ঢাকা: হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য করার অভিযোগে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে করা সাত মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি আগামী ২৪মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার আসামির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজলের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা।
এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে কয়েকটি তারিখে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউইয়র্কে বসবাসরত টাঙ্গাইলবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন লতিফ সিদ্দিকী।
এসময় তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করলো এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কীভাবে চলবে? তারাতো ছিল ডাকাত। তখন সে একটা ব্যবস্থা করলো যে আমার অনুসারীরা প্রতিবছর একবার একসঙ্গে মিলিত হবে। এর মধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী, জামায়াতে ইসলামিরও বিরোধী, তবে তার চেয়েও বেশি হজ ও তাবলিগ জামাতের।’
হজ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, ‘হজের জন্য ২০ লাখ লোক সৌদি আরবে গেছে। এদের কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রোডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।’
এ সময় তাবলিগ জামাতের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘তাবলিগ জামায়াত প্রতিবছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদেরতো কোনো কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন তিনি। এর পরই দেশে-বিদেশে ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন তিনি। এরপর তাকে তাকে আওয়ামী লীগ ও মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়।
গত ২৩ নভেম্বর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে দেশে ফেরেন লতিফ সিদ্দিকী। তার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠে ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দল।
এরপর গত ২৬ নভেম্বর ধানমণ্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করলে পুলিশ তাকে আদালতে পাঠিয়ে দেয়। ওইদিন তিনি কোন আইনজীবী নিয়োগ না দেয়ায় ও জামিন না চাওয়ায় বিচারক লতিফ সিদ্দিকীকে জেলহাজতে পাঠান।