সরকার যখনই বিপদে পড়ে তখনই পশ্চিমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দেশে জঙ্গি নাটক মঞ্চস্ত করে

0

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের ছেলেকে কথিত জঙ্গি বানানোর অপচেষ্টা করছে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার সরকার। একমাত্র কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও র‌্যাবের প্রচারণায় থাকা অস্থিত্বহীন সংগঠন আনসার আল ইসলামের নেতা হিসেবে জামায়াতের আমিরের ছেলের নামে প্রচারণা চালাচ্ছে টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট বা সিটিটিসি। এর আগে ডা. শফিকুর রহমানের ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাফিউল্লাহকে বুধবার সকালে সিলেট থেকে আটক করে সিটিটিসি।

জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের বানোয়াট মামলায় ফরমায়েশি রায়ে জুডিশিয়াল মার্ডারের পর দলটির হাল ধরেছিলেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে দলটিকে সুসংগঠিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। এই অবস্থায় দলটির আমিরকে চাপে রাখতেই ছেলেকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার সরকার।

সরকার যখনই বিপদে পড়ে তখনই পশ্চিমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দেশে জঙ্গি নাটক মঞ্চস্ত করে থাকে। নিরীহ টুপি-দাড়িওয়ালা তরুণদের ধরে নিয়ে গুম করে রাখা হয়। সরকার বিপদের সম্মুখিন হলেই গুম করা তরুণদের লম্বা দাড়ি-টুপিসহ মিডিয়ার সামনে হাজির করে বলা দেয় তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসার আল ইসলামের সদস্য। অথচ, এই নামে কোন সংগঠনের অস্তিত্ব বাংলাদেশে কখনো ছিল বা বর্তমানে রয়েছে এমন কোন প্রমান পাওয়া যায় না। এই সংগঠনের অস্তিত্ব কেবলমাত্র র‌্যাব ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে রয়েছে।

জামায়াতে ইসলামী’র আমীরের ছেলে আটকের পরও একই বয়ান দেওয়া হচ্ছে। সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী সরকারি সাজানো বয়ানে মিডিয়ার সামনে উল্লেখ করেন, গ্রেফতারকৃত ডা. রাফাত সাদিক সাফিউল্লাহ নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামপন্থী সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও র‌্যাবের বয়ানকে আওয়ামী মিডিয়া গুলো ফলাও করে প্রচার চালায়। তারা নিজেরাও কথিত কিছু বয়ান তৈরি করে। যেমন ডা. রাফাত সাদিক সাফিউল্লাহ প্রসঙ্গে আওয়ামী পত্রিকা গুলোর বয়ানে উল্লেখ করা হয়, গত পহেলা নভেম্বর রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল সিটিটিসি। ওই তিন ইসলামপন্থী তরুণ ডা. রাফাত সাদিক সাফিউল্লাহর মাধ্যমেই আনসার আল ইসলামে জড়িয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরপরই তাকে ধরতে অভিযান শুরু করে সিটিটিসি।

উল্লেখ্য, ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সরকার গত এক যুগে তথাকথিত জঙ্গি কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশে মূলত ইসলামপন্থীদের দমন করেছে। ভারতে কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদীর সরকার সেখানকার মুসলমানদের নিধন করছে, আর বাংলাদেশে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার সরকার ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে নানা বানোয়াট অভিযোগ তুলে গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে।

উৎসঃ   আমার দেশ
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More