চার দফা পিছিয়ে সোমবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি আবেদনের প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশ করার পর ভর্তি কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনেই ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ছেলে শিক্ষার্থীকে মেয়ে শিক্ষার্থী বানিয়ে দেয়া, আবেদনের বাইরে কলেজে সিট দিয়ে দেয়াসহ নানা অভিযোগ নিয়ে কলেজে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের এখন ছুটতে হচ্ছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. আশফাকুল সালেহীন বলেন, ‘আমরা সব অভিযোগ আমলে নিচ্ছি। যতদ্রুত সম্ভব আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
বিকেল সাড়ে ৩টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় আশফাকুল সালেহীনের কার্যালয়ের সামনে শত শত শিক্ষার্থী অভিযোগ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলেও সকাল থেকে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিককে তার কার্যালয়ে দেখা যায়নি।
ফল প্রকাশের পর রাতে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেছিলেন, ‘একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি আবেদন করেছিল ১১ লাখ ৫৬ হাজার ২২৪ শিক্ষার্থী। তারা মোট ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৩টি আবেদন করেছিল। এরা এক থেকে পাঁচটি কলেজে আবেদন করেছিল। এদের মধ্যে প্রথম মেধাতালিকায় নাম এসেছে ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থীর। এদের জন্য একটি করে কলেজ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বাকিরা দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশের পর কলেজে ভর্তি হবে।’
সোমবার শুর হওয়া এ ভর্তি কার্যক্রম চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। এই কার্যক্রম শেষ হওয়ার আগেই ১ জুলাই থেকে একাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর গত ৬ জুন থেকে অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। ২১ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করে ১১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থী।
সুত্রঃ বাংলামেইল২৪ডটকম