাটি হচ্ছে ‘বিটুইন দ্য লাইন্স’। প্রকাশ্যে যা চলছে তার বাইরের বিষয়টাই এখন মুখ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে বিএনপি জোট নির্বাচনে যাবে না। অন্যদিকে নির্বাচনকে অবাধ,সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সরকারের ওপর রয়েছে উন্নয়ন অংশীদারদের চাপ। এই চাপ উপেক্ষা করার মতো পর্যায়ে সরকার নেই। ডলার সঙ্কট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ডলারের অভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের আমদানি বন্ধ। আর্থিক সঙ্কট ক্রমেই জাতীয় অর্থনীতির টুটি চেপে ধরছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাজার অনিয়ন্ত্রিত। এদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প। এই খাতের ওপর নেমে এসেছে খড়গ। তৈরি পোশাকের প্রধান গন্তব্য মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। তাদের ক্রয়াদেশ ক্রমেই কমছে। কয়েক মাসে রফতানি আদেশ কমেছে ৩৫ শতাংশের বেশি। গভীর সঙ্কট হাতছানি দিচ্ছে গার্মেন্টস শিল্পকে। তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের দিন কাটছে মহা আতঙ্কে। ডলার সঙ্কটে এলসি বন্ধ। সূতা, কাপড়সহ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ মিলছে না। পোশাক তৈরির ব্যয় বেড়ে গেছে। মাথার ওপর ব্যাংক ঋণের বোঝা। আটকে যেতে শুরু করেছে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা। তেল-বিদ্যুৎ-গ্যাস তথা জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ফলে কঠিন থেকে কঠিন হয়ে যাচ্ছে জীবনযাত্রা। কি করে বাঁচবে শ্রমিক? কি খেয়ে বাঁচবে শ্রমজীবী মানুষ? কঠিন অবস্থার দিকে ধাবমান পরিস্থিতি উত্তরণে পশ্চিমা সুদৃষ্টিই একমাত্র ভরসা। পশ্চিমা উন্নয়ন সহযোগিদের প্রেসক্রিপশন উপেক্ষা করার শক্তি সরকারের নেই। উপেক্ষার পরিণতিও হতে পারে অকল্পনীয়, ভয়াবহ। মানবাধিকার প্রশে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব’র ওপর যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন আছে। হত্যা, গুম, খুন, সন্ত্রাস, ব্যাংক লুট, অর্থপাচারের প্রেক্ষাপটে সরকারের সামরিক-বেসামরিক একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর আরও স্যাংশনের হুমকি রয়েছে। চতুর্মূখি টানাপড়েনে সরকার। এই সঙ্কট থেকে উত্তরণে আইএমএফ’র সাড়ে চার বিলিয়ন ঋণ নিচ্ছে সরকার। এতেও রয়েছে ৫ শর্ত। যৌক্তিক ব্যয় ব্যবস্থা চালু, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আধুনিক মুদ্রানীতি প্রণনয়ন, মুদ্রা বিনিময় হার নমনীয় করা, আর্থিক খাতের দুর্বলতা দূর করা, নজরদারি বৃদ্ধি, সরকার ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের আওতা বৃদ্ধিও পাশাপাশি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করার শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। সব শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে ঋণের সমুদয় অর্থও মিলবে না। সব মিলিয়ে অবস্থা গুরুতর। সরকারের এই হাল বিরোধী রাজনীতি পেয়েছে উর্বর ভিত্তি ভূমি। প্রায় দুই দশক ক্ষমতার বাইরে থাকা হত্যা, হামলা, মামলা, জেল-জুলুমে পর্যুদস্ত সরকারবিরোধী শক্তি এখন নাছোড়। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নির্বাচন-পূর্ব আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ বিরোধী জোট এখন আগের চেয়ে ধীরস্থির, সুশৃঙ্খল, বুদ্ধিদীপ্ত আর কৌশলী। সরকারবিরোধী আন্দোলনে অহিংসপন্থা এখন পক্ষটির বর্ম। উন্নয়ন সহযোগী, পশ্চিমা দাতা দেশগুলোর প্রত্যাশা অনুযায়ী দলন-পীড়ন-নির্যাতনের পথে ক্ষমতায় টিকে থাকার পথ রুদ্ধ। ভয় দেখিয়ে মাঠ দখলে রাখা, মামলা-হামলা ও প্রলোভনে বিরোধী শিবিরের সিনিয়র কয়েকজন নেতাকে দলে ভেড়ানোর কৌশল এখন ভোতা। বিএনপির পদত্যাগ করা ৬ আসনে উপ-নির্বাচন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে সরকারের অধীনে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’র নমুনাকেই উৎকীর্ণ করেছে। উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে সরকার ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের যত প্রতিশ্রুতিই দিক না কেন, সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কোন দিকে হাটছে সরকার? কোন পথে উত্তরণ খুঁজছে?

রাজনীতির অন্দর মহলের সূত্রগুলো জানাচ্ছে, উন্নয়ন সহযোগী পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রশ্নে এবার একাট্টা। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। এসব দেশের প্রতিনিধিদের ঢাকা সফর, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও নীতিনির্ধারণীদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে সরকারের কাছে এই নিশ্চয়তাই চাইছেন। টানা তিন মেয়াদ ক্ষমতার মসনদে থাকার পেছনে আন্তর্জাতিক বন্ধু ছিলো মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্র। দ্বিতীয়ত ছিল ভারতের মোদি সরকারের অকুণ্ঠ আশীর্বাদ। কিন্তু গত ১৪ জানুয়ারি আসে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া-বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’ এবং পরবর্তীতে ডেরেক শোলে ঢাকা সফরে অনেকটাই পাল্টে গেছে রাজনীতির সমীকরণ। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারকে সমর্থন ব্যক্ত করার কথা প্রচারিত হয়েছে। কিন্তু এটি প্রচারিত হয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতর থেকে। ভারত সরকার এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেনি। বরং উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে স্বর মিলিয়ে সংঘাত পরিহার করে রাজনৈতিক সমাধানের পথ খোঁজার বার্তাই তিনি দিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। এর ফলে রাজপথের বিরোধীদল বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে এবার সহিংস পথে হাটার পরিকল্পনা পরিহার করেছে সরকার। আশ্রয় নিতে পারবে না ভিন্ন কোনো কূটকৌশলেরও। এ কারণে বাদ দেয়া হয়েছে আগামি নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় রাখা হলে নির্বাচনে আসবে না বিএনপির দাবি একটিই। ফলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য সরকারপক্ষীয় যেকোনো ধরণের কূটকৌশল পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে। সে ক্ষেত্রে ক্ষমতার মসনদ থেকে আওয়ামী লীগের প্রস্থানকে আরও অনিরাপদ ও ভয়ঙ্কর করে তুলবে। এসব বিবেচনায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসাকেই শ্রেয় মনে করছে ক্ষমতাসীন দলটি। উন্নয়ন সহযোগীরা সরকারপক্ষকে চাপ দিচ্ছে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও অংশীদারিত্বমূলক করার। এ প্রেক্ষাপটে বিরোধীজোট তথা বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো বিকল্পও দেখছে না। কিন্তু বিএনপিই বা কেন সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসবে? ইতোপূর্বে নির্বাচনের আগে সংলাপে বসে ধোকা খেয়েছে বিএনপি জোট। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে। সংলাপে বিএনপির আস্থা নেই। তাই সরকারের তরফ থেকে সংলাপের আহ্বান জানানোটা হবে নিষ্ফল। তাছাড়া কার সঙ্গে হবে সংলাপ? দেড় দশকের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য ছিল জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে উৎখাত করা। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। কিন্তু শত ঝড়-ঝঞ্ঝা পেরিয়ে যে বাস্তবতা এখন দৃশ্যমান, তাহলো, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনও বেঁচে আছেন। তিনি কি অবস্থায় আছেন, কেমন আছেন, তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা কেমন, এসব প্রশ্ন ছাপিয়ে যে বিষয়টি এখন জ্বাজ্জল্যমান, তাহলো বেগম খালেদা জিয়া এখনও স্বজ্ঞান ও জীবিত। বেগম খালেদা জিয়াই এখন দলটিতে ঐক্যের প্রধান ভিত্তি। তিনি জীবিত আছেন বলেই হয়তো বিএনপি এখনও অখণ্ড। বিএনপিকে অতীতে যতবার ফাটল ধরানোর চেষ্টা করা হয়েছে ব্যর্থ হয়েছে সব। যা প্রমাণ করে বেগম খালেদা জিয়াই বিএনপির শেষ কথা। বিএনপি মানেই বেগম খালেদা জিয়া। দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও তার হাতেই। সংলাপ করতে চাইলে সেটি হতে হবে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেই। এবং এই সংলাপ হতে পারে শীর্ষ পর্যায়ে। এটি হতে পারে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে। এমন ভাবনা এখন সরকারি দলটির ভেতরকার। ফলে ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে বেগম খালেদা জিয়াকে পুনরায় কারাগারে’ নেয়ার হুমকির দু’দিন পরই ভোল পাল্টান আইনমন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামি নির্বাচনের আগে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার দৈনিক ইনকিলাবের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় একই কথার প্রতিধ্বনি শুনিয়েছেন। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করাতে আইনগত কোনো বাধা নেই। এই সবুজ সঙ্কেতকে বিএনপি ‘ফাঁদ’ আখ্যা দিয়ে সন্দেহের চোখে দেখছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সরকারও চাইছে বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় হোন। হুইল চেয়ারে করে হলেও তিনি বন্দীদশা থেকে বেরিয়ে এসে প্রমাণ করুন যে, তিনি মুক্ত। কারণ, বেগম খালেদা জিয়াকে ‘বন্দী’ রেখে সংলাপ সম্ভব নয়। তাকে সংলাপের প্রস্তাব দিতে হলে রাজনীতিতে সক্রিয় দেখাতে হবে। উন্নয়ন অংশীদারদের প্রত্যাশা পূরণে সরকারকে বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি করতে দিতে হবে। আগে বিএনপি জোট প্রতারিত হয়েছে। বিএনপিকে সরকারের প্রতি আস্থাশীল করে তোলার দায় তাই সরকারের। বিএনপির আস্থা অর্জনে সরকার তাই মরিয়া। মসনদ থেকে আওয়ামী লীগের নিরাপদ প্রস্থানের পথ যে বেগম খালেদা জিয়ার হাতেই ! বিএনপির কাছ থেকে কোনো ধরনের ‘ছাড়’ পেতে হলে তিনিই তা দিতে পারেন। পক্ষান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই আওয়ামী লীগের শেষ কথা। সরকারের পক্ষ থেকে ছাড় দেয়ার হলে তিনিই দিতে পারেন সেই সিদ্ধান্ত। বোঝা-পড়ার বিষয়টি এখানে শুধুই দুই নেত্রীর।

উৎসঃ   ইনকিলাব
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More